১/উচ্চারন আর ঈমান নিয়ে চিন্তা লেগে থাকে,।বাংলা ভাষায় অনেক আরবী শব্দ ব্যবহার হয়,অনেকের নাম ও আরবী ভাষা থেকে রাখা হয়,,কেউ যদি এসব নাম ও আরবী শব্দ যেমন "দো'আ","হালাল-হারাম " "আয়াত","সুরা"এরকম আরবী শব্দ ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল উচ্চারন করে (মানে একিরকম হরফ একটার বদলে আরেক হরফ ব্যবহার করা বা মাখরাজ ভুল করে) তাহলে কি তার ইমান চলে যাবে?
২/যেমন কেউ যদি "দো'য়া" শব্দে আইন এর বদলে আ উচ্চারন করে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিরক্তি মনোভাবে,তাহলে কি তার ইমান চলে যাবে?
৩/ক্বোরআন ও হাদীস পাঠ ব্যতীত অন্যান্য শব্দ যা ইবাদত এর সাথে কোন না কোন ভাবে সম্পর্কিত,এসব শব্দের ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত ভুল উচ্চারনে কি ঈমানে ক্ষতি হয়?
৪/আমার মাথায় সবসময় ঈমান সম্পর্কিত টেনশন ঘুরপাক খায়,,আমি একটা ঠিক রেখে করতে যায় ত আরেকটা ইচ্ছাকারী ভুল করে বসে থাকি হয়ত।পাশের বাসার আন্টি আমাকে বলেছে "তোমার আম্মুকে বলিও দো'আ করতে।"। সেটা আম্মুকে বলতে এসে ইচ্ছাকৃত ভাবে (হয়ত বিরক্ত ভাব নিয়ে) দোয়া(আলিফ বা হামজাহ উচ্চারন করে) বলি,যদিও আমি জানি সেই "দো'য়া" শব্দে "আইন" হরফ উচ্চারন হবে।এতে কি আমার ঈমান চলে গেছে?
৫/আমি মানুষ এর আরবী নাম যদি ইচ্ছাকৃত ভুল উচ্চারন করি তাহলে কি আমার ঈমান ক্ষতিগ্রস্থ হবে?
৬/আমি আসলে নিজের মানসিক স্টেট নিয়ে বিরক্ত। আমার এসব নিয়ে আর ভাবতে ইচ্ছা করেনা।'হা' আর আঈন উচ্চারন নিয়ে আমার কষ্ট।আমি চেষ্টা করি সঠিক উচ্চারনে কিন্তু হয়ত কিছু সময় হয়না।।তাই এখন যদি এসব সঠিকভাবে উচ্চারন করতে গিয়ে মাঝেমাঝে বিরক্তি ভাব চলে আসলে যদি ইচ্ছাকৃত ভুল উচ্চারন করি তাহলে কি ঈমান চলে যাবে?
৭/আমার বিয়ে নিয়ে চেষ্টা চলছে।।প্রস্তাব আসে অনেক কিন্তু আগায়না মনমত।আমার মা আমাকে জোর করে এক হুজুরের কাছে নিতে চায়।তিনি নাকি হাজিরা দেখে বলেছে আমার বিয়ে বন্ধ। আমার মাথায় সমস্যা এমন টাইপ হয়ত।তিনি পানি পড়া বা তাবিজ দেয় হয়ত। হাজিরা দেখা সম্পর্কে শরীয়ত কি বলে এবং সেই হুজুরের কাছে কি যাওয়া ও তার দেয়া জিনিস নেয়া উচিত?