ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিশিষ্ট হানাফি ফিকহ বিশারদ আল্লামা ইবনে নুজাইম লিখেন
ﻭَﻓِﻲ اﻟْﻘُﻨْﻴَﺔِ ﻭَاﻟْﺒُﻐْﻴَﺔِ: ﻳَﺠُﻮﺯُ ﻟِﻠْﻤُﺤْﺘَﺎﺝِ اﻻِﺳْﺘِﻘْﺮَاﺽُ ﺑِﺎﻟﺮِّﺑْﺢِ (اﻧْﺘَﻬَﻰ)
নিঃস্ব মুখাপেক্ষী মানুষের জন্য সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয।
আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ের-১/৭৯;
বাহরুর রায়েক-৬/১৩৭;
সুদের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ হারাম। তবে জরুরত অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে প্রয়োজন পর্যন্ত সিদ্ধ/বৈধ করে দেয়। তাই যদি কারো অন্য কোনো উপায় না থাকে,শত চেষ্টা করেও কোনো উপায় বের করতে না পারে,তাহলে বিলাশীতা পরিহার করে স্বাভাবিক জীবন পরিচালনার জন্য ইস্তেগফারের সাথে লোন নিতে পারবে, জায়েয রয়েছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/866
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কিন্তু আপনার বেলায় সেটা আপাতত প্রযোজ্য হবে কি না? এ নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে, কেননা লেখাপড়া করে আপনি কি করবেন? সেই প্রশ্নের জবাব যদি হয়, চাকুরী করা, তাহলে বর্তমান ফ্রিমিক্সিং পরিবেশে ঢালাওভাবে নারীদের চাকুরীর অনুমোদন শরীয়তে নেই। বরং খোরাকির কোনো ব্যবস্থা না থাকলে কেবল তখনই নারীদের জন্য চাকুরী অনুমোদনযোগ্য হয়ে থাকে। সুতরাং আপনার নিয়ত যদি ইসলাম ও মুসলমানের খেদমত হয়, এবং বিশেষ জরুরত ব্যতিত চাকুরীতে না যাওয়ার পাক্কা ইরাদা আপনার থাকে, তাহলে সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ আপনার জন্য জায়েয হবে, নতুবা জায়েয হবে না।