সম্মানিত মুফতী সাহেব,
আসসালামু আলাইকুম। একটি বিষয় নিয়ে পেরেশানির দরুন আপনার কাছে লিখছি। মেহেরবানী করে উত্তর প্রদান করে বাধিত করবেন।
ঘটনাঃ বাচ্চার একটা আচরণে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। অন্য কিছু কারণেও মেজাজ খারাপ ছিল। স্ত্রী বেচারী বুঝতে পারে নাই। দুই একটা কথা বলাতে বেশ রাগ উঠে যায়। রেগে গিয়ে বলি, “আমার কথা কিন্তু অন্যদিকে চলে যাবে” (একথা ভয় দেখানোর জন্য বলি যেন আর কথা না বলে)। আবার কথা বললে বলি, “ভালো না লাগলে চলে যাও, দরকার নেই তোমাকে আমার“(মুটামুটি এরকমই)। অন্য আর একটা কথা বললে বলি, “মায়ের প্রতি এত টান তাহলে মায়ের কাছেই চলে যাও” (মুটামুটি এরকমই)। উল্লেখ্য রাগ উঠে গেলে এই কথা আমি মাঝে মাঝেই বলি যে, ভালো না লাগলে চলে যাও। তালাকের নিয়তে তো কখনই বলি না। তবে সেদিন এই কথা বলার সময় কেমন জানি মনে হচ্ছিল আমি কি তালাকের নিয়তে বলছি, আবার মনে হচ্ছিল, “না, না! আমি তো ভয় দেখানোর জন্য বলছি। অনিচ্ছায় মনে হল তালাক শব্দটা মাথায় চলে এসেছিল। এই ঘটনার পর থেকে মনে হচ্ছে, আমি আসলে কি মনের ভিতর নিয়ে বলেছিলাম! সারাদিন এই পেরেশানী হচ্ছে। আসলে বলার শুরুতে কোন নিয়ত ছিল না। বলা শুরু করার পর কথার মাঝে এরকম সন্দেহ শুরু হয়ে যায়।
১. এখানে দুইটা ঘটনা হতে পারে। এক, আমি আসলে অন্যদিনের মত এমনিতেই স্বভাবগতভাবে বলেছিলাম। কিন্তু বলা শুরু করার পর তালাক শব্দটা অনিচ্ছায় মাথায় চলে আসে। দুই, যেহেতু কেনায়া তালাকের মাসায়েল জানা আছে সেজন্য চলে আসতে পারে। উল্লেখ্য, আমার কিছু সমস্যা আছে। যেমন আমার মাঝে মাঝেই মনে হয় আমি হয়তো তালাক কথাটা বলে ফেলবো। মনে হয় মুখে এসেই আছে। আর এমন চিন্তা আসলে মনে শান্তি পাই না। এখন এই চিন্তা ভাবনা থেকে মাথায় হুট করে চলে এসেছিল কিনা!
২. পরিচিত একজন হুযুরকে জানালে উনি বলেন, যে নিয়ত নিয়ে ১০০ ভাগ শিউর না হলে কেনায়া তালাক হয় না। আমি আসলে ১০০ ভাগ কনফার্ম না। কিন্তু আবার ভয় হচ্ছে, এর আগে তো এভাবে এ কথা বলার সময় তালাক শব্দ চিন্তায় আসে নাই। তাহলে আজকে আসলো কেন?
৩. এখন চিন্তা হচ্ছে, হয়তো অজান্তেই চলে আসছে, তবে আমি ওই শব্দের উপর ভিত্তি করে কোন নিয়ত করি নাই। আবার ভয় হচ্ছে, যদি কেনায়া হয়ে যায় (আল্লাহ্ না করুন) আর আমি বিবাহ নবায়ন না করি তাহলে তো গুনাহ হবে। এমনকি মনের মাঝে এই চিন্তাও আসছে, যে মাথায় কি ৩ সংখ্যা এসেছে, নাকি ১ এসেছে, নাকি এমনি এসেছে। আবার মনে হচ্ছে সবগুলাই এসেছিল।
আমাকে দয়া করে সমাধান দেবেন।