আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
175 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
১। লাইভ সম্প্রচারে যদি মিউজিক গান বাজনা বা নারীদের আনাগোনা তাদের আওয়াজ যদি থাকে তাহলে সেই লাইভ সম্প্রচার দেখা কি হারাম হবে কি ?


২। একটা ফতোয়াতে দেখলাম লেখা আছে যে " আর ফটো যদি এমন বিছানার ওপর চিএিত থাকে, যা পদদলিত করা হয় থাকে কিংবা ছোট বড় কোনো এমন বালিশের উপড় ছবি চিএিত থাকে যাকে একবারেই স্বাভাবিক জ্ঞান করা হয়, তাহলে এজাতীয় ফটো রাখা হারাম নয়। " এখানে " যাকে একবারেই স্বাভাবিক জ্ঞান করা হয় " এটা দ্বারা আসলে কি বুঝানো হয়েছে আর যা পদদলিত করা হয় অর্থাৎ কি যেগুলা আমরা মেঝেতে ব্যাবহার করি ম্যাট গুলকে কি বুঝানো হয়েছে কি এগুলা তে প্রাণীর ছবি থাকলে সেই ছবি হারাম নয় কি ?


৩। অতি ক্ষুদ্র প্রাণীর ছবি যা অনেক বেসি ছোট এগুলা কি ব্যাবহার করা যাবে কি  নাকি সেটাও হারাম হবে ?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ছবি ভিডিও শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম।হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ )
তরজমাঃ- ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমি নবী কারীম সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে তিনি বলেছেন,
যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন(জানোয়ারের) ছবি আকবে,কিয়ামতের দিন তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে,সে যেন উক্ত ছবির ভিতরে রূহ প্রদান করে, অথচ রূহ প্রদান করা তার জন্য কস্মিনকালে ও সম্ভব হবে না(অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে আযাব প্রদান করা হবে)(সহীহ বুখারী -৫৬১৮)

ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺇﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﻻَ ﺑُﺪَّ ﻓَﺎﻋِﻼً ﻓَﺎﺻْﻨَﻊِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَ ، ﻭَﻣَﺎ ﻻَ ﻧَﻔْﺲَ ﻟَﻪ 
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে এক ব্যক্তি ছবি আকার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি উত্তরে বললেনঃযদি তোমার ছবি একে উপার্জন করতেই হয় তাহলে তুমি গাছের ছবি আকো বা এমন ছবি আকো যাতে কোনো প্রাণীর ছবি নেই।(সহীহ বুখারী- ২২২৫) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2253

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) লাইভ সম্প্রচারে যদি মিউজিক গান বাজনা বা নারীদের আনাগোনা এবং নারীকন্ঠ থাকে, তাহলে লাইভ সম্প্রচার দেখা হারামের অন্তর্ভুক্ত হবে।

(২) আপনি যে পূর্বের ফাতাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন, সেখানে বর্ণিত ছিল যে, "যদি ফটো বিছানার ওপর চিত্রিত থাকে, যা পদদলিত করা হয় থাকে কিংবা ছোট বড় কোনো এমন বালিশের উপড় ছবি চিত্রিত থাকে যাকে একবারেই স্বাভাবিক জ্ঞান করা হয়, তাহলে এজাতীয় ফটো রাখা হারাম নয়। " 

এখানে " যাকে একবারেই স্বাভাবিক জ্ঞান করা হয় " এটা দ্বারা আসলে উদ্দেশ্য হল, যেই ফটো যাকে তুচ্ছ জ্ঞান করা হয়,যাকে তেমন গুরুত্ব বা সম্মান দেয়া হয় না।সেই ফটো হারামের অন্তর্ভুক্ত হবে না।

আর 'পদদলিত করা হয়' এদ্বারা উদ্দেশ্য হল, যেগুলোকে আমরা মেঝেতে ব্যাবহার করি, বা যেগুলো ম্যাটে বিদ্যমান থাকে,। এই ছবি গুলোও হারামের অন্তর্ভুক্ত হবে না।

(৩) অতি ক্ষুদ্র প্রাণীর ছবি যা অনেক বেসি ছোট, এগুলার ব্যবহারও হারামের অন্তর্ভুক্ত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...