আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
আমি এবং আমার পরিবার বহুবছর ধরে জিন,যাদুগ্রস্ত।আমরা আলহামদুলিল্লাহ ইসলামী শরীয়া মেনে জীবনযাপন করার চেষ্টা করি যদিও ভুলত্রুটিও হয়ে যায় অনেক।বর্তমানে আমার পরিবারের সবাই অসুস্থ, পরস্পরের মধ্যে না চাইতেও ঝগড়া ঝামেলা লেগে যায়।আমাদের সবারই সালাত, কুরআন তিলাওয়াতে অনেক সমস্যা হয়।সলাত আদায়ের সময় শ্বাসকষ্ট, অস্বস্তি, শরীর ভার,ব্যাথা,বমি হতে চাওয়া এমন সমস্যা হয় আমার,আরও অনেক সমস্যা আছে।রুকইয়াহ করলে কিছুটা ভালো লাগলেও,শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি।রুকইয়াহ বন্ধ করলে সব আগের মতো।সরাসরি রুকইয়াহ করার জন্য গেলে রাক্বি সমস্যা শুনে লং টাইম রুকইয়াহ সেশন নেওয়ার পরামর্শ দেন যা অনেক ব্যায়বহুল।

এখন এমন অবস্থায় মাঝে মাঝে কিছু অপ্রিতীকর কাজ করে ফেলি যা আমি করতে চাই না,এসব স্বাভাবিক অবস্থায় আমি করিও না,আমি খুবই শান্ত স্বভাবের।কিন্তু মাঝে মাঝে ভাঙচুর,উল্টা পল্টা কথা বলা,মারামারি,অনেক জোরে চিৎকার চেচামেচি করে ফেলি। এমন সময় আমাকে ধরে কুরআন, দোয়া কালাম পড়লে আমি শান্ত হই।এখন এসব কাজের জন্য কি আমার গুণাহ হবে?এই কাজগুলো আর কথা জ্বীনের দ্বারা হলে এই গুণাহর দায়ভার জ্বীনের হবে নাকি আমারও শাস্তি পেতে হবে? আমি সবকিছুর পর তওবা করে আর করবো না নিয়ত করলেও, আবার একই রকম পরিস্থিতির স্বীকার হই বারবার। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি এসব ভেবে।

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4560

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
رفع القلم عن ثلاثة: عن الصغير حتى يبلغ، وعن النائم حتى يستيقظ، وعن المجنون حتى يفيق
তিন ব্যক্তির উপর থেকে (দায়িত্বের) কলম উঠিয়ে নেয়া  হয়েছে, (১) ঘুমন্ত ব্যক্তি জাগ্রত হওয়া পর্যন্ত (২) শিশু বালেগ হওয়া পর্যন্ত এবং (৩) পাগল বিবেকবুদ্ধি ফিরে পাওয়া পর্যন্ত। (আবু দাউদ ৪৪০৩ তিরমিযী ১৪২৩ নাসাঈ ৩৪৩২ ইবনে মাজাহ ২০৪১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যখন আপনার উপর জ্বীনের আছর হয়ে থাকে, তখন তো আপনার হুশ থাকেনা,যা কিছুই আপনি করেন,অনিচ্ছাকৃত করেন, সুতরাং এই অনিচ্ছাকৃত করার কারণে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...