আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
118 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)

আসসালামু আলাইকুম, 

আপনি ইতোপুর্বে আমার দুইটা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

(লিংক: ১। https://ifatwa.info/85468

২। https://ifatwa.info/85669

দয়া করে আমার ৩য় ও সর্বশেষ প্রশ্নের উত্তর দিবেন।

আগের প্রশ্নগুলোর পরে আমার স্ত্রী বলে আমি আসলে পুরো ঘটনা বিস্তারিত বলি নাই। বিস্তারিত ঘটনার বিবরন এরকম।

ওই আর্টিকেলের (https://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/mdjurumi/30337828) মধ্যে একটা পয়েন্ট ছিলো (তালাক নিয়ে অধ্যেয়ন করার সময়, তার স্ত্রীর কথা স্মরণ করে তালাক শব্দটি উচ্চারণ করলে, তালাক পতিত হবে না। তবে ইচ্ছাকৃত স্ত্রীর কথা স্বরণ করে তালাক শব্দ বললে, তালাক পতিত হবে।)  এটা আমার ভুল মনে হয়েছে। তখন সে বলে, "কিভাবে ভুল?” আমি বলি, " ওরা বলেছে অধ্যয়ন করার সময় স্মরণ করলে হয়ে যাবে।" সে বলে, "না ওরা তো এটা বলেনি", আমি বলি, "ওরা তাই বলছে"। সে বলে, " তুমি আমার মনে সন্দেহ ঢুকাচ্ছ কেন?"। আমি উত্তরে বলি, "যেটা ঠিক সেটাই জানবা তুমি, কিসের সন্দেহ"। 

(কিছুক্ষণ পরে)

আমি বলি, " তুমি কি এটা বিশ্বাস করছ?" সে এর উত্তরে কি বলেছে মনে নেই। (এখন সে একবার বলে,  "পুরোপুরি বিশ্বাস হচ্ছেনা, সন্দেহ হচ্ছে" এটা বলেছে, আবার বলে "হ্যাঁ বিশ্বাস হচ্ছে" এটা বলেছে, আবার বলে কোনো উত্তর দেয়নি।) তখন আমি রেগে গিয়ে বলি, "ওইসব/আচ্ছা, হুজুরদের কথা বিশ্বাস করলে ডিভোর্স হয়ে গেছে, চলে যাও।" তখন সে এটা শুনে পাগলামি শুরু করে দেয়। বারবার বলে, "কি বললে তুমি!" আমি বলি, "হ্যাঁ, হুজুরদের কথা বিশ্বাস করলে ডিভোর্স হয়ে গেছে, চলে যাও।" (এ কথা আমি ২য় বার বলিনি, আমার স্ত্রী একবার বলছে বলেছি, আবার বলছে বলি নাই) তারপরও পাগলামি করতে থাকার পরে আমি বলি, "শোনো এটা শর্তযুক্ত কথা, হুজুরদের কথা বিশ্বাস করলে আরও তিনটা কথা মানতে হবে, কুরআন ভুল, আমি তালাকের নিয়্যত করে তালাক শব্দ উচ্চারনআলোচনার সময়, (৩য় শর্ত মনে নেই)"। সে বলে, "না এসব শর্ত আমি মানিনা"। এরপর আমি অফিসে চলে যাই, রাতে বাসায় আসার পর আমাদের মধ্যে নিম্নোক্ত কথাবার্তা হয়।

আমার স্ত্রী মনে করছিল যে এটা ("হুজুরদের কথা বিশ্বাস করলে ডিভোর্স হয়ে গেছে") শর্তযুক্ত তালাক হয়েছে এবং সে বিশ্বাস করলেই ডিভোর্স হয়ে গেছে। কিন্তু আমার কথা ছিলো যে একথা আমি বলেছি শুধু বোঝানোর উদ্দ্যশ্যে। সে আমার কথা মানতে অস্বীকার করায় তাকে শুধু বুঝানোর উদ্দ্যেশ্য নিম্নোক্ত কথাগুলো বলি।

আমি বলি, "তুমি কি বিশ্বাস করেছিলে?" সে বলে, "না করিনি"। আমি বলি, " তাহলে তোমার হিসেবেই তো ডিভোর্স হয়নি"। সে আবার বলে, "নাকি বিশ্বাস করেছিলাম, মনে নেই। যদি ভবিষ্যতে বিশ্বাস করি তাহলে কি হবে?"। আসলে সে তখন কি বলেছিলো তার ভালো করে নেই।  এজন্য আমি বলি, "দেখো, ওই কথাটা শুধু তখনকার জন্যই ছিলো,  দুপুরে যা বলেছ বাদ দাও, এখন বলো, তুমি কি বিশ্বাস করেছিলে?" সে উত্তরে বলে, "না করিনি"। আমি বললাম, "তাহলে তো তালাক হয়নি"। সে বলে, "না তালাক হয়নি, কিন্তু আমি যদি ভবিষ্যতে বিশ্বাস করি তাহলে তালাক হবে কিনা?" আমি উত্তরে বলি, "না ভবিষ্যতে এই নিয়ে আর কথা বলতে চাইনা, তুমি এখনই ফাইনাল উত্তর দাও, তারপর এই কথা আমরা শেষ করে দেই"। সে বলে, " না, আমি এখন বিশ্বাস করছিনা"। আমি বললাম, "তাহলে আমরা এই কথা এখানেই শেষ করে দিলাম, এ নিয়ে আর কখনও কেউ কথা বলবনা"। এবং সে তাতে রাজী হয়।

একটু পরে সে এসে বলে, " আমার একটু একটু বিশ্বাস হচ্ছে, তাতে কি আমাদের কিছু হবে?" তখন আমি বলি, "তোমার বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করার সময় পার হয়ে গেছে, এখন আর এসব নিয়ে কথা বলে লাভ নেই"৷ তারপরও তার পাগলামী যায় না, শুধু বলতে থাকে, " আমি বিশ্বাস করলে কি হবে?" আমি উত্তরে বলি, "কিছুই হবে না।" তারপরও না মানায় আমি অন্যভাবে বুঝানোর জন্য বলি, "ধরো ওই কথাটা শর্তযুক্ত তালাক হয়েছে, আমি এখন শর্ত তুলে নিলাম"। সে বলে "শর্ত তুলে নিলে কসম ভঙ্গের কাফফারা দিতে হবে, দুইটা রোজা থাকা লাগবে"। আমি তাতে রাজী হই কিন্তু ও তাতেও শান্ত হয়না।

পরেরদিন সকালে আমি নতুন অ্যাপ্রোচ নেই ওকে বুঝানোর জন্য। আমি বলি, "ধরে নাও, ওই কথার দ্বারা এক তালাক হয়ে গেছে, তাতেও তো কোনো সমস্যা নেই, আমাদের সম্পর্ক ঠিকই আছে"। তারপরও সে মানেনা। এরপর আমি মসজিদে যাই খতিবের কাছে, তারপর এই সাইটে প্রশ্ন করি।

এরপরও তার সন্দেহ যায় না। নতুন নতুন প্রশ্ন করা শুরু করে। তার বর্তমান প্রশ্নগুলো হলো:

১। উপরোক্ত ঘটনার বিবরণ মনে তালাক হয়েছে কিনা?

২। "আমরা এই কথা শেষ করে দিলাম, এই নিয়ে আর কথা বলব না" এই কথার পরে আবার এই নিয়ে কথা বলায় নতুন করে ঘটনাপ্রবাহ শুরু হলো কিনা? অর্থাৎ আমি কথা শেষ করে দেয়ার পরেও সে নতুন করে সেই কথা আবার তোলায় আগের কথাই চলমান আছে নাকি আগের কথা কি শেষ হয়ে নতুন করে বিশ্বাস করলে তালাক পতিত হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কিনা এবং তালাক পতিত হয়েছে কিনা?

৩। "ধরে নাও এক তালাক হয়ে গেছে" এই কথায় তালাক হয়েছে কিনা? এবং এই বারবার বলায় যতবার বলেছি ততবার তালাক হয়েছে কিনা?

৪। তার মতে "ধরে নাও এক তালাক হয়ে গেছে" এই কথার দ্বারা তালাক হয়ে গেছে। আমি বলি, "তাহলে তোমার যুক্তিমত তো এখনো তালাক হচ্ছে।" প্রশ্ন হলো: 'তাহলে তোমার যুক্তিমত এখনো তালাক হচ্ছে' এই কথার দ্বারা তালাক হবে কিনা?

৫। প্রচলিত কথাগুলো ঠিক হলে তালাক হবে কিনা?

 

মুফতি সাহেব, দয়ে করে আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মনের সংশয় দূর করবেন। 

ধন্যবাদ।

1 Answer

0 votes
by (714,080 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।
https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...