ট্রেন ছাড়ার ১৫-২০ মিনিট পূর্বে টিকিট কাউন্টারে গিয়ে নির্ধারিত গন্তব্যের টিকিট চাইলে টিকিট দেয়া বন্ধ হয়ে গেছে বলে আমাকে জানানো হয়। টিকিট প্রদানের জন্য পুনরায় অনুরোধ জানালে টিকেট কাউন্টার হতে আমাকে টিকেট প্রদান করা সম্ভব হবে না জানিয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয় যে, প্লাটফর্মে ট্রেন দাঁড়ানো আছে আমি যেন দ্রুত ট্রেনে উঠি এবং ট্রেনের ভেতর থেকেই টিকিট সংগ্রহ করি। এমতাবস্থায় আমি দ্রুত ট্রেনে উঠি। ট্রেনে উঠে কামরায় কর্তব্যরত অ্যাটেনডেনট কে আমার টিকিট না থাকার বিষয়টি অবহিত করি এবং টিকিট প্রদানকারী ব্যাক্তি অর্থাৎ টিটিকে টিকিট প্রদানের জন্য আমার নিকট নিয়ে আসতে বলি। জবাবে তিনি আমার কাছে একশত টাকা দাবি করেন এবং বলেন টিকিট লাগবেনা বাকি বিষয় তিনি নিজেই দেখবেন। অসৎ উপায়ে টাকা উপার্জনের সহযোগিতা করা হবে বিষয়টি বুঝতে পেরে টিকেট ছাড়া টাকা প্রদানে আমি অস্বীকৃতি জানাই এবং আমাকে টিকেট/ মানি রিসিট প্রদানের জন্য বারবার একাধিক অ্যাটেনডেন্ট কে তাগাদা প্রদান করতে থাকি এমনকি রেলওয়ে ক্যান্টিনে কর্তব্যরত ক্যান্টিনবয়দের মাধ্যমেও টিটির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। এক পর্যায়ে আমি আমার গন্তব্যে পৌঁছে গেলেও টিকিট প্রদান করার মত কাউকে পাওয়া যায়নি। গন্তব্যে পৌঁছানোর পরে স্টেশনে কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারের কক্ষ ও তালা বন্ধ অবস্থায় দেখতে পাই।
উল্লেখ্য, শোভন চেয়ার শ্রেণীর যাত্রায় আমার গন্তব্যের ভাড়া ছিল ৭০ টাকা। যা ট্রেনের মধ্যে প্রদান করলে জরিমানা সহ কিছু বেশি প্রদান করা লাগতো যার পরিমাণ আমার জানা নেই।
আপনাদের প্রদত্ত বিগত প্রশ্ন-উত্তরের আলোকে_
১. নির্দিষ্ট ট্রেনের নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত টিকিট কেটে টিকিট নষ্ট করে ফেলা সম্ভব নয় কারণ এতে করে একজন যাত্রীর যাত্রা নষ্ট হবে। কারণ সিট/ আসন ছাড়া স্ট্যান্ডিং টিকিট কাটার কোন সুযোগ নেই। অনলাইনে শুধুমাত্র আসন সহ টিকিট ই প্রদান করা হয়। আর অফলাইনে অর্থাৎ লাইনে দাঁড়িয়েও টিকেট কাটা সম্ভব নয়।
২. ডাক টিকিট ক্রয় করে সরকারি ফান্ডে টাকা প্রদান করলে উক্ত টাকা ডাক বিভাগে জমা হবে উল্লেখ্য বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ডাক বিভাগ সম্পূর্ণ আলাদা বিভাগ। বাংলাদেশ রেলওয়ে ও বাংলাদেশ ডাক বিভাগ উভয়ই সরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও লাভ ক্ষতির হিসাব আলাদাভাবে করা হয়ে থাকে।
৩. সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে এমনিতেই সরকারি ফান্ডে অথবা বাংলাদেশ রেলওয়ের ফান্ডে জমা দেয়ার কোন চালান /ট্রেজারি নাম্বার খুঁজে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখিত হালতে ভ্রমণজনিত কারণে আমার কাছে বাংলাদেশ রেলওয়ের পাওনা ৭০ টাকা (জরিমানা ছাড়া), আমি কিভাবে দায়মুক্ত হতে পারবো মেহেরবানী করে জানাবেন।