بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا
الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الْعَطَّارُ ، أَنَا
وَكِيعٌ ، ح : وَحَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا الْفَضْلُ بْنُ
سَهْلٍ ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ - جَمِيعًا - عَنِ الْأَعْمَشِ ، عَنْ
حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ ، عَنْ عَائِشَةَ ،
قَالَتْ : جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ - صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، فَقَالَتْ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنِّي
امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلَا أَطْهُرُ ، أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ ؟ فَقَالَ : "
دَعِي الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِكِ ، ثُمَّ اغْتَسِلِي وَصَلِّي ، وَإِنْ
قَطَرَ الدَّمُ عَلَى الْحَصِيرِ "
আল-হুসাইন ইবনে
ইসমাঈল (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি রক্তপ্রদরের রোগিনী,
কখনও পাক হই না,
আমি কি নামায ছেড়ে দিবো?
তিনি বলেন,
তোমার মাসিক ঋতুর কয়দিন তুমি নামায ছেড়ে
দিবে, অতঃপর
গোসল করবে এবং নামায পড়বে, পাটির
উপর রক্তের ফোটা পতিত হলেও। অন্যান্য রাবী ওয়াকী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন,
“এবং তুমি প্রতি ওয়াক্ত নামাযের
জন্য উযু করবে”। (সুনানে
দারা কুতনি ৭৯৮)
যদি চার মাস বা
তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী রক্ত নেফাস হিসেবে গণ্য হবে। আর চার মাসের পূর্বে
গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত
হয়। আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে
গণ্য করা হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু ৮ তারিখে অর্থাৎ বুধবারে
ডাক্তার বলেছেন যে, সবকিছু ঠিক আছে। বিধায় আপনি সাত তারিখ থেকে যেই রক্ত দেখেছেন তা
ইস্তেহাযা হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। তবে শনিবারে ডাক্তার বলেছেন যে “বাচ্চা আর নেই” অর্থাৎ
বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারে আপনার মিসক্যারেজ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা
রয়েছে। সুতরাং আপনি আপনার প্রবল ধারণা থেকে বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারের মধ্য থেকে যেদিন
মিসক্যারেজ হওয়ার অধিক আশংকাবোধ করছেন সেদিন থেকেই দশ দিন পর্যন্ত হায়েজ ধরতে হবে।
এগারতম দিন থেকে সেটি ইস্তেহাজা ধরতে হবে। সুতরাং এগারতম দিন থেকে আপনাকে
পবিত্রতা অর্জন করে নামাজ আদায় করতে হবে।