ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
" مَا مِنْ عَبْدٍ قَالَ: لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، ثُمَّ مَاتَ عَلَى ذَلِكَ إِلَّا دَخَلَ الجَنَّةَ "
যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে,অতপর এই কালেমার উপর মৃত্যু বরণ করবে,সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।(সহীহ বোখারী-৫৮২৭)
আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের বড় দশটি আকিদার সপ্তম নম্বর আকিদা হল,
"আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ না হওয়া।
আল্লাহ তা'আলা রহমান এবং রাহীম তথা অসীম দয়ালু।আল্লাহ রহমত থেকে একমাত্র কাফিরই নিরাশ হতে পারে।"
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ ০ وَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَه ُ০
অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে।এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে।(সূরা যিলযাল-৭-৮)
সুতরাং যদি কেউ দুনিয়াতে গোনাহের কাজে লিপ্ত থাকে,সেজন্য আখিরাতে তাকে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।তবে সে ইসলাম থেকে খারিজ হবে না।সে যত গোনাহ-ই করুক না কেন,একদিন না একদিন সে কালিমা পড়ার কারণে অবশ্যই জান্নাতে যাবে।তাই তাকে হেয়পতিপন্ন করা বা তিরস্কার করা জায়েয হবে না।সে গোনাহ করতেছে ঠিক কিন্তু আল্লাহ তার ব্যাপারে কি ফয়সালা করবেন সেটা তো অদ্য নিশ্চিত না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1786
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কেউ যদি জিনা করে আবার নামাজ পড়ে তাহলে সে অবশ্যই এর শাস্তি পাবে তবে এজন্য তার নামাজ ও দোয়া কবুল হবে না, এমনটা ধারণা করা সঠিক হবে না। বরং আল্লাহ ইচ্ছা হলে তার আ'মল কবুল করে নিতেও পারেন। হ্যা, সাধারণ নিয়ম হিসেবে কবুল না হওয়ারই কথা।
(২) প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক হবে না।