আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
736 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
দুই সিজদার মাঝখানে ভুলক্রমে দোয়া না করে কুরআন তেলওয়াত বা সুরা পড়া শুুুরু করলে কি নামাজ ভেঙ্গে যাবে?

রাস্তাঘাটে মাদ্রাসার লিফলেট পড়ে থাকতে দেখলে করণীয় কি?বা ইসলামিক কোনো বইয়ের মলাট পড়ে থাকতে দেখলে যেখানে আরবী লেখা থাকে?

সালাতে সালাম ফিরানোর সময় শুধু আসসালামু আলাইকুম বলে সালাম ফিরালে নামাজ হবে কি?নাকি আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি  বলতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (709,760 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
দুই সিজদার মধ্যখানে নির্ধারিত দু'আ না পড়ে কুরআন তিলাওয়াত বা সূরা পড়া শুরু করলে নামায ফাসিদ হবে না।বরং নামায বিশুদ্ধই থাকবে।উক্ত কুরআন তিলাওয়াত বা সূরা তখন নামাযের নির্ধারিত তাসবিহের স্থলাভিষিক্ত হয়ে যাবে।

রাস্তাঘাটে মাদ্রাসার লিফলেট বা ইসলামিক কোনো বইয়ের মলাট পড়ে থাকতে দেখলে -যেখানে আরবী লেখা থাকে- সেই লিফলেট বা মলাটকে সম্মানের সাথে উঠিয়ে যথোপযুক্ত স্থানে রাখাই বাঞ্চণীয়।

সালাতে সালাম ফিরানোর সময় শুধু আসসালামু আলাইকুম বলে সালাম ফিরালেও নামাজ হবে। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি  বলা জরুরী কোনো বিষয় নয়।

فالحاصل انه دعا في الصلوة بما جاء في الصلوة أو في القرآن أو في الماثور لا تفسد صلاته ،وإن لم يكن في القرآن ولا في الماثور ولايستحيل سواله من العباد تفسد صلاته ،وإن كان يستحيل سواله من العباد لاتفسد صلاته ،(قاضي خان ،اولين ص;٦٨حافظ كتب خانه،كوئته)
মোটকথাঃ যদি কেউ নামাযে ঐ সমস্ত দু'আ দ্বারা দু'আ করে যা নবীজী সাঃ থেকে নামাযে বর্ণিত,বা কোরআনে কারীমে এসেছে,অথবা হাদীসের কোনো কিতাবে এসেছে,তাহলে উক্ত দু'আ করা বৈধ রয়েছে এবং এমন দু'আর কারণে তার নামায ফাসেদ হবে না।কিন্তু যদি উক্ত দু'আ কোরআন বা হাদীসের কোথাও না আসে।এমতাবস্তায় যদি সে এমন (বাক্যসমূহ দ্বারা) দু'আ করে যা বান্দার কাছে চাওয়া যায়,অসম্ভব নয়, তথা বন্দা সেই হাজত পূর্ণ করার সামর্থ্য রাখে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত দু'আ করা যাবে না।করলে নামায ফাসেদ হয়ে যাবে।
কিন্তু যদি এমন বাক্যাবলী দ্বারা দু'আ করে যা বান্দার কাছে চাওয়া অসম্ভব(যেমন হে আল্লাহ আমার নাতীর হায়াত বাড়িয়ে দাও ইত্যাদি)অর্থীৎ যা বন্দার সামর্থ্যর বাইরে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত দু'আ (কোরআন হাদীসে বর্ণিত না থাকা সত্বেও) করা যাবে।নামায ফাসিদ হবে না।(ফাতাওয়ায়ে ক্বাযিখান-প্রথম ৬৮)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...