আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম  ওরাহমাতুল্লাহ। শায়খ এটা আমার প্রশ্ন নই।এটা নিয়ে বারবার ওয়াসওয়াসা আসতেছিল তাই অন্যের দিকে ইন্গিত করে জিগ্যেস করতেছি।

১।ধরেন কোন ছেলে মেয়ে বিয়ে করেছে কিন্তুু যে যার বাসায় থাকে।মেজেসে বা ফোনে কথা,হয়।তহ মাঝে মাঝে ধরেন স্ত্রী রাগের জ্বালায় ঝগড়া করার সময় নিজের ক্ষতি করে ফেলে।তাকে স্বামী থামানোর জন্য অনেক চেস্টা করে মেসেজের মাধ্যমে আর কি।তখন স্বামী যদি বলে যদি ক্ষতি কর তাহলে সব  শেষ হয়ে যাবে/ বা যদি বলে সব সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে /বা যদি বলে আমাকে হারাতে চাও   বা না চাইলে কর নিজের ক্ষতি /বা যদি বলে ছেড়ে দিব তোমাকে। এসব কথা এমনিতে স্ত্রীকে ধরেন থামানোর জন্য বলেছে এসব তালাকের নিয়ত ছাড়া।এরপর স্ত্রী যদি তবুও ক্ষতি করে ফেলে বা এরপর অন্য আরেকদিন স্ত্রী নিজের ক্ষতি করে ফেলে।এরপর স্বামী কস্ট পেয়ে বা রাগে নিয়ত ছাড়া কেনায়া বাক্য বলে ফেলে তাহলে কি তালাক হবে?স্ত্রী তহ তালাক চায় নি। ধরেন তখন স্বামী স্ত্রী কেউ জানত না কেনায়া তালাক সম্পর্কে।নিয়ত ছাড়া মেসেজে এমনিতে বলে ফেলেছে ধরেন তাহলে কি তালাক হবে? স্বামী যদি বার বার বলে পরে তালাকের নিয়তে কিছু বলে নি তবুও কি তালাক হবে?

২।স্ত্রীকে মুখে  বা কাগজে তালাকের  পাওয়ার দিলে স্ত্রীর    উপরোক্ত কোন কথা বা কাজ দ্বারা কি কোন তালাক হবে?স্ত্রী যদি নিজেকে তালাক না,দেয় বা নিজের দিকে ইন্গিত  করে কিছু বলে নি।ধরেন স্ত্রীকে স্বামী মুখে বা কাগজে পাওয়ার দিলেও স্বামী স্ত্রী কেউই জানত না মেয়েরা যে ইসলামে এই অধিকার পায় ওটা।

৩।কোন স্ত্রী যদি  মেসেজে তালাক চায়।স্বামী যদি বলে তালাক চায় যে এমন মেয়ে লাগবে না বা চায় না তাহলে কি তালাক হবে?শুনেছি লাগবে না বা চায় না এগুলে বললে তালাক হয় না।আর এগুলো তহ কেনায়া শব্দ ও নয়।এটাও এমনিতে জানার জন্য জিগ্যেস করেছি।

আমি এমনিতে জানার জন্য জিগ্যেস করেছি।ঠিক কি কি হয়েছিল আমার সাথে তা আমার মনে নেই।মনে বিভিন্ন ওয়াসওয়াসা আসেছিল তাই জিগ্যেস করেছি।আমার স্বামী আমাকে পাওয়ার দিছে।উপরোক্ত প্রশ্ন করার কারনে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (681,320 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
নিয়ত ছাড়া উক্ত বাক্য বলায় তালাক হবেনা।

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্ত্রী তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হয়ে থাকলেও স্ত্রীর উপরোক্ত কোন কথা বা কাজ দ্বারা কোন তালাক পতিত হবেনা।

(০৩)
এতে তালাক হবেনা।

তবে শরীয়তে গ্রহনযোগ্য কোনো ওযর ছাড়া এভাবে তালাক চাইলে স্ত্রীর মারাত্মক গুনাহ হবে।

বিনা কারণে তালাক আবেদন কারী মহিলা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,

 ﺃَﻳُّﻤَﺎ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓٍ ﺳَﺄَﻟَﺖْ ﺯَﻭْﺟَﻬَﺎ ﻃَﻼَﻗًﺎ ﻓِﻰ ﻏَﻴْﺮِ ﻣَﺎ ﺑَﺄْﺱٍ ﻓَﺤَﺮَﺍﻡٌ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﺭَﺍﺋِﺤَﺔُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ . ‘

যে মহিলা বিনা কারণে তার স্বামীর নিকটে তালাক্ব চায়, তার জন্য জান্নাতের সুগন্ধিও হারাম’।
[আবুদাউদ হা/২২২৬; তিরমিযী হা/১১৮৭; ইবনু মাজাহ হা/২০৫৫; মিশকাত হা/৩২৭৯, সনদ ছহীহ।]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...