আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

এক বোনের মাধ্যমে প্রশ্নটা পেয়েছি।

এক হিন্দু মেয়ের প্রশ্ন:-
আল্লাহ তো আমাকে মুসলিম ঘরে জন্মগ্রহণ করে পাঠাতে পারতো। আমাকে হিন্দু ঘরে আর তোমাকে মুসলিম ঘরে কেন পাঠালো? হিন্দু ঘরে পাঠানোর কারনে তো আমি জন্মের পর থেকে সব হিন্দুদের নিয়ম কানুন শিখে আসছি। আমাকে মুসলিম ঘরে পাঠালে আমি ও তো ইসলাম মানতাম। আল্লাহ কি আমাকে হাশরের ময়দানে এটার জন্য ছাড় দিবে.??


**ভিন্ন একটি প্রশ্ন

ইসলামে তাবিজ পরা নিষেধ
কিন্তু যদি কোন হুজুর কুরানের আয়াত দিয়ে বানিয়ে দেয়,,,এইগুলা কি সাথে বহন করা যাব বেবি কান্সিভ এর জন্য,,,ইসলাম কি বলে এই ব্যাপারে,,,???
by (1 point)
1. uni muslim hoile, unar joto pap ace, sob kisu Allah muche diben, tini nispap hoye jaben, new born er moto. 
2. kotha bolte pare na, emon baby sara tabij bebohar kora haram, se jei likhe dik, ar jai koruk. baby der khetreo ektu ikhtilaf o ace.
ami emontai jeneci, shaikh Ahmadullah hujur hoite.

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আল্লাহ মানুষকে বিবেক দিয়ে তৈরী করেছেন।সুতরাং সাবালক হওয়ার পর প্রত্যেক মানুষের উপর ওয়াজিব যে,সে ভালোমন্দ যাচাইবাচাই করবে।হক এবং বাতিলকে যাচাইবাচাইয়ের পর সে হককে গ্রহণ করবে এবং বাতিলকে পরিত্যাগ করবে। হ্যা,যাদেরকে আল্লাহ মুসলমানের ঘরে পাঠিয়েছেন, তাদের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ রয়েছে। এবং যাদেরকে আল্লাহ অমুসলিমের ঘরে পাঠিয়েছেন, তাদের প্রতিও আল্লাহর অনুগ্রহ রয়েছে, আর সেটা হল, তাদেরকে বিবেকবান করে পাঠানো। সুতরাং ইবরাহিম আঃ এর মত বিবেক দ্বারা চিন্তা করে এক আল্লাহকে স্বীকার করা প্রত্যেক বিবেকবানদের জন্য অত্যান্ত জরুরী। এবং উম্মতে মুহাম্মদির দাওয়াত পৌছার পর সেই দাওয়াতকে গ্রহণ করে দ্বীন ইসলামকে পালন করাটাও জরুরী।


(২)
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।তবে গর্ভবর্তী মহিলার জন্য তাবিজ ব্যবহার জরুরী বা উত্তম বলে ইসলামী শরীয়তে কোনো কিছু নেই।তাবিজকে বিভিন্ন টিকামূলক ইনজেকশনের মত মনে করতে পারেন।যা দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।যেমন নিম্নোক্ত হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়-এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/226

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাবিজের নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নাই। তাবিজের বরকতে হয়তো আল্লাহ হেফাজত কবেন যদি আল্লাহর মানশা হয়, এমন নিয়ত রেখে যদি কুরআন হাদীসের বাণী দ্বারা বাচ্ছাদেরকে তাবিজ দেয়া হয়, তাহলে সেটা ব্যবহার করা যাবে। ব্যবহারের রুখসত থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...