আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)

আসসালামুয়ালাইকুম শায়েখ, কোন স্বামী ও স্ত্রী মধ্যে যদি ৩ তালাক হয়ে যায় এবং তা সত্যেও ইদ্দত পালন না করেই আবেগের বসে একই সাথে সংসার চালিয়েই যায় ৯/১০ মাস তারপর সিদ্ধান্ত নেয় তারা আলাদা ই থাকবে , হালাল হলে একসাথে সংসার করবে অন্যথায় নয়, এই অবস্থায় উক্ত স্ত্রী ইদ্দত সময়কাল কতটুকু?তালাক হলে ইদ্দত ৩ হায়েজ অবধি জানি...তারা যে এতোদিন সংসার করলো এতে যেনা গুনাহ হলেও ইদ্দত সময় কি পার হয়েছে?

এবং এই মেয়ে অন্যত্র বিবাহ জন্য এখন কি ইদ্দত পালন করতে হবে নাকি অন্যত্র বিবাহ বসলে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে! 

আশা করি প্রশ্ন বুঝতে পেরেছেন!

প্রশ্ন: তালাক শেষে  আবেগে আলাদা না হয়ে একইসাথে মেলামেশা ৯/১০  মাস সংসার পরে  উক্ত স্ত্রী কি ইদ্দত পালন করতে হবে যদি অন্যত্র বিবাহ বসে?মেয়ে এখন ইদ্দত পালন করছে অন্যত্র বিবাহে শুদ্ধের জন্য,আমার প্রশ্ন: তালাক তো ৯/১০ মাস আগেই যদি হয়ে থাকে তবে ইদ্দত সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে নাকি হয়নি!!

আসসালামুয়ালাইকুম, ধন্যবাদ! শায়েখ,দয়া করে আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়েন প্লিজ প্লিজ!!

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তিন তালাক হওয়ার পর স্বামী স্ত্রী অজ্ঞতাবশত যদি শারিরিক সম্পর্ক চালিয়ে যায়,তারা জানে না যে,তালাক হয়েছে, তাহলে যখনই তালাক সম্পর্কে অবগত হবে, তখন সর্বশেষ সহবাস হওয়ার পর থেকে ইদ্দত শুরু হবে।

যদি ৯/১০ মাস আগেই তালাক হয়ে থাকে,তাহলে তালাক সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর সর্বশেষ সহবাসের দিন থেকে ইদ্দত পালন করতে হবে।

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (3 / 518) ط: سعید:
"(والموطوءة بشبهة) ومنه تزوج امرأة الغير غير عالم بحالها كما سيجيء، وللموطوءة بشبهة أن تقيم مع زوجها الأول وتخرج بإذنه في العدة؛ لقيام النكاح بينهما، إنما حرم الوطء حتى تلزمه نفقتها وكسوتها، بحر، يعني إذا لم تكن عالمةً راضيةً كما سيجيء ... (وإذا وطئت المعتدة بشبهة)  ولو من المطلق (وجبت عدة أخرى) لتجدد السبب (وتداخلتا، والمرئي) من الحيض (منها، و) عليها أن (تتم) العدة (الثانية إن تمت الأولى) وكذا لو بالأشهر، أو بهما لو معتدة وفاة".
و في الرد:
"(قوله: بشبهة) متعلق بقوله: وطئت، وذلك كالموطوءة للزوج في العدة بعد الثلاث بنكاح، وكذا بدونه إذا قال: ظننت أنها تحل لي، أو بعدما أبانها بألفاظ الكناية، وتمامه في الفتح، ومفاده أنه لو وطئها بعد الثلاث في العدة بلا نكاح عالماً بحرمتها لاتجب عدة أخرى؛ لأنه زنا، وفي البزازية: طلقها ثلاثًا ووطئها في العدة مع العلم بالحرمة لاتستأنف العدة بثلاث حيض، ويرجمان إذا علما بالحرمة ووجد شرائط الإحصان، ولو كان منكرًا طلاقها لاتنقضي العدة، ولو ادعى الشبهة تستقبل. وجعل في النوازل البائن كالثلاث والصدر لم يجعل الطلاق على مال والخلع كالثلاث، وذكر أنه لو خالعها ولو بمال، ثم وطئها في العدة عالمًا بالحرمة تستأنف العدة لكل وطأة وتتداخل العدد إلى أن تنقضي الأولى، وبعده تكون الثانية والثالثة عدة الوطء لا الطلاق حتى لايقع فيها طلاق آخر ولاتجب فيها نفقة اهـ وما قاله الصدر هو ظاهر".
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (3 / 522) ط: سعید:
"(و) مبدؤها (في النكاح الفاسد) بعد التفريق من القاضي بينهما، ثم لو وطئها حدّ، جوهرة وغيرها، وقيده في البحر بحثا بكونه بعد العدة لعدم الحد بوطء المعتدة (أو) المتاركة أي (إظهار العزم) من الزوج (على ترك وطئها) بأن يقول بلسانه: تركتك بلا وطء ونحوه، ومنه الطلاق وإنكار النكاح لو بحضرتها وإلا لا، لا مجرد العزم لو مدخولة وإلا فيكفي تفرق الأبدان".
و في الرد:
"قلت: ولم أر من صرح بمبدإ العدة في الوطء بشبهة بلا عقد. وينبغي أن يكون من آخر الوطآت عند زوال الشبهة، بأن علم أنها غير زوجته، وأنها لاتحل له إذ لا عقد هنا فلم يبق سبب للعدة سوى الوطء المذكور كما يعلم مما ذكرنا،

فتوی نمبر : 144103200325
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 139 views
...