জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রসিদ্ধ আছে যে হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রাঃ মুতার যুদ্ধে একাই ৫০০০ কাফেরকে হত্যা করেছিলেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
أَبُوْ نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ إِسْمَاعِيْلَ عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِيْ حَازِمٍ قَالَ سَمِعْتُ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيْدِ يَقُوْلُ لَقَدْ انْقَطَعَتْ فِيْ يَدِيْ يَوْمَ مُؤْتَةَ تِسْعَةُ أَسْيَافٍ فَمَا بَقِيَ فِيْ يَدِيْ إِلَّا صَفِيْحَةٌ يَمَانِيَةٌ.
কায়স ইবনু আবূ হাযিম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি খালিদ ইবনু ওয়ালিদ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, মূতার যুদ্ধে আমার হাতে নয়টি তরবারি ভেঙ্গে গিয়েছিল। শেষে আমার হাতে একটি প্রশস্ত ইয়ামানী তলোয়ার ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। [বুখারী শরীফ ৪২৬৫,৪২৬৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৩৬)
বিষয়টি সম্পর্কে শায়েখ উসাইমিন রহঃ কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলোঃ-
سمعت من بعض الإخوة أن خالد بن الوليد رضي الله عنه قتل في غزوة مؤتة خمسة آلاف شخص، فهل هذا صحيح؟
الشيخ: قتل من الكفار؟ السائل: من الكفار.
الشيخ: إن كان حقاً فجزاه الله خيراً.
السائل: في البداية والنهاية يا شيخ!
البداية والنهاية تاريخ معتبر، لكن يجب أن تعلموا جميعاً أن كتب التاريخ إلا ما شاء الله يكون فيها الضعيف لماذا؟ لأن التاريخ يخضع للسياسة، دائماً يخضع للسياسة،
مسار الصفحة الحالية:
فهرس الكتاب الأسئلة مدى صحة قتل خالد بن الوليد خمسة آلاف من الكفار في غزوة مؤتة (১৪/২৩২)
সারমর্মঃ-
শুনেছি,হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রাঃ মুতা যুদ্ধে একাই ৫০০০ কাফেরকে হত্যা করেছিলেন,এটা কি সহীহ?,এটা তো আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ গ্রন্থেও আছে ?
এর জবাবে শায়েখ উসাইমিন রহঃ বলেছেন যে বিষয়টি সহীহ হলে তো ভালো,আল্লা তায়ালা তাকে জাযা দান করুন,তবে ইতিহাসের কিতাব গুলোতে অনেক জয়ীফ বর্ণনা থাকে,,,।
(০২)
রাসুল সাঃ কে বিবাহ করা নিয়ে খাদিজা (রা.) নিজেই প্রথমে অভিভাবকতুল্য চাচাতো ভাই ওরাকা ইবনে নওফেলের সঙ্গে পরামর্শ এবং বান্ধবী নাফিসা বিনতে মুনাব্বিহের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা উভয়ে তাকে অগ্রসর হওয়ার পরামর্শ দেন। নাফিসা মহানবী (সা.)-এর কাছে প্রস্তাব দিলে তিনি সম্মত হন এবং চাচাদের তা অবগত করেন। রাসুল (সা.)-এর চাচা হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব খাদিজা (রা.)-এর পরিবারের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যান।
উভয় পরিবারের সম্মমিতে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিশুদ্ধ মতে বিয়ের সময় মহানবী (সা.)-এর বয়স ২৫ বছর এবং খাদিজা (রা.)-এর বয়স ৪০ বছর ছিল। বাণিজ্যিক সফর থেকে ফেরার দুই মাস পর বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। মহানবী (সা.) খাদিজা (রা.)-কে মহর হিসেবে ২০টি উট প্রদান করেন। যার তৎকালীন বাজারমূল্য ছিল পাঁচ শ দিরহাম।
(আর-রাহিকুল মাখতুম, পৃষ্ঠা ৭৭; সিরাতে মুস্তফা : ১/১০৮)
নবীজি (সা.)-এর বিয়ের সময় বনু হাশিম ও বনু মুদারের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। আবু তালিব বিয়ের খুতবা পাঠ করেন। তাতে তিনি বলেন, ‘ইনি হচ্ছেন মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ। যিনি ধন-সম্পদের দিক থেকে কম হলেও তাঁর মহান চরিত্র আর অনুপম গুণাবলির কারণে যাকেই তাঁর মোকাবেলায় রাখা হবে তিনি তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন হবেন। কেননা ধন-সম্পদ বিলীয়মান ছায়া ও প্রত্যাবর্তনশীল বস্তুবিশেষ। আর এই মুহাম্মদ যার আত্মীয়তার সম্পর্কের খবর আপনাদের সবারই জানা। তিনি খাদিজা বিনতে খোয়াইলিদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে আগ্রহী। তাঁর সমুদয় মহর তা নগদ হোক বা বাকি আমার সম্পদ হতে দেওয়া হবে। আল্লাহর শপথ! তিনি বিপুলভাবে সম্মানিত ও নন্দিত হবেন।’ (সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠা ২৪)
[সংগৃহীত।]
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
খাদিজা (রা:) এবং রাসুল(স.) এর যখন বিয়ে হয় তখন খাদিজা(রা.) এর বাবা খুওয়াইলিদ ইবনে আসাদ জীবিত ছিলেননা।