بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/13796/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
কসম শুধুমাত্র আল্লাহর নাম দ্বারাই হয়ে থাকে।এবং কুরআন যেহেতু
আল্লাহর কালাম,তাই
কুরআন দ্বারাও কসম হবে। অন্যথায় কসম হবেনা।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/579
https://ifatwa.info/9671/
★সুতরাং
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আল্লাহর নামে কসম না করা হয়,তাহলে এতে কাফফারা
দেওয়া ওয়াজিব নয়।
আর যদি প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আল্লাহর নামেই কসম খাওয়া হয়,এবং ভঙ্গ করা
হয়,তাহলে
এর কাফফারা দিতে হবে।
কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي
أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ
فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ
أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ
ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ
وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ
لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও
করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে, (১) দশজন দরিদ্রকে
খাদ্য প্রদান করবে;
মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক। (২)অথবা, তাদেরকে বস্তু
প্রদান করবে অথবা, একজন
ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে। (৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন
রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ
রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা
কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।(সূরা মায়েদা-৮৯)
কসমের কাফ্ফারা হলো, দশজন দরিদ্র ব্যক্তিকে দুইবেলা তৃপ্তি
সহকারে খানা খাওয়ানো বা এর মূল্য দিয়ে দেওয়া। অথবা দশজন দরিদ্র ব্যক্তিকে এক জোড়া
করে পোশাক দেওয়া। তবে কেউ যদি এর কোনেটির সামর্থ্য না রাখে তাহলে সে লাগাতার তিনটি
রোযা রাখবে। রাসু মায়েদা : ৮৯; ফাতহুল কাদীর ৪/৩৫৬;ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ২/৫৩, ২/৬১; আলবাহরুর রায়েক
৪/২৮৬; রদ্দুল
মুহতার ৩/৭২৬
একাধিক কসমের কাফফারা বিষয়ে ফুক্বাহায়ে কেরাম থেকে দু’টি মত
পাওয়া যায়। যথা-
১-প্রতিটি কসম ভঙ্গের জন্য একটি করে কাফফারা আদায় করা।
২-আগের কসমের কাফফারা আদায় না করে থাকলে একটি কাফফারাই যথেষ্ট
হবে।
আপনি যদি সক্ষম হয়ে থাকেন, তাহলে অনুমান করে যতটি কসম ভঙ্গ করেছেন
ততটি কাফফারা আদায় করে দিন। এটাই উত্তম ও অধিক সতর্কতা এতেই নিহিত রয়েছে। আর যদি অর্থনৈতিকভাবে
দুর্বল হয়ে থাকেন, তাহলে
একটি কাফফারা আদায় করা যেতে পারে।
(قَوْلُهُ وَتَتَعَدَّدُ الْكَفَّارَةُ لِتَعَدُّدِ الْيَمِينِ)
وَفِي الْبُغْيَةِ: كَفَّارَاتُ الْأَيْمَانِ إذَا كَثُرَتْ تَدَاخَلَتْ،
وَيَخْرُجُ بِالْكَفَّارَةِ الْوَاحِدَةِ عَنْ عُهْدَةِ الْجَمِيعِ. وَقَالَ
شِهَابُ الْأَئِمَّةِ: هَذَا قَوْلُ مُحَمَّدٍ. قَالَ صَاحِبُ الْأَصْلِ: هُوَ
الْمُخْتَارُ عِنْدِي. اهـ. مَقْدِسِيٌّ، وَمِثْلُهُ فِي الْقُهُسْتَانِيُّ عَنْ
الْمُنْيَةِ (رد المحتار، كتاب الايمان، مطلب تتعدد الكفارة لتعدد اليمين-3/714)
সারমর্মঃ কাফফারা যখন অনেক বেশি হয়ে যাবে,তখন তাদাখুল
তথা একটা কাফফারা দিয়েই সকল কসমের কাফাফারার ক্ষেত্রে যথেষ্ট হবে।
★সুতরাং
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি আল্লাহ বা
কুরআনের নামে কসম করে থাকেন, তাহলে যতটি কসম ভঙ্গ করেছেন ততটি কাফফারা আদায় করে দিন। এটাই
উত্তম ও অধিক সতর্কতা এতেই নিহিত রয়েছে।
যদি শক্তি সামর্থ না থাকে,যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে,তাহলে একটি
কাফাফারা করলেও হবে। আপনি যদি একই ধরনের কাজ সম্পর্কে একাধিকবার কসম করে একাধিক বার
কসম ভেঙ্গে ফেলেন, তাহলে
একটি কাফফারাই যথেষ্ট হবে।
আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/13796/
★প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি যদি আল্লাহর নাম
উল্লেখ করে এসব কসম না করে থাকেন, সেক্ষেত্রে তো এগুলো কসমই নয়।
এগুলো ওয়াদা মাত্র। আর যদি আপনি প্রতিটি কসমের ক্ষেত্রেই আল্লাহর
নাম উল্লেখ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে যদি সক্ষম হয়ে থাকেন,
তাহলে অনুমান করে যতটি কসম ভঙ্গ করেছেন ততটি কাফফারা আদায় করে দিবেন। এটাই উত্তম ও অধিক সতর্কতা এতেই নিহিত রয়েছে।
আর যদি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে থাকেন বা শারীরিক ভাবেও এতটা দূ্র্বল যে রোজা রাখতেও অক্ষম, তাহলে একটি কাফফারা আদায় করা যেতে পারে।
আরো জানুন: https://ifatwa.info/39805/