ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মাসআলাঃ
যে মেয়েলোকের হামেশা তিন বা চারি দিন হায়েয আসার অভ্যাস ছিল, তাহার যদি কোন মাসে রক্ত বেশী আসে, কিন্তু দশ দিনের বেশী না হয়, সব কয় দিনকেই হায়েয গণ্য করিতেই হইবে, কিন্তু দশ দিন দশ রাতের চেয়ে বেশী আসিলে পূর্ব অভ্যাসের কয় দিন হায়েয হইবে, বাকী কয় দিন ইস্তেহাযা। যেমন, হয়ত কোন মেয়েলোকের বরাবর তিন দিন জারি হওয়ার অভ্যাস ছিল, হঠাৎ এক মাসে তাহার নয় দিন দশ রাত্রের চেয়ে এক মুহূর্তও বেশী রক্ত দেখা গিয়া থাকে, তবে তাহার তিন দিন তিন রাতের রক্তকে হায়েয গণ্য করিতে হইবে, অতিরিক্ত দিনগুলির রক্তকে ইস্তেহাযা বলিতে হইবে এবং ঐ দিনগুলির নামায কাযা ওয়াজিব হইবে।
মাসআলাঃ
একজন মেয়েলোকের হায়েযের কোন নিয়ম ছিল না। কোন মাসে চারি দিন, কোন মাসে সাত দিন, কোন মাসে দশ দিনও হইত। ইহা সব হায়েয, কিন্তু হঠাৎ এক মাসে দশ দিন দশ রাতের চেয়ে বেশী স্রাব দেখা গেল, এখন দেখিতে হইবে, ইহার পূর্বের মাসে কয় দিন রক্ত আসিয়াছিল, এই মাসেও সেই কয় দিন হায়েয হইবে, বাকী দিনগুলি ইস্তেহাযা হইবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/7474
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনি টিস্যু বা সাদা কাপড় লজ্জাস্থানের উপর রেখে দিবেন। যদি টিস্যু বা সাদা কাপড়ে কোনো প্রকার রক্তস্রাব দেখা না যায়, তাহলে হায়েযই ধরে নিতে হবে।
(২) ৮ দিনই আপনার হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।