জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَن أَبِي مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ فَإِنْ كَانُوا فِي الْقِرَاءَةِ سَوَاءً فَأَعْلَمُهُمْ بِالسُّنَّةِ فَإِنْ كَانُوا فِي السُّنَّةِ سَوَاءً فَأَقْدَمُهُمْ هِجْرَةً فَإِنْ كَانُوا فِي الْهِجْرَةِ سَوَاءً فَأَقْدَمُهُمْ سِنًّا وَلَا يَؤُمَّنَّ الرَّجُلُ الرَّجُلَ فِي سُلْطَانِهِ وَلَا يَقْعُدْ فِي بَيْتِهِ عَلَى تَكْرِمَتِهِ إِلَّا بِإِذْنِهِ»
আবূ মাস্’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ জাতির ইমামতি এমন লোক করবেন, যিনি আল্লাহর কিতাব সবচেয়ে উত্তম পড়তে পারেন। উপস্থিতদের মাঝে যদি সকলেই উত্তম ক্বারী হন তাহলে ইমামতি করবেন ঐ লোক যিনি সুন্নাতের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী জানেন। যদি সুন্নাতের ব্যাপারে সকলে সমপর্যায়ের জ্ঞানী হন তবে যে সবার আগে হিজরত করেছেন। হিজরত করায়ও যদি সবাই এক সমান হন। তাহলে ইমামাত করবেন যিনি বয়সে সকলের চেয়ে বড়। আর কোন লোক অন্য লোকের ক্ষমতাসীন এলাকায় গিয়ে ইমামতি করবে না এবং কেউ কোন বাড়ী গিয়ে যেন অনুমতি ছাড়া বাড়ীওয়ালার আসনে না বসে।
(মুসলিম ৬৭৩, আবূ দাঊদ ৫৮২, আত্ তিরমিযী ২৩৫, নাসায়ী ৭৮০, ইবনু মাজাহ্ ৯৮০, আহমাদ ১৭০৬৩, সহীহ আল জামি‘ ৩১০৪।)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জারজ সন্তান যদি আলেম,নেককার,মুত্তাকী,ইমামতির যোগ্য হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে তার পিছনে নামাজ পড়া জায়েজ আছে। মাকরুহ হবেনা।
فتاوی شامی (الدر المختار ورد المحتار) :
"(وولد الزنا) هذا إن وجد غيرهم وإلا فلا كراهة بحر بحثًا.
(قوله: و ولد الزنا) إذ ليس له أب يربيه و يؤدبه و يعلمه فيغلب عليه الجهل بحر، أو لنفرة الناس عنه (قوله: هذا) أي ما ذكر من كراهة إمامة المذكورين (قوله: إن وجد غيرهم) أي من هو أحق بالإمامة منهم (قوله: بحر بحثًا) قد علمت أنه موافق للمنقول عن الاختيار وغيره."
(کتاب الصلوۃ، باب الامامۃ، ج:1، ص:562، ط:ایج ایم سعید)
সারমর্মঃ-
জারজ সন্তানের যদি লালনপালনের জন্য বাবা না থাকে,যে তাকে লালনপালন করবে,আদপব শিখাবে,সেক্ষেত্রে জাহালত প্রবল হবে,এবং তার হতে মানুষের ঘৃণা আসবে,সুতরাং এমতাবস্থায় ইমামতের হকদার অন্য কেউ সেখানে থাকলে তার পিছনে নামাজ মাকরুহ হবে। অন্যথায় মাকরুহ হবেনা।
(০২)
উক্ত কাজল/আলতায় যেহেতু নাপাক কোনো বস্তুর মিশ্রণ নেই,সুতরাং সেই কাজল/আলতা ব্যবহার করা উক্ত বোনের জন্য জায়েজ হবে।
(০৩)
তার বিবাহ হবে,এবং বিবাহ পরবর্তী তার সন্তান হবে,এদিকেই উক্ত স্বপ্নের ইশারা রয়েছে।
(০৪)
জায়েজ আছে।
তবে চুরি পরিহিতা অবস্থায় গায়রে মাহরাম পুরুষদের সামনে গেলে সেক্ষেত্রে পূর্ণ পর্দার পাশাপাশি চুরি যেনো দৃশ্যমান না হয়,এবং একাধিক চুড়ি পরিধানের ক্ষেত্রে যেনো বাজনা না হয়,সেদিকে সর্বোচ্চ খেয়াল রাখতে হবে।
কেননা এতে পুরুষ গন আকৃষ্ট হয়,যাহা জায়েজ নেই।