بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
আল্লাহ তা'আলা ব্যবসাকে হালাল করেছেন,
এবং ধোঁকা সম্ভলিত বেচা-কেনা থেকে নিষেধ
করেছেন। যেমনঃ- হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে ধোঁকা সম্ভলিত বেচ-কেনা সম্পর্কে বর্ণিত আছে,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ
ﻗﺎﻝ ﻧﻬﻰ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻦ ﺑﻴﻊ ﺍﻟﺤﺼﺎﺓ ﻭﻋﻦ ﺑﻴﻊ ﺍﻟﻐﺮﺭ
তরজমাঃ- নবী কারীম
সাঃ বলেনঃ- কঙ্কর নিক্ষেপ করে বেচা-কেনা এবং ধোঁকা সম্ভলিত বেচা-কেনা থেকে বেছে থাকো।
(সহীহ মুসলিম-১৫১৩)
তাছাড়া হাদীস শরীফে
মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্যে মাল স্টককারী সম্পর্কে কঠোর হুশিয়ারী এসেছে,
"
ﺍﻟْﺠَﺎﻟِﺐُ ﻣَﺮْﺯُﻭﻕٌ ، ﻭَﺍﻟْﻤُﺤْﺘَﻜِﺮُ ﻣَﻠْﻌُﻮﻥٌ "
তরজমাঃ- আমদানিকারক
রিযিকপ্রাপ্ত এবং মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্যে মাল স্টককারী লা'নত প্রাপ্ত। (সুনানে ইবনে মা'জা-৩৫০)
বাস বা ট্রেনের
টিকিট ক্রয় করে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা নাজায়েয। তাই স্বাভাবিক
অবস্থায় এদের থেকে কেনাও ঠিক নয়। এছাড়া অন্যের কাছে বেশি দামে বিক্রির নিয়তে কাউন্টার
থেকে আগেভাগে টিকিট কিনে নেওয়া চরম অনৈতিকতা। জেনেশুনে এমন ব্যক্তিদের নিকট টিকিট
বিক্রি করা কর্তৃপক্ষের জন্যও নাজায়েয। [মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা,
হাদীস : ২৩৭৬০,
২৩৭৫৩; আলমাবসূত, সারাখসী ১৫/১৩০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৫/৫০;
আদ্দুররুল মুখতার ৬/৯১]
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে জালিয়াতি করে টিকিট ইত্যাদি বিক্রয় করা কখনো বৈধ হবেনা। স্বাভাবিক অবস্থায়
যাত্রীদের জন্য এভাবে টিকিট কেনাও ঠিক নয়। তবে পরিস্থিতির কারণে কেউ নিরুপায় হয়ে বেশি
দামে টিকিট কিনলে তা বৈধ হবে। গোনাহ বিক্রেতারই হবে। ক্রেতার গুনাহ হবে না।
সুতরাং প্রশ্নোক্ত অবস্থায়
আপনার জন্য তা ক্রয় করা বৈধ হয়েছে।