আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (49 points)

আসসালামু আলাইকুম 
 

১) অনেক মানুষকে দেখা যায় তারা বলতে থাকে কোন একটা বিষয় হয় নাই এটার কারণ যে কেউ একজন কুফা লাগিয়ে দিয়েছে। যেমন: কেউ একটা কিছু বলেছে বা কিছু একটা পোস্ট করেছে দেখে অন্য একটা বিষয় ঘটে নাই তখন তারা এটাকে কুফা বলে। অনেকে বলে তুই কুফা লাগাইছোস। আরো দেখা যায় কেউ একটা কাজ করতে গেছে কিন্তু অন্যের কথার কারণে বা কোন কারনে কাজটা না করতে পারলে পরবর্তীতে বলে যে তুই কুফা। যেহেতু তারা এখানে হয়তো বিশ্বাস করে আছে যে, কারো কথায় তাদের এই কাজটি করা হয় নাই। কুফা বলতে অনেকে আবার এটা বিশ্বাস কোন একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি যদি কারো প্রশংসা করে বা কারো ভালোর ব্যাপারে বলে তাহলে যার প্রশংসা করছে বা ভালোর ব্যাপারে বলছে তার অধঃপতন হওয়া শুরু হয়ে যায়। এখন কুফা লাগানো কিভাবে হয় সেটা আমি ঠিক ভাবে বুঝি না কিন্তু যতটুকু বুঝেছি সে অনুযায়ী বলছি এখন যারা এভাবে বলে কুফা লাগানোর কথা বা কুফা তুই তাদের কি ইমান থাকে?



 

২)   

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 

এ আায়াত অনুযায়ী হুকুম আহকাম কি কি?


 

৩) শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা,গালি গালাজ করলে ঈমান চলে যায়। শরীয়তের জরুরী বিধান কি কি?


 

জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
ইসলামে কোনো কুলক্ষন নেই।
হাদীস শরীফে এসেছে  

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَحَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ - حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَغَيْرُهُ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ صَفَرَ وَلاَ هَامَةَ " . فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ يَا رَسُولَ اللَّهِ . بِمِثْلِ حَدِيثِ يُونُسَ .

মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম ও হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) আবূ সালামাহ ইবনু আবদুর রহমান ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সংক্রামক ব্যাধি, কুলক্ষণ, অনাহারে পেট কামড়ানো পোকা ও হামাহ- এসবের কোন অস্তিত্ব নেই। সে সময় জনৈক বেদুঈন আরব বলল, হে আল্লাহর রসূল! বর্ণনাকার ইউনুস (রহঃ) কর্তৃক রিওয়ায়াতকৃত হাদীসের অবিকল। (মুসলিম শরীফ ৫৬৮২ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৯৫)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের ঈমান চলে যাবেনা। তবে এধরণের কথা বলা ইসলামী আকীদার সাথে সাংঘর্ষিক,তাই এধরণের কথা বলা যাবেনা। আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে, এহেন আকীদা হতে ফিরে আসতে হবে। 

(০২)
এখানে হুকুম আহকাম দ্বারা অকাট্য ভাবে কুরআন দ্বারা প্রমানিত বিধান উদ্দেশ্য। 

(০৩)
যাহা অকাট্য ভাবে প্রমানিত। 
যেসব বিধান এখানে উদ্দেশ্য। 
,
বিস্তারিত জানার জন্য নিকটতম কোনো দারুল ইফতায় স্বশরিরে যোগাযোগ করার পরামর্শ রইলো। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...