আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
168 views
in পবিত্রতা (Purity) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম হযরত

আশা করছি ভালো আছেন আল্লাহর রহমতে।

কয়েকদিন আগে প্রশ্ন করেছিলাম। আমার ওয়াইফ প্রেগন্যান্ট হয়েছিল। পরে সে ঔষধ খেয়ে নষ্ট করে ফেলে। এই বিষয় নিয়ে।

যাই হোক, এখন প্রশ্ন অন্য বিষয়।
১. ঔষধ খেয়ে নষ্ট করার পর যে রক্ত যায় সেটাতো হায়েজ এর রক্ত, নাকি নেফাসের রক্ত?
২. হায়েজ হলে ১০দিন পর যে রক্ত যায়, সেটা তো ইস্তেহাযা?  দানার মতো রক্ত যাচ্ছে।

৩. দশ দিন পরে রক্ত গেলে যদি ইস্তেহাযা হয়,তাহলে কি সহবাস করা যায়?

৪. তখন কি নামায আদায় করবে?

৫. হায়েজের সময় সহবাস না করে, অন্যভাবে অর্গাজম করা কি জায়েজ? ( স্তনের মাধ্যমে আদর করে / অন্যান্য হালাল পন্থায়)ঁ

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الْعَطَّارُ ، أَنَا وَكِيعٌ ، ح : وَحَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ - جَمِيعًا - عَنِ الْأَعْمَشِ ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، فَقَالَتْ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلَا أَطْهُرُ ، أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ ؟ فَقَالَ : " دَعِي الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِكِ ، ثُمَّ اغْتَسِلِي وَصَلِّي ، وَإِنْ قَطَرَ الدَّمُ عَلَى الْحَصِيرِ "

আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি রক্তপ্রদরের রোগিনী, কখনও পাক হই না, আমি কি নামায ছেড়ে দিবো? তিনি বলেন, তোমার মাসিক ঋতুর কয়দিন তুমি নামায ছেড়ে দিবে, অতঃপর গোসল করবে এবং নামায পড়বে, পাটির উপর রক্তের ফোটা পতিত হলেও। অন্যান্য রাবী ওয়াকী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, “এবং তুমি প্রতি ওয়াক্ত নামাযের জন্য উযু করবে”। (সুনানে দারা কুতনি ৭৯৮)

যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী রক্ত নেফাস হিসেবে গণ্য হবে। আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত হয়। আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১)

পিরিয়ড ৩ দিনের কম হলে বা ১০ দিনের অধিক হলে শরীয়তে তাকে হায়েজ বলে না। ইস্তিহাজা বলে। এমতাবস্থায় নামাজ রোজা করতে হয়। নামাজ আদায় কতে হয় প্রতি ওয়াক্তে নতুন অজু করে। (হেদায়া ১/৬২-৬৩)।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,

১-৪. আপনার এক থেকে চার নং প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর। তা হলো, প্রেগন্যান্ট হওয়ার কতদিন পরে গর্ভপাত হয়েছে? দুর্ঘটনাবশত অসময়ে গর্ভপাত হলে বা ইচ্ছাকৃত অসময়ে গর্ভপাত ঘটানো হলে যদি গর্ভের বাচ্চা মানবাকৃতি ধারণ করে থাকে কোনো কোনো অঙ্গ-প্রতঙ্গ গঠন হয়ে যায় তাহলে গর্ভপাতের পর যে রক্ত বের হবে তা নেফাস বলে গণ্য হবে। যে কয়দিন রক্ত যাবে সে কয়দিনের নামাজ মাফ। এ অবস্থায় রমজানের রোজা রাখা যাবে না। পরে কাজা করতে হবে। যদি বাচ্চা মানবাকৃতি ধারণ না করে থাকে তাহলে বাচ্চা নষ্ট হওয়া বা গর্ভপাত ঘটানোর আগে যদি মহিলা অন্তত ১৫ দিন পবিত্র থেকে থাকেন (অর্থাৎ ১৫ দিন যাবত কোনো ধরনের স্রাব বা রক্ত বের না হয়ে থাকে) তাহলে বাচ্চা নষ্ট বা গর্ভপাত ঘটানোর পরের রক্ত হায়েজ ধর্তব্য হবে। তবে যদি ৩-১০ দিন রক্ত যায় তাহলে কেবল তা হায়েজ গণ্য হবে। এ সময়ের নামাজ মাফ, এ সময় রোজা রাখা নিষেধ। তবে পরে কাজা করতে হবে, অন্যথায় অর্থাৎ মানবাকৃতি ধারণ করেনি এমন গর্ভ নষ্ট হওয়ার আগে ১৫ দিন পবিত্র না থাকলে বা গর্ভ নষ্ট হওয়ার পর ৩ দিনের কম বা ১০ দিনের অধিক রক্ত গেলে তা রোগ (ইস্তিহাজা) গণ্য হবে। এ সময় রমজান মাস হলে রোজা রাখতে হবে এবং স্বামী স্ত্রী শারীরিক সম্পর্কও করতে পারবে। প্রত্যেক ওয়াক্তে নতুন অজু করে নামাজ আদায় করতে হবে। বিষয়টি খুবই জটিল তাই প্রয়োজনে বিজ্ঞ মুফতির সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলে নেওয়া উচিত। (তাতারখানিয়া, ১/৩৯৩-৯৪, আলমগীরি ১/৩৭) (আংশিক সংগৃহিত)

৫. স্ত্রীর মাসিক চলাকালীন স্ত্রীর সাথে সহবাস করা ব্যতীত স্ত্রীকে স্পর্শ করা যাবে এং একে অপরের মনোরঞ্জনের জন্য অন্য সব আচরণের অনুমতি রয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...