বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
দুই সিজদার মধ্যখানে নির্ধারিত দু'আ না পড়ে কুরআন তিলাওয়াত বা সূরা পড়া শুরু করলে নামায ফাসিদ হবে না।বরং নামায বিশুদ্ধই থাকবে।উক্ত কুরআন তিলাওয়াত বা সূরা তখন নামাযের নির্ধারিত তাসবিহের স্থলাভিষিক্ত হয়ে যাবে।
রাস্তাঘাটে মাদ্রাসার লিফলেট বা ইসলামিক কোনো বইয়ের মলাট পড়ে থাকতে দেখলে -যেখানে আরবী লেখা থাকে- সেই লিফলেট বা মলাটকে সম্মানের সাথে উঠিয়ে যথোপযুক্ত স্থানে রাখাই বাঞ্চণীয়।
সালাতে সালাম ফিরানোর সময় শুধু আসসালামু আলাইকুম বলে সালাম ফিরালেও নামাজ হবে। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি বলা জরুরী কোনো বিষয় নয়।
فالحاصل انه دعا في الصلوة بما جاء في الصلوة أو في القرآن أو في الماثور لا تفسد صلاته ،وإن لم يكن في القرآن ولا في الماثور ولايستحيل سواله من العباد تفسد صلاته ،وإن كان يستحيل سواله من العباد لاتفسد صلاته ،(قاضي خان ،اولين ص;٦٨حافظ كتب خانه،كوئته)
মোটকথাঃ যদি কেউ নামাযে ঐ সমস্ত দু'আ দ্বারা দু'আ করে যা নবীজী সাঃ থেকে নামাযে বর্ণিত,বা কোরআনে কারীমে এসেছে,অথবা হাদীসের কোনো কিতাবে এসেছে,তাহলে উক্ত দু'আ করা বৈধ রয়েছে এবং এমন দু'আর কারণে তার নামায ফাসেদ হবে না।কিন্তু যদি উক্ত দু'আ কোরআন বা হাদীসের কোথাও না আসে।এমতাবস্তায় যদি সে এমন (বাক্যসমূহ দ্বারা) দু'আ করে যা বান্দার কাছে চাওয়া যায়,অসম্ভব নয়, তথা বন্দা সেই হাজত পূর্ণ করার সামর্থ্য রাখে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত দু'আ করা যাবে না।করলে নামায ফাসেদ হয়ে যাবে।
কিন্তু যদি এমন বাক্যাবলী দ্বারা দু'আ করে যা বান্দার কাছে চাওয়া অসম্ভব(যেমন হে আল্লাহ আমার নাতীর হায়াত বাড়িয়ে দাও ইত্যাদি)অর্থীৎ যা বন্দার সামর্থ্যর বাইরে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত দু'আ (কোরআন হাদীসে বর্ণিত না থাকা সত্বেও) করা যাবে।নামায ফাসিদ হবে না।(ফাতাওয়ায়ে ক্বাযিখান-প্রথম ৬৮)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-