আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
২০১৭ এর দিকে আমার এক ছেলে ফ্রেন্ডের সাথে বন্ধুত্ব হয়। ছেলেটাকে আমি পছন্দ করতাম। তখন সেই ছেলের নামের প্রথম অক্ষর ও আমার নামের প্রথম অক্ষর মিলে ছোট একটা অর্থবহ নাম হয়। আর এই নামে ওই ছেলে আমাকে প্রায়ই ডাকত। ওই নামটা আমি ফেসবুকে প্রোফাইলেও দিয়ে রেখেছিলাম৷ ভার্সিটিতে নতুন জায়গায় নতুন ফ্রেন্ডদের সাথে আমি এই নতুন নামেই পরিচিত হয়ে যায়। পরে অবশ্য আমি হারাম সম্পর্ক থেকে পরিপূর্ণভাবে বের হয়ে এসেছি। আমি তাওবা করেছি, আর সেই পথে ফিরেও যায় নি। ৫/৬ বছর হয়েছে আমি টোটালি সেখান থেকে ফিরে এসেছি। কিন্তু আমার যে নতুন নাম হয়েছিল, এই নাম ফেসবুক থেকে আর রিমুভ করা হয় নি, প্লাস  নতুন নতুন ফ্রেন্ডরাও এই নামেই চিনত, তাই এই নাম আর বাদ হয় নি। এতবছরে আমি এই বেশ নামেই পরিচিত হয়ে যায়।  আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই নামের জন্য কি আমার গুনাহ হচ্ছে? আমার কি উচিত সব কিছু থেকে এই নাম রিমুভ করে দেওয়া ও সবাইকে বলা যেন এই নামে কেউ না ডাকে?
(আমার ওই ছেলের প্রতি কোনো ইমুশন নেই, ছেলের প্রতি ইমুশন রেখে যে  আমি এই নামটা ব্যবহার করছি এমন না, বরং এই নামে পরিচিত হয়ে গিয়েছি তাই আর নাম রিমুভ করা হয় নি)
আমার কি এই নাম বাতিল করা উচিত?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি গোনাহের সমস্ত চিহ্নকে মুছে দিবেন। এই নামকে আর ব্যবহার করবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...