আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,804 views
in সালাত(Prayer) by (22 points)
closed by
ক) কারো বার বার বায়ু বের হওয়ার রোগ আছে। আবার হাদিসে আছে যে, নামাযের মধ্যে বায়ুর গন্ধ বা আওয়াজ না পেলে নামায না ভাঙা। এইক্ষেত্রে সে কি করবে? যদি সে আওয়াজ বা গন্ধ না পায় কিন্তু তার মনে হচ্ছে যে বায়ু বের হচ্ছে,এইটা সে মোটামুটি নিশ্চিত যে বায়ু বের হচ্ছে। কিন্তু সে মাযুর এর শর্তে পড়ে না। মানে মাযূর না।
খ) তবে শয়তান কি এইক্ষেত্রে ওয়াসওয়াস দিয়ে থাকে কিনা জানত চাই। মানে আমি নিশ্চিত হলেও এইটা কি শয়তান থেকে আসছে কিনা?
গ) জামাতের সময় শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ার পরে উযূ ভাঙলে কি নতুন উযূ করে জামাতে শরিক হবো? নাকি আমার নামায এর ফরয পরিমাণ বৈঠক আদায় হয়ে যাওয়াতে আর নামাযে শরিক না হলেও হবে?
ঘ)  শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের পরে উযূ ভাঙলে আবার উযূ করে এসে জামাত না পেলে কি করবো? কিভাবে নামায আদায় করবো?
e) নামায কি দোহরাতে হবে পুরোটা?
চ) কেউ যদি না জানে যে সিজদাহ তে কপাল মাটিতে সরাসরি লাগানো ফরয। সে ভুলে কানটুপি এমন ভাবে পড়ে যে কপাল এর জায়গায় কানটুপি দিয়ে ঢাকা ফলে কপাল মাটিতে সরাসরি চামড়া দিয়ে স্পর্শ হয়না। এই ক্ষেত্রে তার কি নামায দোহরাতে হবে? নাকি নামায হয়ে গেছে? আমাদের দরসে উস্তাদ বলেছেন এইটা আদায় হয়না। কিন্তু না জেনে করলে কি দোহরাতে হবে কিনা বলেননি।
closed

1 Answer

+1 vote
by (671,200 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(ক)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন এক ব্যক্তি তাঁর কাছে অভিযোগ করলেন যে, তার কাছে মনে হয় যে, সে নামাযের মধ্যে কিছু একটা পাচ্ছে। তখন তিনি বললেন, 
لاَ يَنْصَرِفُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا ، أَوْ يَجِدَ رِيحًا 
সে যেন শব্দ শুনা কিংবা গন্ধ পাওয়া ছাড়া নামায না ছাড়ে। 
(সহিহ বুখারী ১৩৭ সহিহ মুসলিম ৩৬১)
,
মুহাদ্দিসিনে কেরামগন বলেছেন যে  এ কথার দ্বারা উদ্দেশ্য হল- অযু ভাঙ্গার ব্যাপারে পরিপূর্ণ নিশ্চিত হওয়া ছাড়া আপনি এটাই মনে করবেন যে, আপনার অযু ভাঙ্গে নি।
অতএব, সন্দেহ কিংবা কল্পনা ধর্তব্য নয়। পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত হওয়া ছাড়া আপনি নামায ছাড়বেন না। এটাই রাসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর নির্দেশ।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু আপনার বার বার বায়ু বের হওয়ার রোগ আছে,এবং আপনি নিশ্চিতও যে বায়ু বের হচ্ছে।
 আবার আপনি  মাযুর এর শর্তে পড়েনও না।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার অযু ভেঙ্গে যাবে। 
পুনরায় অযু করে এসে (কথাবার্তা না বলে)  বাকি নামাজ আদায় করতে হবে।
,
       
(খ)
ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার আমলঃ 
ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم

অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে– ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।

এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহ্র যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।

 রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة
‘সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ )

আরো জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,বোন, 
আপনি যেহেতু বায়ু বের হওয়া সম্পর্কে  নিশ্চিত,এবং আপনার বারবার বায়ু বের হওয়ার রোগও,আছে।
সুতরাং  এটা শয়তান থেকে নয়।
,
বরং এটি আপনাত রোগ।
আপনার অযু ভেঙ্গে গিয়েছে। 
,
(গ,ঘ,ঙ)

তাশাহুদের পর সালাম ফিরানোর আগে অজু ভেঙ্গে গেলে কথাবার্তা না বলে অজু করে এসে সালাম ফিরালে নামায হয়ে যাবে। নতুবা নতুন করে নামায পড়া ওয়াজিব।
,
সালাম না ফিরিয়ে ভুলে উঠে গেলে মসজিদ থেকে না বের হয়ে থাকলে এবং কথা না বলে থাকলে বসে প্রথমে সাহু সেজদা করবে, তারপর তাশাহুদ, দরূদ, দুআয়ে মাসুরা পড়ে সালাম ফিরাবে। এরকম না করলে নামায মাকরূহে তাহরিমী হয়ে নামাযটি পুনরায় পড়া ওয়াজিব হয়ে যাবে।
,
তবে কথা বলে ফেললে নামায হবে না। নতুন করে পড়া ওয়াজিব।
,
সুনানে ইবনে মাজা তে আছেঃ

عن عائشۃ رضي اللّٰہ عنہا قالت: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: من أصابہ قيء أو رعاف
أو قلس أو مذي، فلنصرف فلیتوضأ، ثم لیبن علی صلاتہ وہو في ذٰلک لایتکلم۔ (سنن ابن ماجۃ ۱؍۸۵ رقم: ۱۲۲۱)

যার নামাজের মধ্যে বমি ইত্যাদি আসে,তাহলে সে সেখান থেকে চলে যাবে। অজু করবে,এই অবস্থায় সে কোনো ভাবেই কথা বলবেনা। তারপর তার বাকি নামাজ আদায় করে নিবে।

তার করনীয় সম্পর্কে জানুনঃ 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُوسَى الْمُلَقَّبُ، مَرْدَوَيْهِ قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمَ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ رَافِعٍ، وَبَكْرَ بْنَ سَوَادَةَ، أَخْبَرَاهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَحْدَثَ - يَعْنِي الرَّجُلَ - وَقَدْ جَلَسَ فِي آخِرِ صَلاَتِهِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ فَقَدْ جَازَتْ صَلاَتُهُ "

আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তি যদি নামাযের শেষে (তাশাহহুদের জন্য) বসে সালাম ফিরানোর পূর্বে বাতকর্ম করে তবে তার নামায জায়িয হবে (নতুন করে আদায় করতে হবে না)।
আবূ দাউদ (২৬, ১৮১)

قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِسْنَادُهُ لَيْسَ بِذَاكَ الْقَوِيِّ وَقَدِ اضْطَرَبُوا فِي إِسْنَادِهِ . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا . قَالُوا إِذَا جَلَسَ مِقْدَارَ التَّشَهُّدِ وَأَحْدَثَ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ فَقَدْ تَمَّتْ صَلاَتُهُ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا أَحْدَثَ قَبْلَ أَنْ يَتَشَهَّدَ وَقَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ أَعَادَ الصَّلاَةَ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ . وَقَالَ أَحْمَدُ إِذَا لَمْ يَتَشَهَّدْ وَسَلَّمَ أَجْزَأَهُ لِقَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ " وَالتَّشَهُّدُ أَهْوَنُ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي اثْنَتَيْنِ فَمَضَى فِي صَلاَتِهِ وَلَمْ يَتَشَهَّدْ . وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ إِذَا تَشَهَّدَ وَلَمْ يُسَلِّمْ أَجْزَأَهُ . وَاحْتَجَّ بِحَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ حِينَ عَلَّمَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم التَّشَهُّدَ فَقَالَ " إِذَا فَرَغْتَ مِنْ هَذَا فَقَدْ قَضَيْتَ مَا عَلَيْكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمٍ هُوَ الإِفْرِيقِيُّ وَقَدْ ضَعَّفَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْحَدِيثِ مِنْهُمْ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ وَأَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ .

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসের সনদ তেমন শক্তিশালী নয়। এর বর্ণনাকারীগণ তাদের বর্ণনায় গরমিল করেছেন। এ হাদীসের ভিত্তিতে একদল মনীষী বলেছেনঃ তাশাহহুদ পাঠের পরিমাণ সময় বসার পর এবং সালাম ফিরানোর পূর্বে বাতকর্ম হলে নামায পূর্ণ হয়ে যাবে। অপর একদল মনীষী বলেছেনঃ যদি তাশাহহুদ ও সালাম ফিরানোর পূর্বে বাতকর্ম হয় তবে আবার নামায আদায় করতে হবে। ইমাম শাফিঈ একথা বলেছেন। ইমাম আহমাদ বলেছেন, যদি তাশাহহুদ পাঠ না করে সালাম ফিরানো হয় তবে নামায হয়ে যাবে। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “নামাযের সমাপ্তি ঘোষণা হল সালাম " আর তাশাহহুদ এমন কোন জরুরী বিষয় নয়। একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশাহহুদ না পাঠ করেই দ্বিতীয় রাকাআত থেকে উঠে দাড়ালেন এবং নামায পূর্ণ করলেন। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম বলেছেন, তাশাহহুদ পাঠের পর এবং সালাম ফিরানোর পূর্বে (বাতকর্ম হলে) নামায জায়িয হবে। তিনি ইবনু মাসউদের হাদীসকে তার মতের সমর্থনে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তাশাহহুদ শিক্ষা দেওয়ার সময় বললেনঃ

إِذَا فَرَغْتَ مِنْ هَذَا فَقَدْ قَضَيْتَ مَا عَلَيْكَ

“যখন তুমি এটা পাঠ করে অবসর হলে, তখন তোমার দায়িত্ব শেষ হল।”

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসের এক রাবী আবদুর রহমান ইবনু যিয়াদকে হাদীসবিশারদগণ দুর্বল বলেছেন। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ ও আহমাদ ইবনু হাম্বল তাদের মধ্যে আছেন।)
(তিরমিজি ৪০৮)

إِذَا قَضَی الْإِمَامُ الصَّلَاةَ وَقَعَدَ فَأَحْدَثَ قَبْلَ أَنْ یَتَکَلَّمَ فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُهُ وَمَنْ کَانَ خَلْفَهُ مِمَّنْ أَتَمَّ الصَّلَاةَ.
যদি ইমাম সালাত আদায় করে বসে থাকে এবং কথা বলার আগেই অযু ভেঙ্গে যায়,  তবে তার সালাত পূর্ণ হয়ে গেছে এবং যার পিছনে রয়েছে তাদের সকলের নামাজ পূর্ণ হয়ে যাবে।

إِذَا أَحْدَثَ یَعْنِي الرَّجُلَ وَقَدْ جَلَسَ فِي آخِرِ صَلَاتِهِ قَبْلَ أَنْ یُسَلِّمَ فَقَدْ جَازَتْ صَلَاتُهُ.
أبي داود، السنن، 1: 167، رقم: 617، دار الفکر
ترمذي، السنن، 2: 261، رقم: 408، بیروت، لبنان: دار احیاء التراث العربي
 সারমর্মঃ সালাম ফিরানোর পূর্বেই যদি অযু ভেঙ্গে যায়,তাহলে তার নামাজ হয়ে যাবে।
۔
عن علی بن أبي طلق رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: إذا فسا أحدکم في الصلاۃ فلینصرف فلیتوضأ ولیعد صلا تہ۔ (سنن أبي داؤد ۱؍۱۴۴ رقم: ۱۰۰۵)
কাহারো যদি নামাজের মধ্যে বায়ু বের হয়,তাহলে সে অযু করার জন্য যাবে।
এবং নামাজ পুনরায় আদায় করবে।   

إذا سبقہ الحدث  بعد ما قعد قدر التشہد في القعدۃ  الأخیرۃ، فإن صلا تہ تامۃً فرضاً عندہما، وعند أبي حنیفۃؒ لم تتم صلا تہ فرضاً فیتوضأ ویخرج منہا بفعل مناف لہا۔ (البحر الرائق، ۲۹۵/١)
সারমর্মঃ শেষ বৈঠলে তাশাহুদ পরিমাণ পর্যন্ত বসার পর অযু ভেঙ্গে যায়,তাহলে আবু হানিফা রহঃ এর নিকটে তার নামাজ  পূর্ণ হবেনা।
অযু করে এসে অবশিষ্ট  নামাজ  আদায় করবে।

وإن سبقہ الحدث من غیر عمدہ في ہذہ الحالۃ فکذلک تمت صلاتہ عندہما، وقال أبو حنیفۃ: یتوضأ ویخرج عن الصلاۃ، بفعلہ قصداً لکونہ فرضا قد بقي علیہ من فرائضہما، حتی لو لم یتوضأ ولم یخرج بصنعہ؛ بل عمل عملاً ینافي الصلاۃ من غیر متعلقات الوضوء تبطل صلاتہ لفعلہ فرضا من فرائضہما، وہو الخروج منہا بغیر طہارۃ۔ (حلبي کبیر، ۲۹۱)
সারমর্মঃ ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ এর নিকটে নামাজ হয়ে যাবে।
আবু হানিফা রহঃ এর নিকটে তার নামাজ  পূর্ণ হবেনা।
অযু করে এসে অবশিষ্ট  নামাজ  আদায় করবে।

من سبقہ حدث توضأ وبني ولایعتد بالتي أحدث فیہا ولابد من الإعادۃ، والاستئناف أفضل کذا في المتون وہذا في حق الکل عند بعض المشائخ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ، کتاب الصلاۃ،۱/۱۵۲)
সারমর্মঃ তার নামাজ পুনরায় আদায় করা জরুরী।
বেনা করা উত্তম।   
۔
تبطل الصلاة إذا طرأ علی المصلي ناقض الوضوء، أو الغسل، أو التیمم، أو المسح علی الخفین، أو الجبیرة، ما دام المصلي لم یفرغ من صلاته بالسلام، وہذا الحکم متفق علیه، إلا عند الحنفیة.

إنما یبطل طرو ناقض لهذه الأمور إذا کان قبل القعود الأخیر بقدر التشهد. أما إذا طرأ بعده فلا تبطل به الصلاة علی الراجح.
عبدالرحمٰن الجزیري، کتاب الفقه علی المذاهب الأربعة، 1: 278
، بیروت، لبنان: دار الکتب العلمیة
সারমর্মঃ হানাফি কিছু ইমামের মত অনুসারে তার নামাজ হয়ে যাবে।  
۔
قال في الدر (مع الرد کتاب الصلاة، باب الاستخلاف ۲/۳۵۲، ۳۵۳ مکتبہ زکریا دیوبند): ولو بعد التشہد لیأتي بالسلام“ اھ 
وفي الرد: قولہ: ”لیأتي بالسلام“ قال ابن الکمال: صرح بذلک في الہدایة وہذا صریح في أنہ لا خلاف للإمامین ہنا إذ لا خلاف لہما في وجوب التسلیم اھ وأراد بہ الرد علی صدر الشریعة ومنلا خسرو․․․ اھ وقال في الدر (مع الرد کتاب الصلاة، باب صفة الصلاة ۲:۱۶۲): و من الواجبات- لفظ السلام مرتین فالثاني واجب علی الأصح برہان دون علیکم اھ وفي الرد: قولہ: ”دون علیکم“ فلیس بواجب عندنا 
সারমর্মঃ তাকে সালাম ফিরাইতেই হবে।
কেননা সেটি ওয়াজিব।
۔
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 50737 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে তার নামাজ হয়ে যাবে।
তবে যেহেতু সালাম ফিরানো ওয়াজিব।
সুতরাং অযু করে উভয় দিকেই অথবা শুধু এক দিকে সালাম ফিরানো ওয়াজিব।
অন্যথায় নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে। 
,
(গ) 
সুতরাং অযু করে এসে জামাত না পেলে আপনি শুধু সালাম ফিরাবেন।
,
(ঘ)
 অযু করে এসে আপনি শুধু সালাম ফিরাবেন।
,
(e)
নামাজ পুরাটা দোহরাতে হবেনা।
হ্যাঁ যদি অযু করে এসে সালাম না ফিরান,কথাবার্তা ইত্যাদিতে মগ্ন হোন,তাহলে নামাজ পুনরায় দোহরাতে হবে।
,    
(চ)
কানটুপির উপর সেজদাহ মাকরুহ,তবে এতে নামাজ হয়ে যাবে।
,
আর ওযর বশত এর উপর সেজদাহ করলে কোনো সমস্যা নেই।
,   
عن عیاض بن عبداللہ القرشی قال: رأی النبی صلی اللہ علیہ وسلم رجلاً یسجد علی کور العمامة فأومأ بیدہ أن أرفع عمامتک فأومأ الی جبہتہ․(مصنف ابن ابی شیبة:۱/۲۶۷)
সারমর্মঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ একজনকে পাগড়ির প্যাচের উপর সেজদাহ করতে দেখে তাকে হাত দিয়ে ইশারা করে কপাল থেকে পাগড়ি উপরে উঠাতে বললেন।

وعن علی 
قال: اذاصلی أحدکم فلیحسر العمامة عن جبہه
(مصنف ابن ابی شیبة:۱/۲۶۷)
সারমর্মঃ চেহারা থেকে পাগড়ি সড়াইতে হবে।  

وان سجد علی کور عمامتہ اذاکان علی جبہتہ أوفاضل أي طرف ثوبہ جاز ویکرہ الا من عذر․(اللباب فی شرح الکتاب:۱/۳۷) 
সারমর্মঃ  যদি কেহ পাগড়ির প্যাচের উপর সেজদাহ করে,কাপড়ের এক কোনার উপর সেজদাহ করে,তাহলে তাহা জায়েজ,তবে মাকরুহ।
হ্যাঁ যদি অযর বশত হয়,তাহলে মাকরুহ হবেনা। 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কানটুপির উপর সেজদাহ করলে নামাজ হয়ে যাবে।
তবে মাকরুহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...