আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
১। এক বোন আরেক বোনকে কিছু টাকা হাদিয়া দিয়েছে, এখন ওই ২য় বোন চাচ্ছে কিছু টাকা মিলিয়ে একটা ছাগল কিনে নিজের ছেলের আকীকা দিতে, জায়েজ হবে কিনা(একটা ছাগল অলরেডি আছে বাড়িতে)।

২। একজন ব্যবসায়ীর ব্যবসাতে ২জন ইনভেস্ট করলো, একজনের ক্ষেত্রে মাসে মাসে কত দিবে বেসিক একটা পারসেন্ট হিসেব করলেও, আনুমানিকভাবে তার থেকে বেশি দেয়, যেটা দেয় প্রতি মাসে কমবেশি সেই পরিমাণ ই দেয়,যেমন কখনো ৯হাজার,কখন ৯৫০০ বা কখনো ১০ হাজার।

আরেকজনের ক্ষেত্রে, আরেকজন ইনভেস্টর ই এখানে মূলত বেশি পরিমাণে ইনভেস্ট করেছেন যা ব্যবসায়ীর থেকেও বেশি। যিনি ব্যবসা চালাচ্ছেন তিনি পারিশ্রমিক হিসেবে মাসে কিছু রাখেন, যিনি ইনভেস্টর তাকে ফিক্সড কিছু পরিমাণ টাকা প্রথমে দেন তারপর স্থান ভাড়া, পুঁজিসহ খরচের পর যা বাকি থাকে ৫০% করে ২জনের মধ্যে ভাগ করেন।
এখানে ব্যবসাটায় কোন প্রকার হারাম মিশছে কিনা জানতে চাচ্ছি

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কোনো এক বোন অন্য বোনকে টাকা হাদিয়া দিলে,সেই বোন ঐ টাকার সাথে আরো কিছু টাকা মিলিয়ে নিজের সন্তানের আকিকা করতে পারবে। 

(২)
ব্যবসা বানিজ্য সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
( وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبا )
আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করোছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন।(সূরা বাকারা-২৭৫)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ وَلاَ تَقْتُلُواْ أَنفُسَكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا
হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা-২৯)

একজনের টাকা এবং অপরজনের শ্রম, এরকম ব্যবসাকে শরীয়তে মুদারাবাহ ব্যবসা বলা হয়। মুদারবাহ ব্যবসা বৈধ। তবে শর্ত হল, পার্সেন্টিস হিসেবে চুক্তি হতে হবে। 

পার্সেন্টিছ হিসেবে উভয় চুক্তিকারী নিজ নিজ হিসসায় যতটুকুর জন্য সম্মত হবে, তারা ততটুকুই মুনাফা পাবে। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বা বস্তুকে নির্দিষ্ট  করা জায়েয হবে না। 
قال صاحب الهداية: (وَمِنْ شَرْطِهَا أَنْ يَكُونَ الرِّبْحُ بَيْنَهُمَا مُشَاعًا لَا يَسْتَحِقُّ أَحَدُهُمَا دَرَاهِمَ مُسَمَّاةً) مِنْ الرِّبْحِ لِأَنَّ شَرْطَ ذَلِكَ يَقْطَعُ الشَّرِكَةَ بَيْنَهُمَا وَلَا بُدَّ مِنْهَا كَمَا فِي عَقْدِ الشَّرِكَةِ.(الهداية-3/226)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/12438


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি মুদারাবার শর্ত মতে যদি মুনাফা দেয়া হয়, তথা টাকা নেয়ার সময় যদি শরীয়তের বিধান মত চুক্তি হয়ে থাকে, তাহলে সে যে মুনাফা অবশ্যই জায়েয হবে। কিন্তু যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ কোনো অর্থ বা বস্তুর চুক্তি করা হয়, তাহলে এই মুনাফা জয়েয হবে না। যিনি ব্যবসা পরিচালনা করবেন, তিনি উনার পরিচালনা বাবৎ অতিরিক্ত কিছু মুনাফা রাখতে পারবেন। প্রশ্নের ব্যবসার যেই পদ্ধতির আলোচনা করা হয়েছে, ঐ পদ্ধতি শরীয়ত সম্মত নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...