আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

আমি ৮ মাসের গর্ভবতী। আমার স্বামী একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, চাকুরীর কারণে তিনি গত সাত মাস যাবত জাহাজে ছিলেন। এখন বাসায় ফিরেছেন। আমি গত ৯ মাস ধরেই আমার মার বাড়িতে আছি। জ্বীনগত কিছু কারণে আমি শ্বশুরবাড়িতে থাকতে পারি না,সেখানে থাকলে আমার অস্বাভাবিক সমস্যা হয়, শরীরে জ্বীন ভর করে।তার জন্য আমাকে অনেকদিন ধরে মার বাসায় রাখা হয়েছে। এখন দীর্ঘদিন অর্থাৎ প্রায় ৭ মাস স্বামী দূরে ছিলেন,যেহেতু আমি ৮ মাসের গর্ভবতী,তাই আমি চাচ্ছিলাম আমার স্বামী ডেলিভারির আগে পর্যন্ত পুরো সময়টা অর্থাৎ বাকি দেড় মাস আমার সাথেই থাকুক। আমার চলাফেরা,থাকা, সবকিছুতে সমস্যা হয়,উনি থাকলে আমার সুবিধা হয়,মন ও ভালো থাকে, তাছাড়া গর্ভবতী নারীরা তো এই সময়ে স্বামীকেই পাশে চায়। তো আমার স্বামী একটানা থাকতে চাচ্ছেন না। উনি দুইদিনের জন্য আসেন আবার উনার নিজের বাড়ি চলে যান আবার ৫/৬ দিন পর আসেন। এক্ষেত্রে কী আমি হক্বের সাথে জোর দিয়ে উনাকে বাকি দেড় মাস আমার সাথে থাকতে বলতে পারব, পুরো বিষয়টি ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে কিভাবে সমাধান করা যায়?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

হায়েয ও নিফাস ব্যতীত সর্বাবস্থায় স্ত্রীর সাথে সহবাস করা জায়েয।

পবিত্র কুরআন ও হাদীসে এ সময়ে সহবাস করতে পরিস্কার নিষেধাজ্ঞা আসছেঃ

وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ ۖ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ ۖ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ ۖ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢]

আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও,এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না,যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে,তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [সূরা বাকারা-২২২]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ أَتَى حَائِضًا، أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا، أَوْ كَاهِنًا، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ.

 হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন ঋতুবতীর সাথে মিলিত হয় কিংবা কোন মহিলার পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করে অথবা কোন গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে’। [তিরমিযী, হাদীস নং-১৩৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯২৯০]

★গর্ভের সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগ পর্যন্ত স্ত্রীর সাথে সহবাস করা যায়; ইসলাম এ ব্যপারে নিষেধ করে নি। আল্লাহ তাআলা বলেন,

نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُواْ حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ

তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। (সূরা বাক্বারাহ ২২৩)

তবে এ নাজুক সময়ে স্ত্রীর শারীরিক-মানসিক সুুস্থতার প্রতি যত্নশীল-দৃষ্টি রাখা স্বামীর কর্তব্য। তাই এই সময়কালে যৌন আসন সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী। 

যদি এই সময়কালে মিলন নিরাপদ ও সহজ মনে না হয় তাহলে স্বামীর উচিত কিছুদিন ধৈর্য্য ধারণ অথবা এমন হালকাভাবে সংক্ষিপ্ত সময়ে সহবাস করা; যাতে স্ত্রীর কষ্ট না হয় এবং স্বামীরও চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
গর্ভবতী স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে স্বামীর সাথে থাকতে পারবে।
এতে শয়ীয়তের দৃষ্টিকোণ হতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

তবে এটি স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার বিষয়। 
তারাই বিষয়টি নির্ধারন করবে।

★প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি হক্বের সাথে জোর দিয়ে তাকে বাকি দেড় মাস আপনার সাথে থাকতে বলতে পারবেন,এতে কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...