আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
reshown by
হুজুর আমি আমার স্ত্রীকে পর্দা নিয়ে উপদেশ দিতেছিলাম।আমার স্ত্রী পরিপূর্ণভাবে পর্দা করতে পারেন নাই, তিনি নওমুসলিমা।তাই উনাকে সুন্দর করে বুঝাইতেছিলাম।কথার মাঝখানে বলি "হ্যা, একটা টাইমে হয়তো অনেক বেশি পর্দা করবা"। এই কথা বলার সময় বা পরে(খুব সম্ভবত পরে) আমার মাথায় আসে তখন তো তা**প্রাপ্তা থাকবা অথবা আমি মারা যাবো।আমি পুরোপুরি নিশ্চিত  না যে এটা মনের ওয়াসোয়াসা নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে আসছে।তারপরই আমি কথাটাকে সুন্দর করে বলি যে যখন ইনায়া চলে আসবে(আমাদের পছন্দ করা ভবিষ্যৎ মেয়ের নাম) তখন হয়তো অনেক বেশি পর্দা করবা।কিন্তু ততদিন অবধি আমার দায়িত্ব হলো তোমায় বোঝানো।
১.অনিচ্ছাকৃতভাবে বাক্যটা মনে আসার কারনে কী এটা কেনায়া বাক্য হবে?

২.ইচ্ছাকৃতভাবে যদি বাক্যটা মাথায় আসে  বা এই নিয়তে যদি বলে থাকি(যদিও এরকম হওয়ার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে ) তাহলে কি এটা কেনায়া বাক্য হবে।আমার স্ত্রীর উপর কি কোনো তা*** পতিত হবে?

৩.আমার যেহেতো ঠিক মনে নাই সেহেতু কথাটা মাথায় এরকম আসতাছে যে " একটা টাইমে হয়তো অনেক বেশি পর্দা করবা  (বাকিটুকো মনে ভেসে আসছে)তখন হয়তো তা** হয়ে যাবে, বা দিয়ে দিবো, তখন তা*** হইয়া যাইতে পারে।

এটা কি কোনো শর্তযুক্ত বাক্য  হয়ে যাবে?

নোট:আমি আমার কথাকে যথাসাধ্য সংযত রাখার চেষ্টা করি এবং সবসময় খেয়াল রাখি অজান্তে কোনো কেনায়া বাক্য যাতে না বলে ফেলি।

৪.বিয়ের আগে একদিন আমার স্ত্রীয়ের কাছ থেকে জানতে পারি যে স্ত্রীরাও তা** দিতে পারেন।আমার প্রশ্ন ছিলো(আমি জানতে চাইছিলাম আমার স্ত্রী এই নিয়া ঘাটাঘাটি করে কি না)"স্ত্রীরাও কি তা*** দিতে পারেন?" আমার স্ত্রী উত্তর দেন এটাই স্বাভাবিক তাই না? আমি হয়তো তখন হ্যাঁ বলেছিলাম।

আমার বিয়েতে লিখিত কাবিননামা ছিলো না এবং বিয়ের সময় স্ত্রী তালাক দিতে পারবেন এরকম কোনো শর্তও উল্লেখ করা হয়নি।বিয়ের দুইদিন পর আমার স্ত্রীকে বলি কোনো ছেড়ে যেও না?এখানে তা** অধিকার দেওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিলো না।আমি তার ঠিক পরেই ক্লেয়ার করি যে আমি তালাকের অধিকার দেই নাই।আরো কয়েকবার এরকম ঘটনা হয়। যেখানে আমি ভালোবেসে আমার স্ত্রীকে বলি যে কোনো ছেড়ে যাইও না।তারপর একদিন ক্লেয়ার করে বলি আমি তোমায় তা** এর অধিকার দেই নাই।আগে যদি অজান্তে দিয়ে থাকি তবে তা ফিরিয়ে নিলাম।

উপরের কথোপকথনের কোনো কারনে কি আমার স্ত্রী তা** এর অধিকার পেয়েছেন?আর যদি পেয়ে থাকেন আমার ফিরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে কি তা আবার ফিরিয়া নেওয়া হয়েছে?

৫.একদিন ওয়াটসাপ এর একটা স্ট্যাটাসে আমার স্ত্রী একটি ছবি দেন।তখন আমি জিগ্যেস করি যে এটা শুধু কি আমি দেখতে পারব কি না।আমার স্ত্রী আমার রাগ উঠানোর জন্য বলেন যে না।

তারপর কয়েকটা পরিচয় দেন যা আমাকে বোঝায়।যেমন -ইনায়ার(আমাদের পছন্দ করা ভবিষ্যৎ মেয়ের নাম) আব্বু,ইনায়ার ভাইয়ার আব্বু,আমার জামাই,অমুকের ভাই(আমার ভাই, বোনের নাম নিয়ে),আমার শাশুড়ী আম্মার ছেলে ইত্যাদি। কথা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে এতে আমাকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেছেন।আমি তখন কেনায়া তা** হয়ে গেলো কি না এই ভয় পেয়ে যাই।আবার রাগও উঠে।তাই শুধু একটা লাভ রিয়েক্ট দিয়ে পরে কথা বলি এরকম বলেছিলাম।পরর মনে হলো আমি লাভ রিয়েক্ট কি কেনায়া তা** এর উদ্দেশ্যে দিলাম?

৪ নং প্রশ্নের আলোকে যদি আমার স্ত্রী তা** এর অধিকার প্রাপ্তা হোন তাহলে কি উপরিউক্ত কথার দ্বারা কেনায়া তা** পতিত হবে?আমার এই রিয়েক্ট এর কারণে  কি কেনায়া তা** হওয়ার সম্ভাবনা আছে?

৬.হুজুর আমি বিয়ের আগের দিন কোথাও যাওয়ার সময় আমার এক বন্ধুর মজা করা নিয়ে বলেছিলাম"হামারা জানাযে পে তোম  সানাই বাজাও?"।নি:সন্দেহে আপনি উর্দু জানেন। তার পরো আমি বাংলাতে বলি,আমার জানাজায় তুমি সানাই বাঝাইতাছো?বিয়ের আগে আমার স্ত্রীকে বলি আজকে থেকে স্বাধীনতা শেষ।বিয়ের পরও এই কথা বলি।বিয়ের পর একদিন আমার বন্ধুর উত্তর এ বলি বিয়ে করো নাই তো,যখন করবা তখন বুঝবা মজা।তারপর একদিন আমার স্ত্রীয়ের সাথে দেখা করতে যাওয়ার সময় বন্ধুরা হাসতেছিল।তখন বলি যে আমার জানাযায় হাসিও না।উর্দুতে বলেছিলাম।মজা করে।

এই কথাগুলোর কোনোটাই তা** এর উদ্দেশ্যে বলি নাই।এখানে কি কেনায়া বা কোনোধরনের তা** পতিত হওয়ার সম্ভবনা আছে?

৭.বিয়ের আগে হাইস্কুলে থাকতে, আমার এক ছেলে বন্ধুর সাথে আমার ঘনিষ্ঠ লতা দেখে সবাই জামাই বঊ বলে মজা করত।আমিও তাকে বউ বলে মজা করতাম(আমাদের কেউই সমাকামি না)।একবার কথার প্রেক্ষিতে তাকে উদ্দেশ্য করে বকি যে আমার বউ তা**।তখন বিয়ের আগে তা** হয় কি না এসব কিছুই জানতাম না।এখানে কি আমার বিবাহিত জীবনে তথা আমার বিবাহিত স্ত্রীর উপর কোনোরুপ তা** পতিত হবে?

৮.বিয়ের আগে যদি কখনো অজান্তে এমন বলে থাকি, আমি যাকে বিয়ে করব সে *** যা আমার মনে নেই। আর এভাবেই যদি মারা যাই তাহলে কি আল্লাহ আমাকে মাফ করবেন?

হুজুর দয়া করে প্রত্যেকটা প্রশ্নের আলাদাভাবে উত্তর দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
reshown by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।
https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...