ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ইসলাম বিরোধী নয়, এবং অশ্লীলতা নয় এমন যেকোনো ধরণের বই আপনি লিখতে পারবেন।
(২)
বই লিখে সত্ব সংরক্ষণ করে উপার্জন করা যাবে। হাদীসে এসেছে,
হযরত আসমুর ইবনে মুদরাস (রা.) থেকে একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, 'আমি নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে হাজির হয়ে তার হাতে বাইআত গ্রহণ করি।এ সময় নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,' যে ব্যক্তি ওই বস্তুর দিতে অগ্রসর হল, যে বস্তুর দিকে কোনো মুসলমান অগ্রসর হয় নাই,তাহলে ওই বস্তু ওই ব্যক্তির।(যে ওই দিকে প্রথম অগ্রসর হয়েছে।)আবু-দাউদ:৪/২৬৪ হাদীস নং২৯৪৭)
আসমার ইবনু মুযাররিস (রাঃ) হতে বর্ণিত।
وَعَنْ أَسْمَرَ بْنِ مُضَرِّسٍ قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَايَعْتُهُ فَقَالَ: «مَنْ سَبَقَ إِلَى مَاءٍ لَمْ يَسْبِقْهُ إِلَيْهِ مُسْلِمٌ فَهُوَ لَهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে (ইসলামে দীক্ষেত হওয়ার) বায়’আত করলাম। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যে ব্যক্তি কোনো পানির (কূপের) কাছে প্রথমে পৌঁছে, আর ঐ পানির কাছে তার পূর্বে কোনো মুসলিম পৌঁছেনি, তখন সেটা তার (হক)। (আবূ দাঊদ-৩০৭১,মিশকাত-৩০০২)
বিন্নুরী টাউন মাদরাসা থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় বলা হয়েছে,
صورتِ مسئولہ میں اگر کہانی لکھنے والا شخص اپنی کہانی میں کسی قسم کا فحش یا غیر اخلاقی مواد شامل نہیں کرتا اور کہانی فروخت کر دیتا ہے، اور خریدار اپنے اختیار سے اس کہانی کی عکس بندی کرتا ہے، اور اس میں کسی قسم کی میوزک و جان دار کو شامل نہیں کرتا تو اس صورت میں دونوں کی کمائی حلال ہوگی۔ البتہ اگر خریدار عکس بندی کے دوران موسیقی یا جان دار کی ویڈیو بھی شامل کرتا ہے تو اس صورت میں خریدار کی کمائی حلال طیب نہ ہوگی۔ فقط واللہ اعلم
فتوی نمبر : 144012201682
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن-
বিঃদ্রঃ
অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যে, যে বা যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বা মাখলুকাতের সেবা করার জন্য বই লিখেছেন, তাদের বইগুলোই সর্বজন প্রিয় হয়েছে। এবং সর্বাধিক বিক্রিত হয়েছে, সুতরাং বই লিখার মুহূর্তে আল্লাহর সন্তুষ্টির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সুতরাং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তেই কাজ করা উচিৎ।
(৩)
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা যদি উদ্দেশ্য হয়, এমন কোনো কাজ যা নিজে করা সম্ভবপর নয়, তাহলে এমন কাজকে নিজের নামে প্রচার করা ধোকা ও প্রতারণা হয়ে যাবে। তবে যদি নিজেও করা যাবে, এমনকি সবাই সেটা করতে পারে।শুধুমাত্র সময় বাঁচানো এবং সহজতার জন্য যদি সফটওয়্যারের সাহায্য নেয়া হয়, তাহলে সেটা অবশ্যই নাজায়েয হবে না।