ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সফরের হালতে যখন ফরয ব্যতিত অন্য কোনো নামায পড়া সম্ভব হবে না তখন শুধুমাত্র ফরয পড়বেন।তাছাড়া বিশেষ এমন কোনো অসুবিধা যেখানে সুন্নত পড়া কোনোক্রমেই সম্ভব হয়, সেই সময় সুন্নত তরক করার সুন্নত তরক করার রুখসত রয়েছে।
(২)
হায়েজ অবস্থায় সূরা বাকারার শেষ ২ আয়াত ও সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত দু'আ হিসেবে পড়া যাবে।
(৩) কোন পরপুরুষ যদি আপনার রান্না খেয়ে আপনার রান্নার প্রশংসা করে, তাহলে এতেকরে আপনার কোনো গুনাহ হবে না।
(৪)
স্বামীর জাদর সমস্যার জন্য নিম্নোক্ত আ'মল করা যেতে পারে।
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে নিজেও পালন করবেন এবং স্বামীকেও বলবেন।।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।
নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বিশেষ করে সূরা নাস ও ফালাক পড়ে স্বামীর শরীরে ফু দিবেন।