আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
213 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
edited by
assalamualaikum .........একজন নারী বেদ্বীন পরিবারে থেকে বড়ো হয়েছে ,বাবা মায়ের বিচ্ছেদের পর ছোটবেলা থেকে অনেক প্রতিকূলতার শিকার হয়েছে,,অনেক কষ্টে মানুষ হয়েছে,যার ফলে অনেক ইচ্ছে আকাঙ্খা থাকা সত্ত্বেও দ্বীনি ইলম অর্জন করতে পারেন নি এমনকি অনেকবার ধর্ষণের হাত থেকেও বেঁচেছে। .আল্লাহ বাঁচিয়েছেন.... কিন্তু ছোটবেলা থেকেই মেয়েটির অনেক ইচ্ছা আল্লাহর সব কথা শুনার সব মেনে চলার পরিপূর্ণভাবে দ্বীন পালন করার ,,,সে মৃত্যু ,হিসাব,জাহান্নামকে অনেক ভয় পায় ,এবং সে জাহান্নাম থেকে বাঁচতে চায় ,,,,সে তো কম দ্বীনদার ,সে যদি  জান্নাতের লোভে আল্লাহর কাছে তারথেকে অনেকবেশি দ্বীনদার কাওকে নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে চায় ,যাতে তারসাথে থাকলে মেয়েটির সমস্ত ভুল সংশোধন হতে পারে ,এবং আলেম ,হাফেজ ,মাওলানা সন্তান বানাতে পারেন ,মৃত্যুর পর নাজাত পেতে পারেন ,তবেকি মেয়েটির এমন চাওয়া আল্লাহ পূরণ করবেন !!? যেহেতু মেয়েটি কম দ্বীনদার এবং এরকম কাওকে পাবার যোগ্য না!
কিন্তু মেয়েটি জন্মের পর থেকে না জেনে যত পাপ /ভুল করেছে সব কিছুর জন্য তওবা করেছে এবং প্রতিনিয়তই নিজের না জেনে /অনিচ্ছাকৃত পাপ গুলোর জন্য অনুতপ্ত লজ্জিত আল্লাহর কাছে ,,এবং সে যতটুকু আল্লাহর বিধান সম্পর্কে জানে, ততটুকু ঠিকভাবে পালন করার অনেক চেষ্টা করে।
তার এরূপ চাওয়াটা কি যুক্তিসঙ্গত ? যেহেতু সে কম দ্বীনদার ,কম আমলকারী ,এবং অনেক পাপী...কিন্তু আল্লাহ তো "যে যেমন তার জন্য তেমনি জীবনসঙ্গী রেখেছেন ",,,,তাহলে ?

1 Answer

+1 vote
by (587,340 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال: «لا يزال يستجاب للعبد، ما لم يدع بإثم أو قطيعة رحم، ما لم يستعجل» قيل: يا رسول الله ما الاستعجال؟ قال: يقول: «قد دعوت وقد دعوت، فلم أر يستجيب لي، فيستحسر عند ذلك ويدع الدعاء»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, প্রত্যেক বান্দার দু'আ ইস্তে'যাল না করার শর্তে ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হয়ে থাকে,যতক্ষণ না সে কোনো গোনাহ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক-কে বিচ্ছিন্ন করার দু'আ করে থাকে। সাহাবায়ে কেরাম রাযি জিজ্ঞাসা করলেন।ইয়া রাসুলাল্লাহ! ইস্তে'যাল অর্থ কি?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, ইস্তে'যাল অর্থ হল, বান্দা কর্তৃক এমন কথা উচ্ছারিত হওয়া বা বলা যে, আমি তো দু'আ করতেই থাকলাম,করতেই থাকলাম, অথচ আমার দু'আ কবুল হয়েছে,তা তো কখনো দেখিনি। সুতরাং তখনই সে আফসোস করতে থাকে এবং দু'আ কে ছেড়ে দেয়।(ফালাফল হিসেবে তার দু'আ আর কবুল হয় না)(সহীহ মুসলিম-২৭৩৫,মিশকাতুল মাসাবিহ২২২৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/987


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো দু'আই বৃথা যাবে না।বরং সকল প্রকার দু'আই কবুল হয়ে থাকে। দু'আকে সর্বদা জারি রাখতে হবে। যে কোনো সময় দু'আ কবুল হতে পারে। কখন দু'আ  কবুল হবে,তার কোনো নিশ্চয়তা নাই। এজন্য সর্বদা দু'আকে জারি রাখতে হবে। এবং অতীতের গোনাহ থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অনেক বেশী দ্বীনদার কাউকে নিজের জীবনে চাইলে এতেকরে আল্লাহ আরো বেশী খুশী হবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (587,340 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...