আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
154 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (21 points)
১/উচ্চারন আর ঈমান নিয়ে চিন্তা লেগে থাকে,।বাংলা ভাষায় অনেক আরবী শব্দ ব্যবহার হয়,অনেকের নাম ও আরবী ভাষা থেকে রাখা হয়,,কেউ যদি এসব নাম ও আরবী শব্দ যেমন "দো'আ","হালাল-হারাম " "আয়াত","সুরা"এরকম আরবী শব্দ ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল উচ্চারন করে (মানে একিরকম হরফ একটার বদলে আরেক হরফ ব্যবহার করা বা মাখরাজ ভুল করে) তাহলে কি তার ইমান চলে যাবে?
২/যেমন কেউ যদি "দো'য়া" শব্দে আইন এর বদলে আ উচ্চারন করে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিরক্তি মনোভাবে,তাহলে কি তার ইমান চলে যাবে?

৩/ক্বোরআন ও হাদীস পাঠ ব্যতীত অন্যান্য শব্দ যা ইবাদত এর সাথে কোন না কোন ভাবে সম্পর্কিত,এসব শব্দের ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত ভুল উচ্চারনে কি ঈমানে ক্ষতি হয়?


৪/আমার মাথায় সবসময় ঈমান সম্পর্কিত টেনশন ঘুরপাক খায়,,আমি একটা ঠিক রেখে করতে যায় ত আরেকটা ইচ্ছাকারী ভুল করে বসে থাকি হয়ত।পাশের বাসার আন্টি আমাকে বলেছে "তোমার আম্মুকে বলিও দো'আ করতে।"। সেটা আম্মুকে বলতে এসে ইচ্ছাকৃত ভাবে (হয়ত বিরক্ত ভাব নিয়ে) দোয়া(আলিফ বা হামজাহ উচ্চারন করে) বলি,যদিও আমি জানি সেই "দো'য়া" শব্দে "আইন"  হরফ উচ্চারন হবে।এতে কি আমার ঈমান চলে গেছে?

৫/আমি মানুষ এর আরবী নাম যদি ইচ্ছাকৃত ভুল উচ্চারন করি তাহলে কি আমার ঈমান ক্ষতিগ্রস্থ হবে?

৬/আমি আসলে নিজের মানসিক স্টেট নিয়ে বিরক্ত। আমার এসব নিয়ে আর ভাবতে ইচ্ছা করেনা।'হা' আর আঈন উচ্চারন নিয়ে আমার কষ্ট।আমি চেষ্টা করি সঠিক উচ্চারনে কিন্তু হয়ত কিছু সময় হয়না।।তাই এখন যদি এসব সঠিকভাবে উচ্চারন করতে গিয়ে মাঝেমাঝে বিরক্তি ভাব চলে আসলে যদি ইচ্ছাকৃত ভুল উচ্চারন করি তাহলে কি ঈমান চলে যাবে?
৭/আমার বিয়ে নিয়ে চেষ্টা চলছে।।প্রস্তাব আসে অনেক কিন্তু আগায়না মনমত।আমার মা আমাকে জোর করে এক হুজুরের কাছে নিতে চায়।তিনি নাকি হাজিরা দেখে বলেছে আমার বিয়ে বন্ধ। আমার মাথায় সমস্যা এমন টাইপ হয়ত।তিনি পানি পড়া বা তাবিজ দেয় হয়ত। হাজিরা দেখা সম্পর্কে শরীয়ত কি বলে এবং সেই হুজুরের কাছে কি যাওয়া ও তার দেয়া জিনিস নেয়া উচিত?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126  তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4350


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
একি রকম হরফ একটার বদলে আরেক হরফ ব্যবহার করা বা মাখরাজ ভুল করলে, ইমান চলে যাবে না। তকে বিশুদ্ধভাবে পড়া মুস্তাহাব।

(২)
 কেউ যদি "দো'য়া" শব্দে আইন এর বদলে আ উচ্চারন করে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিরক্তি মনোভাবে,তাহলে তার ইমান চলে যাবে না।তবে ইচ্ছাকৃত এমনটা করা কোনো মু'মিনের জন্য উচিৎ নয়।

(৩)
ক্বোরআন ও হাদীস পাঠ ব্যতীত অন্যান্য শব্দ যা ইবাদত এর সাথে কোন না কোন ভাবে সম্পর্কিত,এসব শব্দের ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত ভুল উচ্চারনে ঈমানের কোনো ক্ষতি হবে না।তবে বিশুদ্ধভাবে পড়া মুস্তাহাব।

(৪)
প্রশ্নের বিবরণমতে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৫)
মানুষ এর আরবী নাম যদি ইচ্ছাকৃত ভুল উচ্চারন করলে ঈমান ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।

(৬)
প্রশ্নের বিবরণমতে ইচ্ছাকৃত ভুল উচ্চারন করে বসলে  ঈমানে কোনো ক্ষতি হবে না।

(৭)
হুজুরের কাছে যাওয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই বরং আল্লাহর কাছে দু'আ করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...