উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ফেসবুকে ছদ্মনাম ব্যবহার করে,(ফেইক আইডি খুলে),যেকোনো নামে (ফেইক) ই - মেইল একাউন্ট ব্যবহার করে, ন্যায্য বিষয় নিয়ে,সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে লেখালেখি করা জায়েজ আছে। তবে শরীয়ত বহির্ভূত কোনো কাজ করা যাবেনা।
অসৎ কাজ করা যাবেনা।
,
দেশ ও মানবতা বিরোধী কোনো কিছু করা যাবেনা। এই ফেইক আইডি ব্যবহার করে কাউকে এমন কথা বলা যাবেনা,যেটা ধোকা দেওয়া বুঝায়।
কারন ধোকা দেওয়া ইসলামে জায়েয নেই।
★আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
,
★হাদীস শরীফে এসেছে
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
★অন্য এক হাদীসে এসেছে
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
,
সুতরাং কাউকে যদি ধোকা না দেওয়া হয়,অসৎ কাজ যদি না করে,এবং শরীয়ত বহির্ভূত কোনো লেখালেখি না করা হয়,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত আইডি,ইমেইল খোলা জায়েজ আছে।
,
তবে কাউকে ধোকা দেওয়া হলে,অসৎ কাজ করলে,বা শরীয়ত বহির্ভূত কোনো কাজ করা হলে এটি জায়েজ হবেনা।