আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ।
কোনো সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষ যদি অপারেশন করে পুরূষালি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ থেকে নিজেকে মুক্ত করে,  এবং এরপর নারীর বেশভূষা গ্রহণ করে,  তাকে সম্পত্তি বন্টনের সময় কি নারী হিসেবে বিবেচনা করতে হবে? নাকি পুরুষ? এবং এরকম কেউ মারা গেলে মাইয়্যেতের গোসল,দাফন-কাফনের সময় কি হিসেবে বিবেচিত হবে?  সে তো অপারেশনের পর আর পরিপূর্ণ পুরুষ নেই, কিন্তু জন্মের সময় পরিপূর্ণ পুরুষ ছিলো। তাহলে তাকে কি বিবেচনা করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (679,640 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদিস শরিফে আছেঃ-

عَنﺍﻟْﺤَﺴَﻦُ ﺑْﻦُ ﻛَﺜِﻴﺮٍ , ﺳَﻤِﻊَ ﺃَﺑَﺎﻩُ ، ﻗَﺎﻝَ : ﺷَﻬِﺪْﺕُ ﻋَﻠِﻴًّﺎ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ، ﻓِﻲ ﺧُﻨْﺜَﻰ ، ﻗَﺎﻝَ " : ﺍﻧْﻈُﺮُﻭﺍ ﻣَﺴِﻴﻞَ ﺍﻟْﺒَﻮْﻝِ ، ﻓَﻮَﺭِّﺛُﻮﻩُ ﻣِﻨْﻪُ " 

ভাবার্থঃ-হাসান ইবনে ক্বাসির তার বাবাকে বলতে শুনেছেন,তিনি বলেনঃআমি হযরত আলী রাঃ কে দেখেছি তিনি খুনছা(হিজরা)দের বিষয়ে বলেনঃ তোমরা প্রস্রাব প্রবাহিত হওয়ার স্থান দেখে তাদেরকে (পুরুষ-মহিলা রূপে সাব্যস্ত করো এবং)ওয়ারিছ বানাও।(সুনানে বায়হাক্বী-১১৫৯১)

অন্যত্র বর্ণিত রয়েছে

ﻓﻘﺎﻝ ﻋﻠﻲ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ - : ﺇﻥ ﺑﺎﻝ ﻣﻦ ﻣﺠﺮﻯ ﺍﻟﺬﻛﺮ ﻓﻬﻮ ﻏﻼﻡ ، ﻭﺇﻥ ﺑﺎﻝ ﻣﻦ ﻣﺠﺮﻯ ﺍﻟﻔﺮﺝ ﻓﻬﻮ ﺟﺎﺭﻳﺔ .

হযরত আলী রাঃ বলেনঃযদি সে পুঃলিঙ্গ দিয়ে প্রস্রাব করে তাহলে সে বালক,আর যদি সে স্ত্রীঃলিঙ্গ দিয়ে প্রস্রাব করে তাহলে সে বালিকা।(আসসুনানুল কুবরা-১২১৮৬)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
কোনো সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষ যদি অপারেশন করে পুরূষালি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ থেকে নিজেকে মুক্ত করে, এবং এরপর নারীর বেশভূষা গ্রহণ করে,  তাকে সম্পত্তি বন্টনের সময় পুরুষ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

★এ এরকম কেউ মারা গেলে সেই মাইয়্যেতের গোসল,দাফন-কাফনের সময় সে কি হিসেবে বিবেচিত হবে,সেটি নির্ভর করে তার বাহ্যিক অবয়ব এর উপর।

যদি তার বাহ্যিক অবয়ব পুরুষের মত হয়,(দাড়ি গজানো ইত্যাদি) সেক্ষেত্রে তার  মৃত্যুর পর তার লাশের ক্ষেত্রে পুরুষ মাইয়েতের বিধান প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ গোসল দেয়া, কাফন পরানো, দাফন করা ও জানাযার নামাযসহ সবই পুরুষের মত করা হবে।

আর যদি তার অবয়ব নারী সদৃশ এবং তার মধ্যে মেয়েলি নিদর্শনই প্রবল তার মৃত্যুর পর  উল্লেখিত সকল ক্ষেত্রে মহিলা মাইয়্যেতের বিধান প্রযোজ্য হবে।

(কিতাবুল আছল ৯/৩২২; শরহু মুখতাসারিত তাহাবী ৪/১৪৯।)

তবে যদি পুরুষ ও নারীর কোনো অবয়বই তার মাঝে না থাকে, অর্থাৎ যদি মুশকিলাহ হয়,সেক্ষেত্রে বিধান ভিন্ন।
তার গোসলের বিধান হলোঃ

وَأَمَّا حُكْمُ غُسْلِهِ بَعْدَ الْمَوْتِ فَلَا يَحِلُّ لِلرَّجُلِ أَنْ يُغَسِّلَهُ لِاحْتِمَالِ أَنْ يَكُونَ أُنْثَى وَلَا يَحِلُّ لِلْمَرْأَةِ أَنْ تُغَسِّلَهُ لِاحْتِمَالِ أَنَّهُ ذَكَرٌ وَلَكِنَّهُ يُيَمَّمُ، كَانَ الْمُيَمِّمُ رَجُلًا، أَوْ امْرَأَةً، غَيْرَ أَنَّهُ إنْ كَانَ ذَا رَحِمٍ مَحْرَمٍ مِنْهُ يَمَّمَهُ مِنْ غَيْرِ خِرْقَةٍ، وَإِنْ كَانَ أَجْنَبِيًّا يَمَّمَهُ بِالْخِرْقَةِ وَيَكُفُّ بَصَرَهُ عَنْ ذِرَاعَيْهِ. (بدائع الصنائع، كتاب الخنثى، فَصْلٌ فِي حُكْمُ الْخُنْثَى الْمُشْكِلِ-7\328)

সারমর্মঃ  এই জাতীয় হিজড়া মারা গেলে পুরুষ তাকে গোসল দিতে পারবে না যেহেতু নারী হবার সম্ভাবনা আছে। নারীও দিতে পারবে না, যেহেতু পুরুষ হবার সম্ভাবনা আছে। তাই তাকে তায়াম্মুম করিয়ে দিবে। মাহরাম হলে তার হাত দিয়েই তায়াম্মুম করাবে।
আর যদি গায়রে মাহরাম তায়াম্মুম করাতে আসে, তাহলে হাতে কাপড় পেঁচিয়ে তারপর তায়াম্মুম করাবে।

তার কাফনের বিধান হলোঃ

(قَوْلُهُ وَخُنْثَى مُشْكِلٌ كَامْرَأَةٍ فِيهِ) أَيْ فَيُكَفَّنُ فِي خَمْسَةِ أَثْوَابٍ احْتِيَاطًا لِأَنَّهُ عَلَى احْتِمَالِ كَوْنِهِ ذَكَرًا فَالزِّيَادَةُ لَا تَضُرُّ قَالَ فِي النَّهْرِ إلَّا أَنَّهُ يُجَنَّبُ الْحَرِيرَ وَالْمُعَصْفَرَ وَالْمُزَعْفَرَ احْتِيَاطًا (رد المحتار، باب صلاة الجنازة-2\204)
সারমর্মঃ
নারীদের মত কাফন দেয়া হবে হিজড়ায়ে মুশকিলাহ দের।
তথা পাঁচ কাপড় দেওয়া হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...