জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রথমত কথা হলো এর প্রতিবাদ করতে হবে।
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)
হ্যাঁ যদি সামর্থ্য না থাকলে মন দিয়ে ঘৃণা করতে হবে।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আপনার নিষেধের পরও যদি তা বন্ধ সম্ভব না হয়,(বা আপনি কোনো ভাবেই কারো মাধ্যেম হলেও এটা বন্ধের আদেশ করার শক্তি না রাখেন,এবং মন দিয়ে পুরোপুরি ঘৃণা করেন,) তাহলে এর দায়ভাড় আপনার উপর বর্তাবে না।কেননা আল্লাহ তা'আলা সামর্থ্যর অধিক দায়িত্ব কাউকে দেননা।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে।(সূরা বাকারা-১৮৬)
.
তারা গান বাজনা বন্ধ না করলে আপনি আপনারা বাসার জানালা দরজা ইত্যাদি বন্ধ রেখে স্বাভাবিক ভাবে আপনার কাজ করে যাবেন।
এতে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।
,
আরো জানুনঃ
,
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো ইমামের পিছনে মুক্তাদীর যদি ফরজ রুকন ভুল করে ছুটে যায়,তাহলে স্বরন হওয়া মাত্র সে উক্ত রুকন আদায় করে ইমামের সাথে শরীক হবে।
উক্ত রুকন আদায় করার এটাই ছহীহ পদ্ধতি।
,
অবশ্য কেহ যদি ইমামের সালাম ফিরানোর পর তার ছুটে যাওয়া রুকম আদায় করে,তাহলে নামাজ হয়ে যাবে,তবে তরতীব রক্ষা না করার কারনে সে গুনাহগার হবে।
,
এবং কোনো এক রুকন ছুটে গেলে পুরা রাকাত আদায় করার প্রয়োজন নেই,শুধু ঐ রুকন আদায় করাই যথেষ্ট।
,
বাহরুর রায়েক গ্রন্থে এসেছে
وفی البحر: وحکمہ أنہ یبدأ بقضاء ما فاتہ بالعذر ثم یتابع الإمام إن لم یفرغ، وھذا واجب لا شرط حتی لو عکس یصح؛ فلو نام فی الثالثة واستیقظ فی الرابعة فإنہ یأتي بالثالثة بلا قراء ة، فإذا فرغ منھا صلی مع الإمام الرابعة، وإن فرغ منھا الإمام صلاھا وحدہ بلا قراء ة أیضاً؛ فلو تابع الإمام ثم قضی الثالثة بعد سلام الإمام صح وأثم اھ، ومثلہ فی الشرنبلالیة وشرح الملتقی للباقاني (رد المحتار، کتاب الصلاة، آخر باب الإمامة، ۲:۳۴۵، ۳۴۶، ط: مکتبة زکریا دیوبند) ۔
সারমর্ম এক্ষেত্রে হুকুম হলো আগে ওযর বশত যেই রুকন ছুটে গিয়েছে, সেটা আদায় করা।
অতঃপর ইমামের আনুগত্য হয়ে বাকী নামাজ আদায় করা।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি আগে একাকী ৩য় রাকাতের কিয়াম করবেন।
যদি তাতে ইমাম রুকু থেকে উঠে যায়, আপনি একাকী রুকু করে ইমামের সাথে শরীক হবেন।
দ্রুত করার চেষ্টা করবেন।