আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার নাম ফারিহা জাহান আমার বয়স ১৯ । এই বছর এর জুলাই এর ২১ তারিখ আমার বিয়ে হইসে।আমার বাবা মা আমাকে জোর করে বিয়ে দিসে। আমার গত ৬ বছর ধরে একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল।আমার বিয়ের জন্য কথা বলায় আমি তাদেরকে এই বেপারে জানাইসি কিন্তু তারা আমাকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিসে।আমার বড় বোন আমার জেঠাতো ভাইয়ের সাথে পালিয়ে বিয়ে করে ফেলসে এই জন্য আমার ওপর সম্পুর্ণ চাপ পরতেসে।এখন আমি ওই ছেলেকে কোনো ভাবেই ভুলতে পারবনা।তারপর অ আমার বিয়ে হয়ে গেসে জোর করে দিসে যেহেতু তাই আমি আমার দিক থেকে সম্পুর্ণ চেষ্টা করছি যে এই বিয়ে তে মন টিকাইয়া রাখার কিন্তু পারতেসিনা আমার হাসবেন্ড জাপানে থাকে। বিয়ের পর আমরা এক মাস এক সাথে ছিলাম আমি নিজেকে মানাইয়া নেয়ার ট্রাই করতেসিলাম কিন্তু আমি আর পারতেসিনা আমার হাসবেন্ড অনেক রাগি তেরা টাইপের।জাপান যাওয়ার পর থেকে আমার সাথে ঠিক ভাবে কথা বলেনা কথা বলার চেষ্টা করলেও কোনো লাভ হয় না। আমি কল দিলে রিসিভ করেনা মেসেজ দিলেও কোনো রেস্পন্স করেনা তারপর ও হালকা কথা হইত যাওয়ার পর প্রথম ১ সাপ্তাহ আমার সাথে কল আ কথা বলতো কিন্তু আজকে প্রায় 20 দিনের মত সে আমার সাথে কোনো কথা এ বলে না আমি কয়েকদিন মেসেজ দিতাম কল দিতাম কিন্তু কথা বলত না ঠিক ভাবে একটা দুইটা মেসেজ দিত পরে আমার মা আমাকে জিজ্ঞেস করত যে কথা হয় কিনা।তখন তাদেরকে এগুলা বলাতে তারা বলে আমিও কথা না বলে থাকতাম আমি ও কোনো যোগাযোগ না করাত জন্য   কিন্তু আমি চাইতেসি না এই বিয়েতে থাকতে কিন্তু এটা আমি আমার বাবাকে জানানোর সাহস নাই কিছু বলার মত সাহস নাই আমার বাবা অনেক রাগি মানুষ।আমি আমার বাবার মুখের উপর কোনদিন কোনো কথা বলতে পারিনা। আমার হাসবেন্ড এবং তাদের পুরা পরিবার আমার এই সম্পর্কের কথা জানতো। সব জেনে শুনেই উনারা বিয়ে করায়। এই মূহুর্তে আমার কী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত?

1 Answer

0 votes
by (712,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
قال تعالى: (فإن كرهتموهن فعسى أن تكرهوا شيئاً ويجعل الله فيه خيراً كثيراً)
অতঃপর যদি তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে হয়ত তোমরা এমন এক জিনিসকে অপছন্দ করছ, যাতে আল্লাহ, অনেক কল্যাণ রেখেছেন।(সূরা নিসা-১৯)

তালাক সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عمر، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «أبغض الحلال إلى الله تعالى الطلاق»
অর্থ:রাসূলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেন, “মহান আল্লাহ পাকের নিকট সর্বাপেক্ষা অপছন্দনীয় হালাল হচ্ছে 'তালাক'।(আবু দাউদ-২১৭৮)

ﺫﻫﺐ ﻓﻘﻬﺎﺀ ﺍﻟﺤﻨﻔﻴّﺔ ﻭﺍﻟﺤﻨﺎﺑﻠﺔ ﺇﻟﻰ ﺃﻥ ﺍﻟﻄﻼﻕ ﺑﻼ ﺳﺒﺐ ﻣﺤﺮّﻡٌ ﺷﺮﻋﺎً ﻭﻳﺄﺛﻢ ﻓﺎﻋﻠﻪ، ﻭﺫﻟﻚ ﻟﻘﻮﻟﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻟﻌﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻛﻞ ﺫﻭﺍﻕ، ﻣﻄﻼﻕ ) ﻭﻷﻥ ﻓﻲ ﺍﻟﻄﻼﻕ ﻛﻔﺮﺍً ﻟﻨﻌﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ ، ﺣﻴﺚ ﺇﻥّ ﺍﻟﺰﻭﺍﺝ ﻧﻌﻤﺔ ﻣﻦ ﻧﻌﻢ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭﺍﻟﻄﻼﻕ ﺑﻼ ﺳﺒﺐٍ ﻛﻔﺮٌ ﻟﻨﻌﻤﺔ ﺍﻟﺰﻭﺍﺝ؛ ﻭﻛﻔﺮﺍﻥ ﺍﻟﻨﻌﻤﺔ ﺣﺮﺍﻡ، ﻓﻼ ﻳﺤﻞّ ﺍﻟﻄﻼﻕ ﺇﻻ ﻟﻀﺮﻭﺭﺓ .
فقه السنة (الطبعة الثالثة)، بيروت: دار الكتاب العربي، صفحة 242، جزء 2
ভাবার্থ-হানাফি এবং হাম্বলী ফুকাহায়ে কেরামগণ মনে করেন যে,বিনা কারণে তালাক প্রদাণ শরীয়তের দৃষ্টিকোণে হারাম।এবং তালাক প্রদাণকারী গোনাহগার। কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ আমভাবে বলেছেন,আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক স্বাদ আস্বাদনকারীদের উপর লা'নত প্রদাণ করেন।কেননা তালাক প্রদাণ দ্বারা আল্লাহ তা'আলা র নিয়ামতকে অস্বীকার করা হয়। বিবাহ আল্লাহর নিয়ামত সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি নিয়ামত।আর বিনা কারণে তালাক প্রদাণ মানে বিবাহ নামক নিয়ামতকে পরিত্যাগ, অস্বীকার এবং অবহেলা করা। আর নিয়ামতকে অস্বীকার বা পরিত্যাগ করা হারাম।সুতরাং প্রয়োজন ব্যতীত তালাক হালাল হবে না।(ফেকহুস সুন্নাহ-২/২৪২)
সুতরাং বিনা কারণে তালাক প্রদাণ করা হারাম।এর শাস্তি আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে অবশ্যই পেতে হবে। (শেষ) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/468

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
আপনি ধর্য্য সহকারে বর্তমান সংসারে মনযোগী হন, পিতামাতার পরামর্শ অনুযায়ী উক্ত সংসারকে স্থায়ী করার যাবতীয় চেষ্টা করুন।এটাই আপনার জন্য সর্বাধিক কল্যাণজনক। আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক,আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,600 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...