ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)রুকু থেকে ওঠার সময় ইমাম সাহেব শুধুমাত্র তাসবিহ (সামিআল্লাহু লিমান হামিদা) পাঠ করবেন।আর মুক্তাদি শুধুমাত্র তাহমিদ (রাব্বানা লাকাল হামদ) পাঠ করবে। এবং মুনফারিদ তাকবীর(আল্লাহু আকবার) ও তাহমিদ উভয়টি বলবে।এটাই মুস্তাহাব। কেউ যদি তাসবিহের পর তাকবীর দিয়ে তারপর তাহমিদ বলে ফেলে তাহলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না। কেননা এটা দু'আর জায়গা।অতিরিক্ত বলে ফেললে কোনো সমস্যা হবে না।
فَإِنْ كَانَ إمَامًا يَقُولُ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ بِالْإِجْمَاعِ، وَإِنْ كَانَ مُقْتَدِيًا يَأْتِي بِالتَّحْمِيدِ وَلَايَأْتِي بِالتَّسْمِيعِ بِلَا خِلَافٍ، وَإِنْ كَانَ مُنْفَرِدًا الْأَصَحُّ أَنَّهُ يَأْتِي بِهِمَا، كَذَا فِي الْمُحِيطِ. وَعَلَيْهِ الِاعْتِمَادُ، كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة. وَهُوَ الْأَصَحُّ، هَكَذَا فِي الْهِدَايَةِ. ثُمَّ فِي الرِّوَايَةِ الَّتِي تَجْمَعُ يَأْتِي بِالتَّسْمِيعِ حَالَ الِارْتِفَاعِ وَإِذَا اسْتَوَى قَائِمًا قَالَ: "رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ"، كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ. وَهُوَ الصَّحِيحُ، كَذَا فِي الْقُنْيَةِ. سُئِلَ يُوسُفُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَمَّنْ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ الرُّكُوعِ وَلَمْ يَقُلْ عِنْدَ الرَّفْعِ "سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ" قَالَ: لَا يَأْتِي بِهِ بَعْدَمَا اسْتَوَى قَائِمًا، وَكَذَا كُلُّ ذِكْرٍ يُؤْتَى بِهِ فِي حَالِ الِانْتِقَالِ لَايُؤْتَى بِهِ فِي غَيْرِ مَحِلِّهِ كَالتَّكْبِيرِ الَّذِي يُؤْتَى بِهِ عِنْدَ الِانْحِطَاطِ مِنْ الْقِيَامِ إلَى الرُّكُوعِ أَوْ مِنْ الرُّكُوعِ إلَى السُّجُودِ، وَكَذَا لَا يَأْتِي بِبَقِيَّةِ تَسْبِيحَةِ السُّجُودِ بَعْدَ رَفْعِ رَأْسِهِ بَلْ الْوَاجِبُ أَنْ يُرَاعَى كُلُّ شَيْءٍ فِي مَحَلِّهِ، كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة نَاقِلًا عَنْ الْيَتِيمَةِ. إذَا قَالَ: "سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهْ" يَقُولُ الْهَاءَ بِالْجَزْمِ وَلَايُبَيِّنُ الْحَرَكَةَ فِي الْهَاءِ، كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة نَاقِلًا عَنْ الْحُجَّةِ". (الْفَصْلُ الثَّالِثُ فِي سُنَنِ الصَّلَاةِ وَآدَابِهَا وَكَيْفِيَّتِهَا، ١ / ٧٥ - ٧٦، ط: دار الفكر) فقط واللہ اعلم
(২) বাচ্চার গায়ে প্রশ্রাব লেগে শুকিয়ে গেলে তাকে একটি পাত্রে পানি নিয়ে তার মধ্যে বসিয়ে গোসল করালে বাচ্চার শরীর পবিত্র হবে না। বরং পানি ঢেলে দিয়ে ধৌত করতে হবে।
(৩)বাচ্চার হাত অপবিত্র হয় যদি তারপর সেটা শুকিয়ে যায় এরপর বাচ্চার মুখে হাত দিয়ে বাচ্চা হাত ভিজিয়ে ফেলে এবং সেই ভিজা হাত দিয়ে কারো শরীর কিংবা কাপড়ে লাগে,তাহলে তা নাপাক হয়ে যাবে।
(৪)পরিষ্কার ভেজা হাত মোছার পরেও হাতে খুব সামান্য পানিতে ভেজা ভেজা তারপর এমন বাচ্চার শরীরে হাত দেওয়া হয় যে বাচ্চার শরীর প্রসাব লেগে শুকিয়ে গেছে,যদি হাতে এমন পরিমাণ পানি থাকে যে, বাচ্ছার শরীর ভিজে যায়, তাহলে হাত নাপাক হবে নতুবা হাত নাপাক হবে না।
(৫)বাচ্চার প্রস্রাব হাতে লেগে শুকিয়ে গেলে ওই হাত তেলের বোতলে মুখে দিয়ে তেল নিলে ওই তেল নাপাক হবে না।
(৬)হালকা ভিজা পাক কাপড় শুকনো নাপাক কাপড়ে লাগলে তা নাপাক হবে না।
(৭)নাপাক ফ্লোরের উপর ভিজা জুতা পায়ে দিয়ে হাটলে জুতার তলার পানি ছিটকে পায়ে লাগলে পা নাপাক হয়ে যাবে।
(৮) জমি বন্ধক নেয়ার পর সেই জমিতে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করা জায়েয হবে না।