ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যে কোনো ধরণের লেনদেনে উভয়ের সন্তুষ্টি একান্ত অত্যাবশ্যকীয় একটি বিষয়।সুতরাং উভয়ের সন্তুষ্টিতে যেকোনো মূল্যে লেনদেন করা যাবে,বৈধ আছে।কিন্তু কারো সন্তুষ্টি না থাকলে জোর করে বা তাকে বাধ্য করে তার সাথে লেনদেন করা কখনো জায়েয হবে না।
দ্বিতীয়তঃ কারো উপর জুলুম হচ্ছে কি না?সে দিকটাও নজরে রাখতে হবে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাঃ বলেনঃ
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻈﻠﻢ ﻇﻠﻤﺎﺕ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ
জুলুম/নির্যাতন কিয়ামতের দিন অন্ধকাররূপ ধারণ করবে।(সহীহ বুখারী-২৩১৫)
এবং অত্র হাদীস থেকে আমরা সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারলাম যে লেনদেনে কারো প্রতি জুলুম/নির্যাতন না হওয়া চাই। জুলুম/নির্যাতন করা সর্বাবস্থায় হারাম।
কিন্তু এক্ষেত্রে যেহেতু ক্রয়-বিক্রয়ের নির্ধারিত শর্ত ইজাব-কবুল তথা প্রস্তাব-সম্মতি পাওয়া যাচ্ছে,তাই লেনদেন সংগঠিত হয়ে যাবে। এবং উক্ত ক্রয়-বিক্রয় জায়েয হবে। হ্যা,অবশ্যই জুলুম-নির্যাতনের গোনাহ হবে।
ইমদাদুল ফাতাওয়া৩/১৯
আবকে মাসাঈল আউর উনকা হল৬/২৭
জামেউল ফাতাওয়া ৬/৬২
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3747
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) অধিক লাভের আশায় যেই মহাজন পণ্যর বর্তমান উচ্চমূল্য সম্পর্কে জানে না, তার কাছে গিয়ে দাম বাড়ার তথ্য টি গোপন রেখে প্রয়োজন না থাকার পরও আগের মূল্যে মাল ক্রয় করে নিয়ে আসা নাজায়েয হবে না,ধোকা হবে না। কেননা মহাজনের নিকট তো পূর্বে মূল্যে উক্ত পণ্যটি মওজুদ রয়েছে। তবে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের উপর জুলুম করা যাবে না।তথা পরিমিত লাভ করতে হবে, নতুবা জুলুম হবে।
(২) একই অবস্থায় যারা জানে মালের দাম বেশি, তাদের কাছ থেকে বেশি দামে কিছু মাল ক্রয় করে, নিয়ে, পুরনো মালের সাথে বাজার অনুযায়ী দামে বিক্রি করাও জুলুমের অন্তর্ভুক্ত হবে।বরং পুরাতন মালকে কম মূল্যে এবং নতুন ক্রয়কৃত মালকে বর্তমান বাজারমূল্যে বিক্রয় করা যাবে।