بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/85969/?show=85969#q85969
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
পবিত্র কুরআনে মুত্তাকীদের জন্য জান্নাতের ঘোষণা দেয়া হয়েছে,
اِنَّ الْمُتَّقِیْنَ فِیْ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوْنٍ.
সেদিন নিশ্চয়ই মুত্তাকীরা থাকবে প্রস্রবণবিশিষ্ট জান্নাতে।
-সূরা যারিয়াত (৫১) : ১৫
সাথে তাদের কিছু গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যের বিবরণও এসেছে। তন্মধ্যে
অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল-
وَ بِالْاَسْحَارِ هُمْ یَسْتَغْفِرُوْنَ
রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করত। -সূরা যারিয়াত
(৫১): ১৮
ইবাদুর রহমান-রহমানের বান্দাদের কতিপয় বৈশিষ্ট বর্ণনা করা হয়েছে
কুরআনে কারীমের সূরা ফুরকানে। সেখানেও উপরোল্লিখিত বৈশিষ্ট্যটি বিবৃত হয়েছে-
وَ الَّذِیْنَ یَبِیْتُوْنَ لِرَبِّهِمْ
سُجَّدًا وَّ قِیَامًا.
আর তাঁরা রাত অতিবাহিত করে তাঁদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সিজদারত
হয়ে এবং দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। -সূরা ফুরকান (২৫) : ৬৪
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
يَنْزِلُ رَبّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلّ
لَيْلَةٍ إِلَى السّمَاءِ الدّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللّيْلِ الآخِرُ
يَقُولُ: مَنْ يَدْعُونِي، فَأَسْتَجِيبَ لَهُ مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ،
مَنْ يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ.
আমাদের রব প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ
করেন এবং বলেন, কে আছো, দুআ করবে আমি
তার দুআ কবুল করব। কে আছো, আমার কাছে (তার প্রয়োজন) চাইবে আমি
তাকে দান করব। কে আছো, আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা
করব। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১১৪৫; সহীহ মুসলিম,
হাদীস ৭৫৮
এই নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করা যায়। যে
ইবাদতকে শয়তান সবচেয়ে ঘৃণা করে, তা হলো তাহাজ্জুদের নামাজ। শয়তানের
কাছ থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
রেগুলার তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে করনীয়ঃ-
★ঘুমানোর
আগে বেশ হিম্মতের সহিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ত নিয়ে ঘুমাতে হবে। কোনো কারণে তাহাজ্জুদের
নামাজের জন্য ঘুম থেকে উঠতে না পারলে খালেস নিয়ত থাকার দরুন আপনি তাহাজ্জুদ আদায়ের
ছওয়াব পাবেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- হযরত আবুদ দারদা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
مَنْ أتى فِراشَه وَهُوَ يَنْوي أن يّقُومَ
يُصلِّي مِنَ اللّيلِ فغلبتْهُ عَيْناه حَتّى أصْبحَ، كُتبَ لَه مَا نَوى، وَكانَ
نومُهُ صدَقةً عَلَيْهِ مِنْ رّبِّه - عز وجل
যে ব্যক্তি রাতে নামায পড়ার নিয়ত করে বিছানায় গেল, কিন্তু ঘুম তাকে পরাস্ত করল, সে উঠতে পারল না,
সকাল হয়ে গেল, তাহলে নিয়তের কারণে তার আমলনামায়
আমলের সওয়াব লেখা হবে। আর এই ঘুম রবের পক্ষ থেকে তার জন্য সদাকা বলে বিবেচিত হবে। (সুনানে নাসাঈ, হাদীস ১৭৮৭)
★ইশার
পর দ্রুত ঘুমাতে হবে। দ্রুত ঘুমালে কিয়ামুল
লাইল ও ফজরের শক্তি সঞ্চয় হয়। এর জন্য দুপুরে কিছুক্ষন ঘুমাতেও পারেন।
★ঘুমাতে
যাওয়ার আগে ঘুমের আদবগুলো রক্ষা করা প্রয়োজন। যেমন অজুসহ ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুমের দোয়া
পাঠ করা।
রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর
একটি সুন্নত হলো রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দু হাতের তালুতে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক এবং সুরা নাস পাঠ করা। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এসব সুন্নত পালন করা ভালো।
এ ছাড়া আয়াতুল কুরসি এবং ঘুমের দোয়াগুলো পড়ে ঘুমকেও ইবাদতে পূর্ণ করা যায়।
★তাহাজ্জুদের
নামাজকে সহজভাবে নিতে হবে। ফজরের ওয়াক্তের ১৫/২০ মিনিট আগে উঠে এই অভ্যাস রপ্ত করা
যায়। এরপরে আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে যায়। নামাজের স্থায়ী ক্যালেন্ডার দেখে ফজরের ওয়াক্ত
আসার ১৫ মিনিট পূর্বে এলার্ম দিতে পারেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী
ভাই/বোন!
জ্বী না, হায়েযের সময় উক্ত ফজিলত প্রাপ্তির
ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হবে না ইনশাআল্লাহ। তবে উক্ত নিষিদ্ধ সময় ব্যতি রেখে স্বাভাবিক
সময়ে যদি কেউ ইচ্ছাকৃত তাহাজ্জুদের সালাত মিস দেয় তাহলে সে উক্ত ফজিলত থেকে মাহরুম
হবে।