আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
ট্রেন ছাড়ার ১৫-২০ মিনিট পূর্বে টিকিট কাউন্টারে গিয়ে নির্ধারিত গন্তব্যের টিকিট চাইলে টিকিট দেয়া বন্ধ হয়ে গেছে বলে আমাকে জানানো হয়। টিকিট প্রদানের জন্য পুনরায় অনুরোধ জানালে টিকেট কাউন্টার হতে আমাকে টিকেট প্রদান করা সম্ভব হবে না জানিয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয় যে, প্লাটফর্মে ট্রেন দাঁড়ানো আছে আমি যেন দ্রুত ট্রেনে উঠি এবং ট্রেনের ভেতর থেকেই টিকিট সংগ্রহ করি। এমতাবস্থায় আমি দ্রুত ট্রেনে উঠি। ট্রেনে উঠে কামরায় কর্তব্যরত অ্যাটেনডেনট কে আমার টিকিট না থাকার বিষয়টি অবহিত করি এবং টিকিট প্রদানকারী ব্যাক্তি অর্থাৎ টিটিকে টিকিট প্রদানের জন্য আমার নিকট নিয়ে আসতে বলি। জবাবে তিনি আমার কাছে একশত টাকা দাবি করেন এবং বলেন টিকিট লাগবেনা বাকি বিষয় তিনি নিজেই দেখবেন। অসৎ উপায়ে টাকা উপার্জনের সহযোগিতা করা হবে বিষয়টি বুঝতে পেরে টিকেট ছাড়া টাকা প্রদানে আমি অস্বীকৃতি জানাই এবং আমাকে টিকেট/ মানি রিসিট প্রদানের জন্য বারবার একাধিক অ্যাটেনডেন্ট কে তাগাদা প্রদান করতে থাকি এমনকি রেলওয়ে ক্যান্টিনে কর্তব্যরত ক্যান্টিনবয়দের মাধ্যমেও টিটির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। এক পর্যায়ে আমি আমার গন্তব্যে পৌঁছে গেলেও টিকিট প্রদান করার মত কাউকে পাওয়া যায়নি। গন্তব্যে পৌঁছানোর পরে স্টেশনে কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারের কক্ষ ও তালা বন্ধ অবস্থায় দেখতে পাই।
উল্লেখ্য, শোভন চেয়ার শ্রেণীর যাত্রায় আমার গন্তব্যের ভাড়া ছিল ৭০ টাকা। যা ট্রেনের মধ্যে প্রদান করলে জরিমানা সহ কিছু বেশি প্রদান করা লাগতো যার পরিমাণ আমার জানা নেই।

আপনাদের প্রদত্ত বিগত প্রশ্ন-উত্তরের আলোকে_

১. নির্দিষ্ট ট্রেনের নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত টিকিট কেটে টিকিট নষ্ট করে ফেলা সম্ভব নয় কারণ এতে করে একজন যাত্রীর যাত্রা নষ্ট হবে। কারণ সিট/ আসন ছাড়া স্ট্যান্ডিং টিকিট কাটার কোন সুযোগ নেই। অনলাইনে শুধুমাত্র আসন সহ টিকিট ই প্রদান করা হয়। আর অফলাইনে অর্থাৎ লাইনে দাঁড়িয়েও টিকেট কাটা সম্ভব নয়।

২. ডাক টিকিট ক্রয় করে সরকারি ফান্ডে টাকা প্রদান করলে উক্ত টাকা ডাক বিভাগে জমা হবে উল্লেখ্য বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ডাক বিভাগ সম্পূর্ণ আলাদা বিভাগ। বাংলাদেশ রেলওয়ে ও বাংলাদেশ ডাক বিভাগ উভয়ই সরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও লাভ ক্ষতির হিসাব আলাদাভাবে করা হয়ে থাকে।
৩. সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে এমনিতেই সরকারি ফান্ডে অথবা বাংলাদেশ রেলওয়ের ফান্ডে জমা দেয়ার কোন চালান /ট্রেজারি নাম্বার খুঁজে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখিত হালতে ভ্রমণজনিত কারণে আমার কাছে বাংলাদেশ রেলওয়ের পাওনা ৭০ টাকা (জরিমানা ছাড়া), আমি কিভাবে দায়মুক্ত হতে পারবো মেহেরবানী করে জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ- 

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ

তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,

عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم 
  " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনার উপর আবশ্যক হলো যেভাবেই হোক সেই ৭০ টাকা সরকারী ফান্ডে জমা দেয়া।
চাই যে নামেই হোকনা কেনো।

সুতরাং ডাক টিকিট ক্রয় করে সরকারি ফান্ডে টাকা প্রদান করলে উক্ত টাকা ডাক বিভাগে জমা হলেও সেটিও যেহেতু সরকারী ফান্ড,তাই ৭০ টাকা আপনি এভাবেই জমা করবেন।

অথবা যেকোনো ট্রেনের টিকিট কাউন্টার থেকে ৭০ বা ৭০+ টাকা সমমূল্যের টিকিট ক্রয় করে তাহা ছিড়ে ফেলতে পারেন।
এতে যদিও সেই সীট ফাঁকা যাবে,তদুপরি আপনি উক্ত ৭০ টাকা হতে ঠিকই দায়মুক্ত হবেন।

তবে ১ম পদ্ধতি অবলম্বন করারই পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...