ক,
যবান দ্বারা একেবারেই কোনো গুনাহ (মিথ্যা,গীবত,চোগলখোরি, পরনিন্দা,অন্যের দোষ চর্চা,গালি গালাজ,ইত্যাদি কোনো গুনাহ) না করা।
খ,
বেশি দরুদ শরীফ পাঠ করা।
গ,
হালাল ভক্ষন করা।
.
عن ابن عباس رضي الله عنهما قال: تليت هذه الآية عند رسول الله: {يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الأَرْضِ حَلالًا طَيِّبًا}، فقام سعد بن أبي وقاص، فقال: يا رسول الله ادع الله أن يجعلني مستجاب الدعوة فقال له النبي: "يا سعد أطب مطعمك تكن مستجاب الدعوة، والذي نفس محمد بيده إن العبد ليقذف اللقمة الحرام في جوفه ما يتقبل منه عمل أربعين يومًا وأيما عبد نبت لحمه من سحت فالنار أولى به".
হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এ আয়াত “হে মানবসমাজ, পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু-সামগ্রী ভক্ষণ কর।” [সূরা বাকারা-১৬৮] আয়াতটি তিলাওয়াত করা হল।
তখন সাদ বিন আবী ওয়াক্কাস রা. দাঁড়ালেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি আমার জন্য দুআ করুন যেন আল্লাহ আমাকে মুস্তাজাবুদ দাওয়া [দুআ করলে সাথে সাথে কবুল হয় এমন] বানিয়ে দেন। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে সাদ! তুমি তোমার খাবারকে পবিত্র রাখো, [হালাল ভক্ষণ কর] তুমি মুস্তাজাবুত দাওয়া হয়ে যাবে।
যে সত্তার হাতে মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর প্রাণ তাঁর কসম! নিশ্চয় কোনো বান্দার পেটে যদি হারাম এক লোকমরা খাবারও প্রবেশ করে, তাহলে চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার আমল কবুল হয় না। আর ব্যক্তির যে মাংসপিন্ড হারাম সম্পদ বা সুদের টাকায় বৃদ্ধি হয়েছে, তার জন্য জাহান্নামই উত্তম।
[আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৪৯৫, আততারগীব ওয়াত তারহীব, হাদীস নং-২৬৬০]
.
ঘ,
ইখলাছের সহিত একনিষ্ঠ ভাবে দোয়া করা।
فعن النعمان بن بشير رضي الله عنه قال: وقد قال الله تعالى مبينًا وجوب إخلاص العبادة له: {وَمَا أُمِرُوا إِلاَّ لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ}[البينة: 5]
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা একনিষ্ঠ ভাবে ইবাদত করতে বলেছেন।
অর্থঃ
তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, নামায কায়িম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম।
ঙ,
গুনাহ এবং আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্নের দোয়া করা যাবেনা।
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا يَزَالُ يستجاب للعبد ما لم يدع بإثم أو قطيعة رحم».
,
চ,
দোয়ার সময় কলব হাজির রাখতে হবে,আল্লাহর দিকে মুতাওজ্জুহ হয়ে দোয়া করতে হবে,কবুল হবেই বিশ্বাস রেখে দোয়া করতে হবে।
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال النَّبِيّ صلى الله عليه وسلم: {ادْعُوا الله وأنتم موقنون بالإجابة، واعلموا أن الله لا يستجيب دعاءً من قلب غافل لاه}.
,
ছ,
নেক আমল করার মাধ্যমে এবং গুনাহ থেকে বেচে থাকার মাধ্যমে আল্লাহকে ভয় করতে হবে।
قال تعالى: {إِنَّ اللَّهَ لا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُوا مَا بِأَنفُسِهِمْ وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلا مَرَدَّ لَهُ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَالٍ}[الرعد: 11.
আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
,
জ,
দোয়া কবুল হওয়ার ব্যপারে কোনো তারাহুড়া করা যাবেনা।
النبي صلى الله عليه وسلم: «يُسْتَجَابُ لأَحَدِكُمْ ما لم يَعْجَل، يقول دَعَوْتُ فلم يستجب لي»