আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
248 views
in পবিত্রতা (Purity) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। শায়েখ, একই বিষয়ে বারবার প্রশ্ন করার জন্য দুঃখিত। বিষয়টা নিয়ে অনেক পেরেশানি হচ্ছে।
(১) https://ifatwa.info/26085/ এবং https://ifatwa.info/26117/ তে প্রশ্ন করেছিলাম, নাপাক হাতে ট্যাপ খুলে হাত ধোয়া শেষে ট্যাপ ধুতে ভুলে যাই। এই ভেজা হাতেই সুইচ, দরজার হাতল স্পর্শ করি, গামছায় ভেজা হাত মুছি, সেটিও ভিজে যায়। পরে মনে পড়লে ট্যাপ ধুলেও সুইচ, হাতল ধোয়া হয়নি। পরে https://ifatwa.info/26085/ থেকে জানতে পারি সেগুলোও পরিষ্কার করতে হবে।
পরে সুইচ ও হাতল পরিষ্কার করে ফেলি। কিন্তু এরই মাঝে তো ভেজা হাতে একাধিকবার সুইচ, হাতল স্পর্শ করে ফেলেছি। সেই হাতেই আবার চশমা, মোবাইল, বইখাতা, কলম এভাবে বাসার অনেক কিছুই ধরেছি, তাহলে এসব জায়গায়ও তো নাপাকি লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আবার ওই গামছাটা ভিজা অবস্থায় বিছানায় ছিল, সেটা আর ধোয়া হয়নি। সেই গামছাই বারবার ভেজা হাত মুছতে, গোসল শেষে ব্যবহার হয়েছে। ঘামা অবস্থায় ওই শরীরে জামা পড়া, বিছানায় শোয়া হয়েছে।   এতে আবার গামছা, গামছার রশিও ভিজে গেছে, ভেজা/ ঘামা হাতেই বাসার অনেক জিনিস ধরা হয়েছে। সেগুলোতে নাপাকি লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি, মোটামুটি নিশ্চিত। এখন এগুলো সব ধোয়া তো বেশ জটিল। এক্ষেত্রে কী করণীয়? বিষয়টা নিয়ে অনেক পেরেশানি হচ্ছে।
(২) গত সোমবার কাপড়ে নাপাকি লেগে যায়। প্রথমে বিষয়টা যাচাই করিনি, পরে বুঝতে পারি। কাপড় ধোয়া হয়েছে, কিন্তু যে চেয়ারে বসেছিলাম সেখানেও লেগে গেছে। চেয়ার ধোয়া হয়নি। আবার ওই চেয়ারে অন্য কাপড় পড়ে বসেছি, সেই কাপড় পড়ে অন্যান্য জায়গায় বসেছি, বিছানায় শুয়েছি। আবার ঘাম লেগে বা ভেজা হাতে স্পর্শের ফলে হাতের মাধ্যমে আরও অনেক কিছুতে লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এক্ষেত্রে কী করণীয়?
এর আগে এরকম একটি সমস্যার জবাবে বলা হয়েছিল শরীর আর শুধু ওই কাপড়টি ধুতে (https://ifatwa.info/24779/)। এখন শরীর আর ওই কাপড় ধোয়ার দ্বারাই হয়ে গেছে না? এটি নিয়েও চিন্তা হচ্ছে।

জাযাকুমুল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (677,160 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে   এসেছে-

يَا عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ

আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}

(০১)
আপনি নাপাক হাত দ্বারা সরাসরি ট্যাপ স্পর্শ করে পরে ট্যাপ আর না ধুয়ে ঐ পাক হাত দিয়ে বন্ধ করে চলে আসেন।
এমতাবস্থায় আপনার হাত নাপাক ছিলো,তাই এই সময়ে আপনি যাহা কিছু স্পর্শ করেছেন,সবই নাপাক।
গামছা স্পর্শ করার পর তো আপনার হাতে পানি আর অবশিষ্ট থাকেনি,তাই এর পর থেকে আর কোনো বস্তু নাপাক হয়নি।

ইহা ছাড়াও গামছা স্পর্শ করার আগেই আপনার হাত শুকিয়ে গিয়ে থাকলে সেই শুকনো থাকার সময় থেকে নিয়ে পরবর্তীতে আর কোনো কিছুই নাপাক হবেনা।   
,
পরবর্তীতে আপনি যখন সেই ট্যাপ ধুয়ে নিয়েছেন,এর পর তো কোনো সমস্যা হবেনা।
কেননা সেই সময়ে ট্যাপ ধোয়ার সাথে হাত পবিত্র হয়ে গিয়েছে।
,
★সুতরাং এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো উক্ত নাপাক ট্যাপ না ধুয়ে বন্ধ করার পর ট্যাও ধোয়ার আগ পর্যন্ত আপনার হাত গামছার মাধ্যমে শুকনো হোক,বা তার আগেই কোনকভাবেই শুকিয়ে যাক,সব ছুরতেই শুকিয়ে যাওয়ার পর আর সেটির দ্বারা স্পর্শকৃত জায়গা গুলি নাপাক হবেনা।

আর নাপাক সেই হাত ভেজা থাকা অবস্থায় সেই হাত দিয়ে যাহা কিছু স্পর্শ করা হয়েছিলো,সব কিছুই নাপাক বলে গন্য হবে।
,
★এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় রয়েছে।
সেটি হলো একেবারে প্রথমে আপনি যখন নাপাক হাত দিয়ে ট্যাপ স্পর্শ করেছিলেন,সেই সময়ে আপনার হাত বা সেই ট্যাপ ভেজা ছিলো কিনা?
যদি উভয়টিই শুকনো থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে উপরোক্ত কোনো সমস্যাই থাকবনা।
কেননা এক্ষেত্রে সেই ট্যাপ নাপাকই হয়নি,তাই তাহা ধোয়ারও প্রয়োজনীয়তা ছিলোনা।
,
(০২)
হ্যাঁ উক্ত ফতোয়া মোতাবেক শরীর আর শুধু ওই কাপড়টি ধৌত করলেই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 126 views
...