আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
122 views
in পবিত্রতা (Purity) by (19 points)
edited by
১.স্বপ্নদোষ হচ্ছে, তা বুঝতে পারছি। কিন্ত কিছু বের হবার আগেই আমি জেগে যাই।ফলে বীর্য আর বের হয়নি,তবে পুরুষাঙ্গ এর মাথায় মযী আটকে ছিল। আমি তা আটক রেখেই নামাজ পড়ি। এর প্রস্রাবের সময় হালকা বাধাগ্রস্থ হয়ে প্রস্রাব হচ্ছিল(হয়তো আটকে থাকা মযীর কারণে(। এই ক্ষেত্রে কি আমার গোসল ফরজ হবে? আমার কি মযী আটকে পড়া নামাজ আদায় হয়েছে।
২.উপরে ১নং এ বর্ণিত অবস্থায় যদি আমি নামাজ পড়ে এসে হাত দ্বারা পুরুষাঙ্গ চেপে মযী কিনা তা বের করার চেষ্টা করি এবং কিছু বের না হয় এরপর প্রস্রাবের দ্বারের ভিতরে হাত দিয়ে চেক করি এবং আঙুলের মাথায় পিচ্চিল পদার্থ পাই তাহলে কি গোসল ফরজ হবে? গোসল ফরজ হলে বা না হলেও কি আমার নামাজ আদায় হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (716,120 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
স্বপ্নদোষ হচ্ছে হচ্ছে বুঝা যাচ্ছে কিন্ত কিছু বের হবার আগেই ঐ ব্যক্তি জেগে যায়।ফলে বীর্য আর বের হয়নি,তবে পুরুষাঙ্গ এর মাথায় মযী আটকে থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় গোসল ফরয হবে না। 

(২)
এমতাবস্থায় যদি নামাজ পড়ে এসে হাত দ্বারা পুরুষাঙ্গ চেপে মযী কিনা তা বের করার চেষ্টা করা হয়, এবং কিছু বের না হয় এরপর প্রস্রাবের দ্বারের ভিতরে হাত দিয়ে চেক করা হয় এবং আঙুলের মাথায় পিচ্চিল পদার্থ পাওয়া যায়, তাহলে গোসল ফরজ হবে না। এক্ষেত্রে আপনার নামাজ আদায় হয়ে যাবে।

(৩) দাতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকাবস্থায় ফরজ গোসল করলে, ফরয গোসল আদায় হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/9205

(৪) 
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে,
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭) ............ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যতক্ষণ না বায়ূ নির্গত হওয়ার ইয়াকিন বিশ্বাস হচ্ছে বা আওয়াজ শ্রবণ করা যাবে, অজু ভঙ্গ হবে না।

(৫) প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায়ও নামাজ চলমান রাখবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (716,120 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...