আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।
শুনেছি,একটানা ৪০দিন তাহাজ্জুদ পড়লে দুয়া কবুল হয়,,১)এই হাদিসটা কি সহিহ্!? নাকি নির্দিষ্ট কোনো দিন ঠিক করে দেননি আল্লাহ তায়ালা, কবুল না হওয়া পর্যন্ত পরতেই থাকতে হবে!? ভয়ে হাদিসটি বিশ্বাস অবিশ্বাস কোনোটাই করতে পারছিনা, যদি বিদাত হয়ে যায়! তাই সঠিক টা জানতে চাই,,,আর যদি এই হাদিসটি সহিহ হয়,তবে,,,২)হায়েযের জন্য যদি মাঝে ৬/৭ দিন বাধ্য হয়ে মিস হয়ে যায় তবেকি আমি এই ফজিলত থেকে বঞ্চিত হবো!? ।
৩) হুজুর যদি কেও ফজরের ১৫ মিনিট আগে তাহাজ্জুদ পড়ে, তবেকি তার সেই তাহাজ্জুদ টা কম ফজিলত পূর্ণ, বা কম সওয়াবের হবে!? পড়াশোনার জন্য রাতে দেরি করে ঘুমাতে যেতেহয়,যারফলে তাহাজ্জুদে উঠে সালাত শেষে আবারও খুব ঘুম পায়,এভাবে অনেকসময় দেখাযায় ফজরের সময় জাগতেই পারিনি! এখন কি করবো হুজুর,,, ফজরের ১৫ মিনিট আগে পড়লেও আল্লাহ কি সমপরিমাণ খুশি হবেন না!?
আমার আগের একটা প্রশ্নের এবং এর উত্তরের কিছু অংশ এখানে দিলাম,,,
দু'আ কবুল হওয়ার জন্য দু'আ কারীর ইতিবাচক মনোভাব এবং কবুল হওয়ার পূর্ণ বিশ্বাস তার অন্তরে থাকতে হবে।যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
وعنه، قال: قال رسول الله - صلى الله عليه وسلم - " «ادعوا الله وأنتم موقنون بالإجابة واعلموا أن الله لا يستجيب دعاء من قلب غافل لاه» " (رواه الترمذي، وقال: هذا حديث غريب) .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা আল্লাহকে এমন অবস্থায় ডাকো যে,দু'আ কবুলের সম্পর্কে তোমাদের অন্তরে পূর্ণ ইয়াকিন-বিশ্বাস রয়েছে। জেনে রাখো,আল্লাহ তা'আলা গাফিল এবং খেল-তামাশকারী বান্দার পক্ষ্য থেকে কখনো দু'আ কবুল করেন না। মিশকাতুল মাসাবিহ-২২৪১
১)তাহলে আমি যদি এখন পূর্ণ বিশ্বাস রাখি যে আল্লাহ তো আমাকে এটা অবস্যই দিবেন যদি আমার জন্য কল্যানকর হয় ,আমি মাঝে মাঝে দৃঢ় বিশ্বাসের জন্য নিজে নিজেই ভেবে অনেক বেশি আনন্দ পাই যে আমি আল্লাহর কাছে ইটা চেয়েছি তিনি অবস্যই আমাকেই তা দিবেন ,এবং এটা পাবার আনন্দটা আমি আগেই পাই এটা কি জায়েজ ?
আবার অনেকসময় দৃঢ় বিশ্বাসের ফলে জিনিষটা না পেতেই না চাইতেও ভেবে ফেলি যে আল্লাহ আমাকে এটা দিয়ে দিলে এরপর আমি এটা নিয়ে এই করবো সেই করবো ,,,অমনি আবার মনেহয় যে আমার জন্য কল্যানকর না হলে তো আমাকে তিনি তা নাও দিতে পারেন তাহলে আগে থেকেই এতো আশা করে বোকামি করছি ,,,,,,আমার এরূপ আগে থেকে আনন্দ পাবার জন্য এবং না পাওয়া বস্তুটাকে নিয়ে অগ্রিম স্বপ্ন দেখার ফলে কি আল্লাহ নারাজ হচ্ছেন ? এটার জন্য কি শাস্তি পেতে হবে আমাকে !?
উত্তর ছিলো যে এটা গোনাহ হবেনা,না জায়েয হবেনা,,
৪)এখন আমি কোনো একজন নির্দিষ্ট দ্বীনদার ব্যাক্তিকে "আল্লাহ গো উনি যদি আমার দুনিয়া আখিরাতের জন্য উত্তম হন,তবে তুমি তাকেই আমার জীবন সঙ্গী করে দিও,আর যদি আমার জন্য উত্তম না হয়,তবে তার সমস্ত কিছু ভুলিয়ে দাও তুমি আমায়," এমনটা দোয়া করি এবং দৃঢ় বিশ্বাস করি,যে আল্লাহ নিশ্চয়ই তাকে আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে দিবেন,যদি তিনি আমার জন্য উত্তম হন,,,তো আমি না চাইতেও অনেকসময় কল্পনা করে ফেলি যে আমরা কিভাবে একসাথে সবসময় আল্লাহর ইবাদত করবো,কিভাবে হাদিসের কথা শুনবো তারকাছে,কিভাবে দুজনে গল্প করবো,.....কখনোই কোনো খারাপ কল্পনা করিনি/করিনা,,,তো এটা কি নাজায়েজ হয়ে যাচ্ছে!??
৫)""আল্লাহ গো,,উনি যদি আমার দুনিয়া আখিরাতের জন্য কল্যানকর হন,তবে তুমি তাকেই আমার জীবনসঙ্গী করে দিও,তুমি তো অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারো গো আল্লাহ্,আল্লাহ গো,তুমি তার মধ্যেই আমার জন্য সমস্ত কল্যান দান করে তার সাথে আমায় মিলিয়ে দিও প্লিজ!"" এভাবে দোয়া করা কি ঠিক হচ্ছে!?
যেহেতু তিনি কল্যানকর না হলেও,তারমধ্যে আমারজন্য কল্যান দান করে, তারসাথে আমাকে মিল করে দিতে বলছি,এটাতো একরকম তাকে নির্দিষ্ট করে চাওয়া হয়ে যাচ্ছে।
৬)আমি যেভাবে একজনকে চাইছি,,অনুরুপভাবে কোনো তৃতীয় ব্যাক্তি যদি একইভাবে আমার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করে,,(এভাবেই আমাকে চেয়ে)তবে আল্লাহ কারটা শুনবেন!?