আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)

সম্মানিত মুফতী সাহেব,

আসসালামু আলাইকুম। একটি বিষয় নিয়ে পেরেশানির দরুন আপনার কাছে লিখছি। মেহেরবানী করে উত্তর প্রদান করে বাধিত করবেন।

ঘটনাঃ বাচ্চার একটা আচরণে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। অন্য কিছু কারণেও মেজাজ খারাপ ছিল। স্ত্রী বেচারী বুঝতে পারে নাই। দুই একটা কথা বলাতে বেশ রাগ উঠে যায়। রেগে গিয়ে বলি, “আমার কথা কিন্তু অন্যদিকে চলে যাবে” (একথা ভয় দেখানোর জন্য বলি যেন আর কথা না বলে)। আবার কথা বললে বলি, “ভালো না লাগলে চলে যাও, দরকার নেই তোমাকে আমার“(মুটামুটি এরকমই)। অন্য আর একটা কথা বললে বলি, “মায়ের প্রতি এত টান তাহলে মায়ের কাছেই চলে যাও” (মুটামুটি এরকমই)। উল্লেখ্য রাগ উঠে গেলে এই কথা আমি মাঝে মাঝেই বলি যে, ভালো না লাগলে চলে যাও। তালাকের নিয়তে তো কখনই বলি না। তবে সেদিন এই কথা বলার সময় কেমন জানি মনে হচ্ছিল আমি কি তালাকের নিয়তে বলছি, আবার মনে হচ্ছিল, “না, না! আমি তো ভয় দেখানোর জন্য বলছি। অনিচ্ছায় মনে হল তালাক শব্দটা মাথায় চলে এসেছিল। এই ঘটনার পর থেকে মনে হচ্ছে, আমি আসলে কি মনের ভিতর নিয়ে বলেছিলাম! সারাদিন এই পেরেশানী হচ্ছে। আসলে বলার শুরুতে কোন নিয়ত ছিল না। বলা শুরু করার পর কথার মাঝে এরকম সন্দেহ শুরু হয়ে যায়।

১. এখানে দুইটা ঘটনা হতে পারে। এক, আমি আসলে অন্যদিনের মত এমনিতেই স্বভাবগতভাবে বলেছিলাম। কিন্তু বলা শুরু করার পর তালাক শব্দটা অনিচ্ছায় মাথায় চলে আসে। দুই, যেহেতু কেনায়া তালাকের মাসায়েল জানা আছে সেজন্য চলে আসতে পারে। উল্লেখ্য, আমার কিছু সমস্যা আছে। যেমন আমার মাঝে মাঝেই মনে হয় আমি হয়তো তালাক কথাটা বলে ফেলবো। মনে হয় মুখে এসেই আছে। আর এমন চিন্তা আসলে মনে শান্তি পাই না। এখন এই চিন্তা ভাবনা থেকে মাথায় হুট করে চলে এসেছিল কিনা!

২. পরিচিত একজন হুযুরকে জানালে উনি বলেন, যে নিয়ত নিয়ে ১০০ ভাগ শিউর না হলে কেনায়া তালাক হয় না। আমি আসলে ১০০ ভাগ কনফার্ম না। কিন্তু আবার ভয় হচ্ছে, এর আগে তো এভাবে এ কথা বলার সময় তালাক শব্দ চিন্তায় আসে নাই। তাহলে আজকে আসলো কেন?

৩. এখন চিন্তা হচ্ছে, হয়তো অজান্তেই চলে আসছে, তবে আমি ওই শব্দের উপর ভিত্তি করে কোন নিয়ত করি নাই। আবার ভয় হচ্ছে, যদি কেনায়া হয়ে যায় (আল্লাহ্‌ না করুন) আর আমি বিবাহ নবায়ন না করি তাহলে তো গুনাহ হবে। এমনকি মনের মাঝে এই চিন্তাও আসছে, যে মাথায় কি ৩ সংখ্যা এসেছে, নাকি ১ এসেছে, নাকি এমনি এসেছে। আবার মনে হচ্ছে সবগুলাই এসেছিল।

আমাকে দয়া করে সমাধান দেবেন।

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সমস্ত বিবরণ অত্যান্ত মনযোগের সাথে পড়েছি, পড়ে আমরা যা বুঝেছি, সেই আলোকে বলছি উপরোক্ত কথাবার্তা দ্বারা কোনো তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
হযরত, জাঝাকাল্লাহ উত্তরের জন্য। আপনি লিখেছেন, "আমরা যা বুঝেছি সেই আলোকে বলছি"। এটা দেখে একটু টেনশন হচ্ছে। আসলে কি এই ক্ষেত্রে ন্যুনতম সম্ভাবনা আছে তালাক হবার? বিয়ে কি নবায়ন করতে হবে? আসলে আমার তো আবার ভয় হচ্ছে যে, সংখ্যার কথা তো মনে হয় সব এসেছিল মনের মাঝে। কিন্তু সেগুলো নিয়ে কিভাবে চিন্তা করেছিলাম সেটাই পূর্ণভাবে বলতে পারছি না।
by (715,680 points)
তালাক হবে না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...