আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
91 views
in সালাত(Prayer) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বরকাতুহু,

১) ফজর/মাগরিব ও এশার ২ রাকায়াতে কিরাআত আওয়াজ করে পড়তে হয়, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে কতটুকু  আওয়াজে পড়তে হবে?

২) নফল/সুন্নাত/তাহাজ্জুফ, মাগরিবের শেষ রাকাত/যোহর/আসর/এশার শেষ ২ রাকাত এই সালাত গুলোতে কতোটুকু নিচু আওয়াজ করে পড়বো?

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

যে সকল সালাতে উচ্চঃস্বরে কিরাআত পাঠ করার নির্দেশ রয়েছে সেগুলোতে উচ্চঃস্বরে কিরাআত পাঠ করা ওয়াজিব। যেমন- ফজর, মাগরিব, এশা, জুমুআ দু-ঈদের সালাত ও তারাবীহের সালাত। অবশ্য একাকী আদায় করলে কিরাআত উচ্চঃস্বরে পাঠ করা আবশ্যক নয়।

 

অনুরূপভাবে যেসকল সালাতে নিম্নস্বরে কেরাত পাঠ করার নির্দেশ রয়েছে সেসব সালাতে নীরবে বা চুপে চুপে কিরাআত পাঠ করা ওয়াজিব। যেমন- যোহর ও আসরের সালাত।

আত্বা ইবনে আবূ রাবাহ থেকে বর্ণিত, আবূ হূরাইরাহ (রাঃ) বলেন,

فِي كُلِّ صَلاَةٍ يُقْرَأُ فَمَا أَسْمَعَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسْمَعْنَاكُمْ وَمَا أَخْفَى عَلَيْنَا أَخْفَيْنَا عَلَيْكُمْ .

প্রত্যেক সালাতেই ক্বিরাআত পড়তে হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) যেসব সালাতে আমাদেরকে শুনিয়ে ক্বিরাআত পড়েছেন, আমরাও তোমাদেরকে সেসব সালাতে সশব্দে ক্বিরাআত পড়ে শুনাই। পক্ষান্তরে তিনি যেসব সালাতে নিঃশব্দে ক্বিরাআত পড়েছেন, আমারাও তাতে নিঃশব্দে ক্বিরাআত পড়ে থাকি।” সহীহ বুখারী ও মুসলিম। আবু দাউদ 797

 

নীরবে পড়ার ক্ষেত্রে এতটুকু আওয়াজে পড়া আবশ্যক যে, যেন নিজে শুনতে পায়।

যদি অক্ষরগুলো বিশুদ্ধভাবে উচ্চারণ করেছে, কিন্তু এত নিম্নস্বরে পড়েছে যে, নিজের কানেও শুনেনি অথচ এ সময় কোন অন্তরায় যেমন, হৈ-চৈই ছিলো না, আবার কান ভারী (অর্থাৎ বধির)ও নয় তাহলে তার সালাত হবে না।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

 

. (পুরুষ) একাকী আদায় করলে (ফজর, মাগরীব ও এশার প্রথম দুই রাকাতে) কিরাআত উচ্চঃস্বরে পাঠ করা তার উপর আবশ্যক নয়। তবে সে চাইলে উচ্চঃস্বরে পড়তে পারবে। (অর্থাৎ এমন আওয়াজে পড়তে পারবে যাতে করে রুমের সবাই বা আশ পাশের সবাই তেলাওয়াত শুনতে পায়)।


২. নীরবে পড়ার ক্ষেত্রে এতটুকু আওয়াজে পড়া আবশ্যক যে, যেনো নিজে শুনতে পায়। যদি অক্ষরগুলো বিশুদ্ধভাবে উচ্চারণ করেছে, কিন্তু এত নিম্নস্বরে পড়েছে যে, নিজের কানেও শুনেনি অথচ এ সময় কোন অন্তরায় যেমন, হৈ-চৈই ছিলো না, আবার কান ভারী (অর্থাৎ বধির)ও নয় তাহলে তার সালাত হবে না।  তবে আবার এমন আওয়াজেও পড়া যাবে না যাতে করে পাশের কেউ স্পষ্ট ভাবে ক্বিরাত শুনতে পায়।

নামাজে মহিলাদের তেলাওয়াত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/5508/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...