ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ট্রান্সহিউম্যানিজম সম্পর্কে একটি আর্টিকেলে পড়লাম যে,
একসময় অল্প ঠাণ্ডা পড়লেই মানুষ তা সহ্য করতে পারতো না। অনেকে মারাও যেত। কিন্তু এখন মোটা জামা-কাপড়, সোয়েটার, কম্বলের আগমনের পর শীত সহ্য করার ক্ষমতা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। ফলে ঠাণ্ডায় মারা যাওয়ার হারও কমেছে। দিনে দিনে পাতলা কিন্তু বেশি গরম কাপড় তৈরির চেষ্টা চলছে। এই সবকিছুর মূল উদ্দেশ্য একটাই। মানুষকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করা।
যদি ট্রান্সহিউম্যানিজম এর অর্থ হয়, মানব সমাজের কল্যাণের জন্য কাজ করা, তাহলে এটা অবশ্যই ভালো এবং উত্তম। তবে যদি হয় এমন কিছু যা মানুষকে তার মানুষত্য থেকে বের করে দেয়, অথবা মানুষকে খারাপের দিকে নিয়ে যায়, তাহলে তখন এই বিষয়ে পড়াশোনা করা,সংযুক্ত হওয়া জায়েয হবে না।
মোটকথাঃ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর নিমিত্বে কোনো চিন্তাগবেষণা করা তো অবশ্যই জায়েয।তবে অস্বাভাবিক আয়ূ বাড়ানো বা এমন কোনো পদক্ষেপ যা মানুষকে খারাপের দিকে নিয়ে যায়, এমন চিন্তাগবেষণা জায়েয হবে না।
(২)
যেই সমস্ত অ্যাডে মহিলার ছবি দেয়া থাকে, যেগুলোতে যদিও মহিলাদের মাথা থাকে না কিন্তু শরীরের অন্য অঙ্গতে কাপড় এমন ভাবে থাকে যে, ভিতরের অঙ্গ বোঝা যায়, এসব ছবিও আর ভিডিও হারামের অন্তর্ভুক্ত হবে।