আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
67 views
in সালাত(Prayer) by (46 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ আপু আমার বাচ্চা কনসিভ হয়েছিল। ৪৩ দিনের দিন মিসক্যারেজ হয়ে গেছে।কনসিভের পর থেকে হালকা হালকা ব্লাড আসত তখন নামাজ পড়তাম।পরে ৭ তারিখ মঙ্গলবার থেকে বেশি ব্লাড আসা শুরু হয়েছে।ঐ দিন থেকেই আমি নামাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম ঔদিনই মিসক্যারেজ হয়ে গেছে ভেবে।পরে বুধবারে হসপিটালে ভর্তি হই তখনও সব ঠিক ছিল তবে ব্লাড চলমান ছিল।শনিবারে আমাকে লাস্ট ডাক্তার চেকাপ করে বলে যে বাচ্চাটা আর নাই তারপরে বাসায় চলে আসি।ব্লাড এখনও চলমান আছে। তবে শনিবারের পর থেকে ব্লাড আরও বেশি হয়েছে। এখন আমার প্রশ্ন হল মঙ্গলবার থেকে হিসাব করে ১০ দিন পর থেকে নামাজ পড়া শুরু করব নাকি শনিবার থেকে হিসাব করে ১০ দিন পর নামাজ পড়ব। আর যদি শনিবার থেকে হিসাব করি তাহলে আগের দিনগুলোর নামাজ কাজা আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الْعَطَّارُ ، أَنَا وَكِيعٌ ، ح : وَحَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ - جَمِيعًا - عَنِ الْأَعْمَشِ ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، فَقَالَتْ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلَا أَطْهُرُ ، أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ ؟ فَقَالَ : " دَعِي الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِكِ ، ثُمَّ اغْتَسِلِي وَصَلِّي ، وَإِنْ قَطَرَ الدَّمُ عَلَى الْحَصِيرِ "

আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি রক্তপ্রদরের রোগিনী, কখনও পাক হই না, আমি কি নামায ছেড়ে দিবো? তিনি বলেন, তোমার মাসিক ঋতুর কয়দিন তুমি নামায ছেড়ে দিবে, অতঃপর গোসল করবে এবং নামায পড়বে, পাটির উপর রক্তের ফোটা পতিত হলেও। অন্যান্য রাবী ওয়াকী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, “এবং তুমি প্রতি ওয়াক্ত নামাযের জন্য উযু করবে”। (সুনানে দারা কুতনি ৭৯৮)

যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী রক্ত নেফাস হিসেবে গণ্য হবে। আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত হয়। আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

যেহেতু ৮ তারিখে অর্থাৎ বুধবারে ডাক্তার বলেছেন যে, সবকিছু ঠিক আছে। বিধায় আপনি সাত তারিখ থেকে যেই রক্ত দেখেছেন তা ইস্তেহাযা হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। তবে শনিবারে ডাক্তার বলেছেন যে “বাচ্চা আর নেই” অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারে আপনার মিসক্যারেজ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং আপনি আপনার প্রবল ধারণা থেকে বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারের মধ্য থেকে যেদিন মিসক্যারেজ হওয়ার অধিক আশংকাবোধ করছেন সেদিন থেকেই দশ দিন পর্যন্ত হায়েজ ধরতে হবে। এগারতম দিন থেকে সেটি ইস্তেহাজা ধরতে হবে। সুতরাং এগারতম দিন থেকে আপনাকে পবিত্রতা অর্জন করে নামাজ আদায় করতে হবে।       


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 91 views
0 votes
1 answer 320 views
...