জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(১.২)
শরীয়তের বিধান হলো পুরুষদের জন্য নিরেট রেশমের কাপড় পরিধান করা নাজায়েজ।
তবে যদি রেশম এর তুলনায় অন্য কিছু মিশ্রিত হয়,তাহলে অন্য কিছুর পরিমান বেশি হলে উক্ত কাপড় পরিধান করা জায়েজ আছে।
তবে কিছু ইসলামী স্কলার গন এর পরেও সেটাকে নাজায়েজ বলেন।
,
তাই সতর্কতা মূলক প্রশ্নে উল্লেখিত উভয় ছুরতেই ব্যবহার না করা উচিত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَطِيَّةُ بْنُ قَيْسٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ غَنْمٍ الْأَشْعَرِيَّ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو عَامِرٍ أَوْ أَبُو مَالِكٍ، وَاللَّهِ يَمِينٌ أُخْرَى مَا كَذَّبَنِي، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: لَيَكُونَنَّ مِنْ أُمَّتِي أَقْوَامٌ يَسْتَحِلُّونَ الْخَزَّ، وَالْحَرِيرَ وَذَكَرَ كَلَامًا، قَالَ: يُمْسَخُ مِنْهُمْ آخَرُونَ قِرَدَةً وَخَنَازِيرَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَعِشْرُونَ نَفْسًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ أَكْثَرُ لَبِسُوا الْخَزَّ مِنْهُمْ أَنَسٌ، وَالْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ
আব্দুর রাহমান ইবনু গানম আল-আশ‘আরী (রহঃ) বলেন, আবূ আমির (রাঃ) বা আবূ মালিক (রাঃ) আমাকে বলেছেন, আল্লাহর কসম এবং কসম, কখনো তিনি আমাকে মিথ্যা বলেননি। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনঃ আমার উম্মাতের এমন কিছু লোক হবে, যারা পশম ও রেশমের তৈরী পোশাক এবং রেশমী পোশাক পরা হালাল গণ্য করবে। তাদেরকে কিয়ামতের দিন শূকর ও বানরের আকৃতিতে পরিবর্তিত করা হবে।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিশ এর অধিক সাহাবী রেশম ও পশম মিশ্রিত সূতার তৈরী পোশাক পরেছেন। আনাস ও আল-বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) তাদের অন্তর্ভুক্ত।
(আবু দাউদ ৪০৩৯)
,
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَنْمَاطِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّازِيُّ، ح وحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، أَخْبَرَنِي أَبِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ سَعْدٍ، قَالَ: رَأَيْتُ رَجُلًا بِبُخَارَى عَلَى بَغْلَةٍ بَيْضَاءَ عَلَيْهِ عِمَامَةُ خَزٍّ سَوْدَاءُ، فَقَالَ: كَسَانِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
সা‘দ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বোখারাতে রেশম ও পশমের তৈরী কালো পাগড়ি পরিহিত এক লোককে সাদা খচ্চরের উপর আরোহী দেখতে পেলাম। লোকটি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা (পাগড়ি) আমাকে পরিয়ে দিয়েছেন।
(আবু দাউদ ৪০৩৮)
آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عُثْمَانَ النَّهْدِيَّ أَتَانَا كِتَابُ عُمَرَ وَنَحْنُ مَعَ عُتْبَةَ بْنِ فَرْقَدٍ بِأَذْرَبِيجَانَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَهٰى عَنْ الْحَرِيرِ إِلاَّ هٰكَذَا وَأَشَارَ بِإِصْبَعَيْهِ اللَّتَيْنِ تَلِيَانِ الإِبْهَامَ قَالَ فِيمَا عَلِمْنَا أَنَّه“ يَعْنِي الأَعْلاَمَ.
ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ ‘উসমান নাহদী (রাঃ) -এর থেকে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ আমাদের কাছে ‘উমার (রাঃ) -এর পক্ষ থেকে এক পত্র আসে, এ সময় আমরা ‘উত্বাহ ইবনু ফারকাদের সঙ্গে আযারবাইজানে অবস্থান করছিলাম। (পত্রে লেখা ছিলঃ) রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রেশম ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন, তবে এটুকু এবং ইঙ্গিত দিলেন বুড়ো আঙ্গুলের সাথে মিলিত দু’আঙ্গুল দ্বারা (বর্ণনাকারী বলেনঃ ) আমরা বুঝতে পারলাম যে (কতটুকু জায়িয তা) জানিয়ে তিনি পাড় ইত্যাদি বুঝাতে চেয়েছেন।[বুখারী ৫৮২৯, ৫৮৩০, ৫৮৩৪, ৫৮৩৫; মুসলিম পর্ব ৩৭/হাঃ ২০৬৯, আহমাদ ৩৬৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৯৮)
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ قَالَ كَتَبَ إِلَيْنَا عُمَرُ وَنَحْنُ بِأَذْرَبِيجَانَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهٰى عَنْ لُبْسِ الْحَرِيرِ إِلاَّ هٰكَذَا وَصَفَّ لَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِصْبَعَيْهِ وَرَفَعَ زُهَيْرٌ الْوُسْطٰى وَالسَّبَّابَةَ.
আবূ ‘উসমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা আযারবাইজানে অবস্থান করছিলাম। এ সময় ‘উমার (রাঃ) আমাদের কাছে লিখে পাঠান যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রেশমী কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন; কিন্তু এটুকু এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর দু’আঙ্গুল দিয়ে এর পরিমাণ আমাদের বলে দিয়েছেন। যুহাইর মধ্যমা ও শাহাদাত আঙ্গুল তুলে দেখিয়েছেন।(বুখারী শরীফ, আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৯৯)
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيٰى عَنْ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ قَالَ كُنَّا مَعَ عُتْبَةَ فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يُلْبَسُ الْحَرِيرُ فِي الدُّنْيَا إِلاَّ لَمْ يُلْبَسْ فِي الآخِرَةِ مِنْه“ الْحَسَنُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ وَأَشَارَ أَبُو عُثْمَانَ بِإِصْبَعَيْهِ الْمُسَبِّحَةِ وَالْوُسْطَى.
আবূ ‘উসমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, আমরা উত্বাহ্র সাথে ছিলাম। ‘উমার (রাঃ) তার কাছে লিখে পাঠান যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যাকে আখিরাতে রেশম পরানো হবে না, সে ব্যতীত অন্য কেউ দুনিয়ায় রেশম পরবে না।
আবূ ‘উসমান (রহঃ) তার দু’আঙ্গুল অর্থাৎ শাহাদাত ও মধ্যমা দ্বারা ইশারা করলেন। [৫৮২৮; মুসলিম পর্ব ৩৭/হাঃ ২০৬৯, আহমাদ ৩৬৫]] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩০০)
عون المعبود :
’’وقال الطيبي : هو الثوب الذي يكون سداه ولحمته من الحرير لا شيء غيره ، ومفاد العبارتين واحد ( وسدى الثوب ) : بفتح السين والدال بوزن الحصى ، ويقال ستى بمثناة من فوق بدل الدال لغتان بمعنى واحد وهو [ ص:82 ] خلاف اللحمة وهي التي تنسج من العرض وذاك من الطول ، والحاصل أنه إذا كان السدى من الحرير واللحمة من غيره كالقطن والصوف ( فلا بأس )؛ لأن تمام الثوب لا يكون إلا بلحمته . والحديث يدل على جواز لبس ما خالطه الحرير إذا كان غير الحرير الأغلب وهو مذهب الجمهور‘‘.
التمهيد في الموطأ من المعاني و الأسانيدمیں ہے:
’’لا يختلفون في الثوب المصمت الحرير الصافي الذي لا يخالطه غيره أنه لايحل للرجال لباسه‘‘. (١٤/ ٢٤٠)
সারমর্মঃ রেশম ব্যতিত অন্য কিছুই যদি বেশি থাকে,তাহলে সেই কাপড় পরিধান করা জায়েজ।
الاختيار لتعليل المختار’’لا بأس بلبس ماسداه إبريسم و لحمته قطن أو خز‘‘. (ص: ٤٩)
সারমর্মঃ সামান্য পরিমান রেশম মিশ্রিত হলে কোনো সমস্যা নেই।
تنویر الأبصار مع الدر المختار :
’’و يحل ( لبس ما سداه ابريسم و لحمته غيره) ككتان و قطن و خز؛ لأن الثوب إنما يصير ثوباً بالنسج، و النسج باللحمة، فكانت هي المعتبرة دون السدي‘‘.
و في الشامية: ’’( قوله: و لحمته غيره) سواء كان مغلوباً أو غالباً أو مساوياً للحرير، و قيل: لا بأس إلا إذا غلبت اللحمة علي الحرير، و الصحيح الأول‘‘. ( شامي، كتاب الحظر و الإياحة، ٦/ ٣٥٦، ط: سعيد)
সারমর্মঃ ছহীহ মত হলো রেশম কম হোক আর বেশি হোক,সব ছুরতেই নাজায়েজ।
আরো জানুনঃ
(০৩)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মখমলের কাপড় পরিধান করা জায়েজ আছে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، قَالَ: قَالَ لِي أَبِي يَا بُنَيَّ لَوْ رَأَيْتَنَا وَنَحْنُ مَعَ نَبِيِّنَا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ أَصَابَتْنَا السَّمَاءُ، حَسِبْتَ أَنَّ رِيحَنَا رِيحُ الضَّأْنِ
আবূ বুরদাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা বলেন, হে বৎস! তুমি যদি দেখতে, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজে এমন হলাম যে, আমাদের শরীর থেকে ভেড়ার গন্ধ বের হচ্ছিল। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ পশমী পোশাক (এর কারণে)।
(আবু দাউদ ৪০৩৩)
,
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ الرَّمْلِيُّ، وَحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَا: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَيْهِ مِرْطٌ مُرَحَّلٌ مِنْ شَعَرٍ أَسْوَدَ
আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাড়ি থেকে বের হলেন, তখন তাঁর গায়ে কারুকার্য খচিত কালো পশমী চাদর ছিলো।
(আবু দাউদ ৪০৩২)
,