আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি। প্রিয় হুজুর আমি একটি বিষয়ে সন্দিহান,আমি একজন মুদি দোকানদার,।আমার ব্যবসায়ে প্রায় সময়ে বস্তামালের  দাম উঠানামা করে যার কোন নির্ধারিত mrp থাকে না।।ত আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে, যদি হঠাৎ করে মালের বেড়ে গেল।তাৎক্ষণিক  কিছু মহাজন তা জানতে আর কিছু মহাজন জানতে পারে না,কিন্তু আমি  নিশ্চিত জানতে পাই।


১, এখন+অধিক লাভের আশায় যেই মহাজন জানে না, তার  কাছে গিয়ে দাম বাড়ার তথ্য টি গোপন রেখে প্রয়োজন না থাকার পরও আগের দামে মাল ক্রয় করে নিয়ে আসা কি ঠিক হবে না ধোকা হবে????

২  একই অবস্থায় যারা জানে  মালের   দাম বেশি, তাদের কাছ থেকে বেশি দামে কিছু  মাল ক্রয় করে, নিয়ে, আমার পুরনো মালের সাথে বাজার অনুযায়ী দামে  একই বিক্রি করা কি যাবে??
বিষয় টি পরিস্কার হলে আমার ব্যবসা ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবসা করতে অনেকাংশে সুবিধা হবে ইংশাআল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যে কোনো ধরণের লেনদেনে উভয়ের সন্তুষ্টি একান্ত অত্যাবশ্যকীয় একটি বিষয়।সুতরাং উভয়ের সন্তুষ্টিতে যেকোনো মূল্যে লেনদেন করা যাবে,বৈধ আছে।কিন্তু কারো সন্তুষ্টি না থাকলে জোর করে বা তাকে বাধ্য করে তার সাথে লেনদেন করা কখনো জায়েয হবে না।

দ্বিতীয়তঃ কারো উপর জুলুম হচ্ছে কি না?সে দিকটাও নজরে রাখতে হবে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাঃ বলেনঃ
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻈﻠﻢ ﻇﻠﻤﺎﺕ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ
জুলুম/নির্যাতন কিয়ামতের দিন অন্ধকাররূপ ধারণ করবে।(সহীহ বুখারী-২৩১৫)

এবং অত্র হাদীস থেকে আমরা সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারলাম যে লেনদেনে কারো প্রতি জুলুম/নির্যাতন না হওয়া চাই। জুলুম/নির্যাতন করা সর্বাবস্থায়  হারাম।
কিন্তু এক্ষেত্রে যেহেতু ক্রয়-বিক্রয়ের নির্ধারিত শর্ত ইজাব-কবুল তথা প্রস্তাব-সম্মতি পাওয়া যাচ্ছে,তাই লেনদেন সংগঠিত হয়ে যাবে। এবং উক্ত ক্রয়-বিক্রয় জায়েয হবে। হ্যা,অবশ্যই জুলুম-নির্যাতনের গোনাহ হবে।
ইমদাদুল ফাতাওয়া৩/১৯
আবকে মাসাঈল আউর উনকা হল৬/২৭
জামেউল ফাতাওয়া ৬/৬২
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3747

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) অধিক লাভের আশায় যেই মহাজন পণ্যর বর্তমান উচ্চমূল্য সম্পর্কে জানে না, তার কাছে গিয়ে দাম বাড়ার তথ্য টি গোপন রেখে প্রয়োজন না থাকার পরও আগের মূল্যে মাল ক্রয় করে নিয়ে আসা নাজায়েয হবে না,ধোকা হবে না। কেননা মহাজনের নিকট তো পূর্বে মূল্যে উক্ত পণ্যটি মওজুদ রয়েছে। তবে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের উপর জুলুম করা যাবে না।তথা পরিমিত লাভ করতে হবে, নতুবা জুলুম হবে।

(২) একই অবস্থায় যারা জানে মালের দাম বেশি, তাদের কাছ থেকে বেশি দামে কিছু  মাল ক্রয় করে, নিয়ে, পুরনো মালের সাথে বাজার অনুযায়ী দামে বিক্রি করাও জুলুমের অন্তর্ভুক্ত হবে।বরং পুরাতন মালকে কম মূল্যে এবং নতুন ক্রয়কৃত মালকে বর্তমান বাজারমূল্যে বিক্রয় করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...