ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/53526/
নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
■ স্বামী যদি প্রয়োজনীয় ভরণ পোষণ আদায় না করে তাহলে স্বামীকে না
জানিয়ে স্ত্রীর জন্য স্বামীর টাকা থেকে নিয়ে প্রয়োজনীয় খরচ করা জায়েজ আছে। তবে প্রয়োজন
অতিরিক্ত নেয়া জায়েজ হবে না।
□ হাদিস শরীফে এসেছে-
عَنْ
عَائِشَةَ، قَالَتْ: دَخَلَتْ هِنْدٌ بِنْتُ عُتْبَةَ امْرَأَةُ أَبِي سُفْيَانَ
عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ
اللهِ، إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ شَحِيحٌ، لَا يُعْطِينِي مِنَ النَّفَقَةِ
مَا يَكْفِينِي وَيَكْفِي بَنِيَّ إِلَّا مَا أَخَذْتُ مِنْ مَالِهِ بِغَيْرِ
عِلْمِهِ، فَهَلْ عَلَيَّ فِي ذَلِكَ مِنْ جُنَاحٍ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خُذِي مِنْ مَالِهِ بِالْمَعْرُوفِ مَا يَكْفِيكِ
وَيَكْفِي بَنِيكِ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, হিন্দা বিনত উতবা রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে উপস্থিত হয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ!
আবূ সুফিয়ান একজন কৃপণ ব্যক্তি। তিনি আমার এবং আমার সন্তানদের জন্য প্রয়োজনীয় খরচাদি
প্রদান করেন না। তবে আমি তার অজ্ঞাতেই তার সম্পদ থেকে প্রয়োজনীয় খরচাদি গ্রহণ করে থাকি।
এতে কি আমার কোন দোষ (পাপ) হবে?
তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি
তার সম্পদ থেকে তোমার ও তোমার সন্তানদের জন্য যথেষ্ট হয় এমন সঙ্গত পরিমাণ নিতে পার।
[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৭১৪, ইফাবা-৪৩২৮]
□ অন্য এক হাদিসে এসেছে-
عَنْ
عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: قَالَتْ هِنْدٌ أُمُّ مُعَاوِيَةَ لِرَسُولِ
اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ شَحِيحٌ،
فَهَلْ عَلَيَّ جُنَاحٌ أَنْ آخُذَ مِنْ مَالِهِ سِرًّا؟ قَالَ: «خُذِي أَنْتِ
وَبَنُوكِ مَا يَكْفِيكِ بِالْمَعْرُوفِ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, মুআবিয়া (রাঃ) এর মা
হিন্দ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন, আবূ সুফিয়ান
(রাঃ) একজন কৃপন ব্যাক্তি। এমতাবস্থায় আমি যদি তার মাল থেকে গোপনে কিছু গ্রহন করি, তাতে কি আমার
গুনাহ হবে? তিনি বললেন, তুমি তোমার ও সন্তানদের প্রয়োজনানুসারে যথাযথভাবে গ্রহন করতে
পার। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২২১১,ইফাবা-২০৬৯]
□ হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن
ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ
ﻣﻨﻪ
"
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি
ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)
আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বিক্রেতার অনুমতি ক্রমে ক্রেতা
চাইলে পরিধান করে দেখতে পারে। এতে কোনো সমস্যা নেই।
২. পাওনাদারকে তার পাওনা টাকা তাকে না জানিয়ে দেওয়া ঠিক হবে
না। বরং তাকে জানিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় পাওনাদার মনে করবে যে, তার পাওনার টাকা
তাকে দেওয়া হয়নি।
৩.
স্বামী যদি প্রয়োজনীয় ভরণ পোষণ আদায় না করে তাহলে স্বামীকে না
জানিয়ে স্ত্রীর জন্য স্বামীর টাকা থেকে নিয়ে প্রয়োজনীয় খরচ করা জায়েজ আছে। তবে প্রয়োজন
অতিরিক্ত নেয়া জায়েজ হবে না।
৪. অন্য কারোর জিনিস তার অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
তবে নিজ পরিবারের কোনো জিনিস যা ব্যবহার করাতে পিতা-মাতা বা স্বামী-স্ত্রীর অনুমতি
আছে তাহলে তা ব্যবহার করাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য কোনো সমস্যা নেই।