বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
এডসেন্স ইনকাম সম্পর্কে উলামাদের মতপার্থক্য রয়েছে। ইউটিউবে এডসেন্স ইনকাম সম্পর্কে এতটুকু বলা যায় যে,এখানে হালাল-হারাম সকল প্রকার জিনিষের এড শো হতে পারে,এর সম্ভাবনা রয়েছে।সর্বোচ্ছ ৫০০ ক্যাটাগরি পর্যন্ত এডকে ব্লক করা যায়,এর চেয়ে বেশী ব্লক করার অনুমোদন কর্তৃপক্ষ থেকে নেই।বিধায় তাকওয়ার দাবী হলো,এমন ইনকাম থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইউটিউব বা ফেইসবুক মনিটাইজেশন হালাল না হারাম? এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে। এবং যেখানে হালাম হারামের সন্দেহ চলে আসে, ঈমানের তাকাযা হল, এমন পেশা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখা। সুতরাং ঐ সাইটে লিখা দেওয়া থেকে বিরত থাকাই তাকওয়ার নিকটবর্তী এবং সর্বোত্তম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।
সুতরাং
প্লে স্টোরে সফটওয়্যার আপলোড করে গুগল অ্যাড সেন্সের মাধ্যমে ইনকাম না করাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। তাছাড়া যদি মিউজিক বা হারাম দৃশ্য থাকে, তাহলে সেটা হারাম হিসেবেই বিবেচিত হবে।
(২)
বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বায়ারের আশানুরূপ অ্যাপ বানিয়ে দিয়ে পেমেন্ট নেওয়া নাজায়েয হবে না যদি না তাতে কোনো হারাম থাকে।