ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে।জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মহিলাদের জন্য হারাম, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হবে।
তারা দলীল হিসেবে উপস্থাপন করেন,হায়েয অবস্থায় কুরআনকে স্পর্শ করা যাবে না।
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عمر رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : " لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئاً من القرآن
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,হায়েযা এবং জুনবী ব্যক্তি কুরআন থেকে কিছুই পড়তে পারবে না।(সুনানু তিরমিযি-১৩১) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/389
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আপনার উস্তাযাকে এ বিষয়টা নিয়ে বলবেন।উনাকে বলবেন যাতেকরে উনি আপনাকে আপনার মাযহাব মত চলার সুযোগ দেন। যদি উনি সুযোগ না দেন, তাহলে আপনি অন্যত্র কোনো হানাফি অনলাইন মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করুন। আপনার জন্য নিজ মাযহাবের উল্টো কাজ করা কখনো ঠিক হবে না।
যদি কেউ অনলাইনে কোনো হানাফি মাদরাসার সন্ধান না পায়, তাহলে যেহেতু সে নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করছে না, বরং এখানে কুরআন শিখতে চাচ্ছে, এবং পূর্ববর্তী মুজতাহিদদের মতামতও এ বিষয়ে রয়েছে, তাই অন্য মাযহাবের উপর সাময়িক আমল করা নিন্দনীয় হবে বলে মনে হচ্ছে না। অর্থাৎ রুখসত যোগ্য মনে হচ্ছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/44403
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) হায়েজ চলাকালীন যদি হিফযের কোন পরীক্ষা সামনে থাকে যেটা পরবর্তী সময়ে আর দেয়া সম্ভব না, এমন অবস্থায় অন্য মাযহাব অনুযায়ী কুরআন তিলাওয়াত করার সাময়িক রুখসত থাকবে। অর্থাৎ অপারগ অবস্থায় এই রুখসত কার্যকর হবে।
(২) হানাফি ফিকহ অনুসরণ করার পর হায়েজের সময় কুরআন পড়া ও পড়ানোর ক্ষেত্রে অন্য মত অনুসরণ করা কখনো উচিত হবে না।